ণিজন্ত ক্রিয়া

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - পালি - | NCTB BOOK

ণিজন্ত ক্রিয়া

কোন ক্রিয়া বা কাজ নিজে না করে অন্যের দ্বারা করালে তাকে ণিজন্ত ক্রিয়া বলে। সাধারণত ধাতুর উত্তর অ্য অথবা আপন প্রত্যয় যোগে ণিজন্ত ক্রিয়া গঠিত হয়। অয এবং আপয পরিবর্তিত হয়ে যথাক্রমে ই এবং আপ হয়। যথা-

অর্থ প্রত্যয় যোগে

√ ভুজ + অ + তি = ভূজযতি, ভোজেতি; / গম্ + অ + তি + গময়তি, গবেতি; পুচ্চ + অ + তি

= পুষ্পষতি, পুচ্ছেতি।

জপয় প্রত্যয় যোগে

√ দা + আপয় + তি = দাপযতি, দাপেতি; /ঠা + আপ + তি = ঠাপযতি, ঠাপেডি; / ছিদ্‌ + আপন + তি = ছদাপযতি, ছিদাপেতি।

উভয় প্রত্যয়যোগে

ন করা

[ = কারযতি, কারেডি, কারাপযতি, কারাপেতি।

বাক্য রচনা

ক) উপাসিকা ভিক্ষুকে ভোজন করাচ্ছে -উপাসিকা বিষ্ণুং ভোজযতি ।

(খ) শিক্ষক ছাত্রকে হাসাচ্ছেন সিক্খকো সাবকং হাসাপেতি।

গ) রাজা দরিদ্রকে ধন বিতরণ করাচ্ছেন রাজা দলিদ্দস ধনং নাপযতি।

ঘ) পিতা পুত্রকে বিদ্যালয়ে পঠাচ্ছেন- পিতা পুত্তং বিজ্ঞালযং গমযতি।

ক্লিয়ার পৌনঃপুন্য ও অতিশয় অর্থে ধাতুকে দ্বিরাবৃত্তি করে যে ক্রিয়া গঠিত হয় তাকে যঙস্ত ক্রিয়া বলে। যথা- √গম্- গ + গম্ + তি = জামতি,/ চল্‌ চ + চল্ + তি = চঞ্চলতি, কম্ ক + কম্ + তি = চকমতি, / জিল্‌ - জ + জল + তি = জজ্জলতি, /জন- জন + জন্ + তি = জানতি ।

বাক্য রচনা

ক) স্থবির চক্রেমন করছেন-থেরো চকমতি।

(খ) বালকটি আঙিনায় ছুটাছুটি করছে-দারকো অঙ্গনে চঞ্চলতি। গ) আকাশে তারাগুলো পুনঃ পুন জ্বলছে আকাসে নখত্তা জলজলতি।

ঘ) রাজা উদ্যানে ইতস্তত বিচরণ করছেন-রাজা উয্যানে জঙ্গমতি।কর্তার ইচ্ছাকে বুঝাতে ধাতুর উত্তর খ, ছ, স প্রত্যয়যোগে যে ক্রিয়া গঠিত হয় তাকে সনন্ত ক্রিয়া বলে।

নিয়মাবলি

১। খ, ছ, স প্রত্যয় পরে থাকলে একষর বিশিষ্ট ধাতুর আদ্য ব্যঞ্জন বর্ণ দ্বিত্ব হয়। দ্বিত্ব হলে পূর্ব ব্যঞ্জনবর্ণকে

অভ্যাস বলে।

২। অভ্যাসের দীর্ঘষের হয়।

৩। বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ অভ্যাস হলে তদস্থানে যথাক্রমে সে বর্গের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণ আদেশ হয়।

৪। অভ্যাসের ক গ এবং হ স্থানে জ আদেশ হয়।

৫। অভ্যাসের ক স্থানে চ হয়।

৬। অভ্যাসের অন্তস্থিত স্বরবর্ণ স্থানে ই আগম হয়।

উদাহরণ

(ক) খ প্রত্যয় যোগে

√ দিস্ + খ = দিদিদ্ধতি, √ ভুজ + খ = ভক্ষতি, √তিজ + খ = তিতিদ্ধতি, √ মুজ + খ =

মমকৃতি।

(খ) প্রত্যয় যোগে

√ দা + ছ = দিচ্ছতি, √দিত্ + ছ = চিকিচ্ছতি, √ঘস্ + ছ = জিমিচ্ছতি, /গুপ্ + ছ = জিপুচ্ছতি ।

(গ) স প্রত্যয় যোগে

√ পা + স = পিপাসতি, √গম্ + স = জিগমিসতি, ঠ + স + ভিাসতি, জ + স + জিগঞ্চসতি। বাক্য রচনা

১। ব্যাধ পাখিটিকে হত্যা করতে ইচ্ছা করে- লুষ্পকো সকুণং জিঘাসতি। ২। সে ত্রিপিটক পাঠ করতে ইচ্ছা করে-সো তিপিটকং পিপটিঠসতি।

৩। কেউ মরতে চায় না-কোচি ন মুমুসতি।

৪। তারা ধর্ম শ্রবণ করতে ইচ্ছা করে-তে ধম্মসবনং সসতি।

ক্রিয়াবাচক বিশেষণ

ধাতুর উত্তর, অন্ত, মান, ত, তব্ব, তনীয় ইত্যাদি প্রত্যয়যোগে ক্রিয়াবাচক বিশেষণ গঠিত হয়। প্রত্যয় যে বিশেষ্য পদের বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় সে বিশেষ্য পদের লিঙ্গ, বচন ও বিভক্তির আকৃতি প্রাপ্ত হয়। ক্রিয়াবাচক বিশেষণ তিন প্রকার। যথা- বর্তমান ক্রিয়াবাচক বিশেষণ, অতীত ক্রিয়াবাচক বিশেষণ ও ভবিষ্যত ক্রিয়াবাচক বিশেষণ।ক্রিয়ার রূপ যখন একই সঙ্গে ক্রিয়া এবং বিশেষণের কাজ সম্পন্ন করে তখন তাকে ক্রিয়া বাচক বিশেষণ বলে। যেমন-মহ্ + মানো মহীযমানো, ভূ + ত = ভূতকা। =

১। বর্তমান ক্রিয়াবাচক বিশেষণ

ধাতুর সাথে অন্ত, অং, মান, আন ইত্যাদি প্রত্যয়যোগে বর্তমান ক্রিয়া বাচক বিশেষণ গঠিত হয়। যথা- অন্ত, অং

যোগে পচ্‌ + অন্ত = পচন্ত, পচ্ + অ = পচং, গম্ + অন্ত = গচ্ছন্ত, গম্ + অ = গচ্ছং।

মান, আন যোগে

/পচ + মান = পচমান, // চর + মান = চরমানি, /পচ + আন = পচান, /চর + আন = চরান।

২। অতীত ক্রিয়াবাচক বিশেষণ

অতীতকাল বোঝালে ধাতুর সাথে ত, ন, ভবন্ত, ভাবী ইত্যাদি প্রত্যয়যোগে অতীত ক্রিয়াবাচক বিশেষণ গঠিত হয়। অতীত ক্রিয়া বাচক বিশেষণ দ্বিবিধ। যথা- জি + ত = জিতা।

উদাহরণ

ত, অন্ত, ভারী প্রত্যয় যো

/জি + ত = জিত, √জি + তবস্ত = জিতবা, / জি + ভাবী = জিতাবী, √গী + ত = গীতি, গী + তবস্ত

গীতবা, গী + ভাবী গীতাবী।

ত, ন প্রত্যয় যোগে

√ভিক + ত = ভিন্ন, √দা + ত = দন্ন, ছিদ + ত = ছিন্ন, √ পা + ত = পীত ।

ভবিষ্যৎ ক্রিয়াবাচক বিশেষণ উচিত অর্থে ধাতুর উত্তর তব, অনীয় ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ভবিষ্যত ক্রিয়াবাচক বিশেষণ গঠিত হয়।

যথা-

ভ প্রত্যয় যোগে

√গম্ + এর = গন্ত, √সা + ত = দাত।

অনীয় প্রত্যয়যোগে

/পুজ + অনীয় = পূজনীয়, √পচ্‌ + অনীয় = পচনীয়, √গম্ + অনীয় = গমনীয় ।

য প্রত্যয় যোগে

√ ভুজ + য = ভোজ্জ, √গম + য = গা, পা + য = পেখবাক্য রচনা

আমি ক্রন্দনরত লোকটাকে দেখলাম- অহং রোদস্তং নরং পসিং।

আমাকে বাড়ি যেতেই হবে-ম্যা গেহং গস্তং ।

তোমাদের ধর্ম শুবণ করা উচিত- তুম্‌ হেতি ধম্মং সোভং।

সে দাঁড়িয়েই কাঁদছিল-সো রোদমনা ব অঠাসি।

অসমাপিকা ক্রিয়া

যে ক্রিয়ার দ্বারা মনের ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয় না তাদিগকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। অসমাপিকা ক্রিয়া দুই প্রকার। যথা-Gerund এবং Infinitive- এ দুটি ক্রিয়া দ্বারা মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয় না বলে এদের অসমাপিকা ক্রিয়া বলে।

১। Gerund ক্রিয়ার মূল অথবা প্রতিপাদিকের সাতে তা, তান, তুন, য প্রত্যয় যোগে যে ক্রিয়া গঠিত হয় তাকে Gerund বলে। বাংলায় ক্রিয়ার সাথে ইযে, ইংরেজিতে ক্রিয়ার সাথে ing যোগ হয়। Gerund কে তা প্রত্যয় বলে। যথা- পঠ + তা = পঠিত্বা।

তা প্রত্যয় যোগে

√গম্ + তা = গন্‌তা, √পচ্‌ + তা = পচিত্বা, / লজ্‌ + তা = লভিতা, দা + তা = সত্বা, কর্ + তা = কড়া, Vজা + তা = জেতা, নি + নি + তা = নেতা।

ষ প্রত্যয় যোগে

√ ভুজ + য = ভুঞ্জে, চিহ্ন + য = চিন্তি।

তান প্রত্যয় যোগে

কর্ + তান = কতান, √গম্ + ত্বান= গহ্বান, /দা + তান = সন্তান।

তুন প্রত্যয় যোগে

Vকর্ + তুন = কাতুন, √ পা + তুন = দাতুন।

১। Infinitive ক্রিয়ামূল অথবা প্রতিপাদিকের সাথে তবে, তুষে, ভাবে, তুং-এ চারটি প্রত্যয় যোগ করে যে

ক্রিয়া গঠিত হয় তাকে Infinitive বলে। বাংলায় ক্রিয়ার সাথে ইয়া প্রত্যয় যুক্ত করে এবং ইংরেজিতে ক্রিয়ার আগে to যোগ হয়। Infinitive কে তুং প্রত্যয় বলা হয়।

তুং প্রত্যয় যোগে

√পচ্ + তুং = পচিতুং, √দা+ তুং দাতুং, √গম্ + তুং = গনতু, /নি + তুং = নেতুং, ছিদ্ + তুং = ছিন্দিতুং, / সু + তুং= সোতুং।

খ) ভাবে, তুষে, ভাষে প্রত্যয় যোগে

দা + তাবে = দাতবে, পহ + তাবে = পহাতবে, মর তুষে = মরিতুষে, দিস + ভাষে = দখিতাষে।বাক্য রচনা

আমি বাড়ি গিয়ে ভাত খাব- অহং গেহং গন্তা ভবং ভুঞ্জি সামি।

আমি প্রব্রজ্যা গহণ করতে ইচ্ছা করি- অহং পৰ্ব্বজিতুং ইচ্ছামি। বাড়ি এসে আমি তাকে দেখলাম- ঘরং আগত্ত্বা অহং তং পাসিং। চাকরেরা ভাত খেয়ে চলে গেল- দাসা ভত্তং খাদিত্বা গচ্ছিংসু। রাম বাড়ি গিয়ে কাজ করবে- রামো গেহং গত্ত্বা কমং করিসূসসি। দুষ্ট বালকেরা বিদ্যালয়ে যেতে চায় না- বাল দারকা বিজ্জালয়ং গচ্ছিতুং ন ইচ্ছন্তি। অলস লোকেরা কাজ করতে ইচ্ছা করে না- অলসা কমং কাতুং ন ইচ্ছস্তি। সে বনে গিয়ে গাছ কেটে ফিরে এল- সে বনং গত্ত্বা রুদ্ধং ছিন্দিতা পাগমি।

আমি তাকে স্কুলে যেতে দেখলাম- অহং তং বিজ্জালয়ং গন্তং পাসিং। সে এখানে গান গাইতে আসবে- সো ইধং গীতুং আগচ্ছিসতি।

নামধাতু

বিশেষ্য ও বিশেষণ পদের আয, ই, ঈ এবং আপ যুক্ত হয়ে কতকগুলো ক্রিয়াপদ গঠিত হয়। আচরণ করা, ইচ্ছা বা কামনা করা ইত্যাদি অর্থে নামধাতু ব্যবহৃত হয়। নামপদের উপর বিভক্তি যোগ করে এ সকল ক্রিয়াপদ গঠিত হয় বলে এদের নামধাতু বলে।

উদাহরণ

আয় প্রত্যয়যোগে-

পঞ্চত = পঞ্চতাযতি, করুণা করুণায়তি, ধন ধনাপতি, মেত্তং মেস্তাযতি। =

ইয় এবং ঈয় প্রত্যয় যোগে পুত্ত = পুত্তীযতি, নদী = নদীযতি, পত্ত = পত্তীযতি, চীবর = চীবরযতি ।

আপ প্রত্যয় যোগে

দুখ = দুখাপেতি, সুখ = সুখাপেতি।

বাক্য রচনা

দরিদ্র ধন লাভ করতে ইচ্ছা করে দলিন্দো ধনাযতি।

নগরে প্রাচীরটি পর্বতের কাজ করে- নগরস পাকারং পতাযতি।

ভিক্ষু উপাসকের নিকট চীবর পেতে ইচ্ছা করে- ভিকছু উপাসকং চীবরাযতি।

ছেলেটি হ্রদকে সমুদ্র মনে করে- দারকো রদং সমুদায়তি। শিক্ষক ছাত্রকে পুত্রের ন্যায় আচরণ করে সিঙ্খকো সাবকং পুত্তীযতি।

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion