সুস্থ থাকার জন্য শুধু উদ্ভিদ ও প্রাণীই নয়, মানুষেরও নিরাপদ পানি প্রয়োজন।
কাজ : সরল ছাঁকনি
কী করতে হবে :
১. কোনো পুকুর বা নদী থেকে সংগ্রহ করা ময়লা পানি, প্লাস্টিকের বোতল, পাতলা কাপড় বালি, ছোট ছোট পাথরের টুকরো এবং পরিষ্কার গ্লাস নিই।
২. নিচে দেখানো ছকের মতো খাতায় একটি ছক তৈরি করি।
৩. পুকুর বা ডোবা থেকে সংগ্রহ করা ময়লা পানি পর্যবেক্ষণ করে বাম পাশের কলামে ছবি আঁকি।
৪. ডান পাশের ছবির মতো করে একটি পানির ফিল্টার প্রস্তুত করি।
৫. ফিল্টারে ময়লা পানি ঢালি।
৬. ফিল্টার থেকে নির্গত পানি পর্যবেক্ষণ করি এবং ছকের ডান পাশের কলামে ছবি আঁকি ।
৭. কাজটি নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করি ।
মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন পানিই হলো নিরাপদ পানি। কিছু পানি মানুষের জন্য নিরাপদ। যেমন— নলকূপের পানি। আবার কিছু পানি মানুষের পানের জন্য নিরাপদ নয়। যেমন— পুকুর বা নদীর পানি । তাই পান করা এবং রান্নার কাজে ব্যবহার করার পূর্বে পানি নিরাপদ করা প্রয়োজন। মানুষের ব্যবহারের জন্য পানিকে গ্রহণযোগ্য এবং নিরাপদ করার ব্যবস্থাই হলো পানি বিশুদ্ধকরণ।
নিচে পানি নিরাপদ করার কিছু উপায় বর্ণনা করা হলো—
ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পানি পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াই হলো ছাঁকন। পাতলা কাপড় বা ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পানি পরিষ্কার করা যায়। তবে এই প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত পানি পরিষ্কার হলেও তা জীবাণুমুক্ত নয়। তাই নিরাপদ পানির জন্য এই পানিকে ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
একটি কলস বা পাত্রে নদী বা পুকুরের পানি নিয়ে রেখে দেই। কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে পাত্রের তলায় তলানি জমেছে। উপরের অংশের পানি পরিষ্কার হয়েছে। পানিতে থাকা ময়লা যেমন— বালি, কাদা ইত্যাদি সরানোর এই প্রক্রিয়াই হলো থিতানো।
পানি জীবাণুমুক্ত করার একটি ভালো উপায় হলো ফুটানো। জীবাণুমুক্ত নিরাপদ পানির জন্য ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে পানি ফুটাতে হবে।
অনেক সময় বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের কারণে পানি ফুটানো সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে ফিটকিরি, ব্লিচিং পাউডার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি পরিমাণমতো মিশিয়ে আমরা পানি নিরাপদ করতে পারি। তবে মনে রাখতে হবে আর্সেনিকযুক্ত পানি এ সকল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিরাপদ করা যায় না ।
আরও দেখুন...