পলিমরফিজম (Polymorphism)

Computer Science - অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড এনালাইসিস এন্ড ডিজাইন প্যাটার্ন (Object Oriented Analysis and Design) - Object-Oriented Concepts (Object-Oriented Programming Concepts)
467

পলিমরফিজম (Polymorphism) অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিংয়ের একটি মৌলিক ধারণা, যা একটি মেথড বা অপারেটরের একাধিক ফর্ম বা প্রয়োগকে নির্দেশ করে। পলিমরফিজমের মাধ্যমে একই নামের মেথড বা অপারেটর বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। এটি কোডের পুনরায় ব্যবহার, গতিশীলতা এবং সহজ maintenance নিশ্চিত করে।

পলিমরফিজমের প্রকারভেদ

পলিমরফিজম মূলত দুই প্রকারে বিভক্ত:

১. কম্পাইল টাইম পলিমরফিজম (Compile-time Polymorphism):

  • এটি static polymorphism হিসেবেও পরিচিত। এই ধরনের পলিমরফিজমে, একটি মেথড বা অপারেটর এর কার্যকারিতা কম্পাইলেশন সময় নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে প্রধান দুটি ধারণা হলো:

মেথড ওভারলোডিং (Method Overloading): একই নামের মেথড বিভিন্ন প্যারামিটার (যেমন সংখ্যা, প্রকার, বা সংখ্যা) নিয়ে কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:

অপারেটর ওভারলোডিং (Operator Overloading): কিছু প্রোগ্রামিং ভাষায়, ব্যবহারকারী নির্ধারিত অপারেটরকে বিশেষভাবে কাজ করানোর জন্য তাদের আচরণ পরিবর্তন করতে পারে।

class MathOperation {
    int add(int a, int b) {
        return a + b;
    }

    double add(double a, double b) {
        return a + b;
    }
}

২. রানটাইম পলিমরফিজম (Runtime Polymorphism):

  • এটি dynamic polymorphism হিসেবেও পরিচিত। এখানে, মেথড বা অপারেটরের কার্যকারিতা রানটাইমে নির্ধারিত হয়। প্রধান দুটি ধারণা হলো:
    • মেথড ওভাররাইডিং (Method Overriding): একটি সাবক্লাস তার সুপারক্লাসের একটি মেথডের কার্যকারিতা পরিবর্তন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:
class Animal {
    void sound() {
        System.out.println("Animal makes a sound");
    }
}

class Dog extends Animal {
    void sound() {
        System.out.println("Dog barks");
    }
}

class Cat extends Animal {
    void sound() {
        System.out.println("Cat meows");
    }
}

public class Test {
    public static void main(String[] args) {
        Animal myDog = new Dog();
        Animal myCat = new Cat();
        myDog.sound(); // Output: Dog barks
        myCat.sound(); // Output: Cat meows
    }
}

পলিমরফিজমের সুবিধা

১. কোড পুনঃব্যবহার: পলিমরফিজমের মাধ্যমে একই নামের মেথড ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকারের অবজেক্টের সাথে কাজ করা যায়, যা কোড পুনঃব্যবহারের সুবিধা দেয়।

২. বর্ধনশীলতা: নতুন শ্রেণী তৈরি করে এবং মেথড ওভাররাইডিংয়ের মাধ্যমে কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা যায়। এটি বিদ্যমান কোডের পরিবর্তন ছাড়াই নতুন ফিচার যোগ করতে সহায়তা করে।

৩. সহজ রক্ষণাবেক্ষণ: পলিমরফিজম কোডকে পরিষ্কার এবং সংগঠিত রাখে, যা রক্ষণাবেক্ষণকে সহজ করে।

৪. ফ্লেক্সিবিলিটি: পলিমরফিজমের মাধ্যমে একাধিক ধরনের অবজেক্টের সাথে একইভাবে কাজ করা যায়, যা প্রোগ্রামিংয়ে ফ্লেক্সিবিলিটি বৃদ্ধি করে।

উপসংহার

পলিমরফিজম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ভিত্তি। এটি ডেভেলপারদের কোডের জটিলতা কমাতে, পুনঃব্যবহারযোগ্য কোড তৈরি করতে এবং সফটওয়্যারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পলিমরফিজমের সঠিক ব্যবহার করে উন্নতমানের, পরিচালনাযোগ্য, এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব।

Content added || updated By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...