পানি সরবরাহ ও পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রিত স্থানে পাইপ ও পাইপ ফিটিংস ব্যবহৃত হয়। এ অধ্যার পাইপের প্রকারভেদ ও সাইজ, নমনীয় পাইপ, অনমনীয় পাইপ, ধাতব পাইপ, অবাত পাইপ, পাইপের সাইজ, পাইপ কাটার পদ্ধতি,পাইপে গ্রেড কাটার পদ্ধতি, পাইপ ফিটিংস, পাইপ সংযোগকারী ফিটিংস, পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রনকারী ফিটিংস, পাইপ ফিটিং-এ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যবহার, লিব্রুক কম্পাউন্ড, পাইপ কাটা ও পাইপ ফিটিং-এ সাবধানতা ইত্যাদি আলোচনা করা হয়েছে।
পাইপ (Pipe)
পাইল হচ্ছে সিলিন্ডার আকৃতির ফাঁপা গোলাকার লম্বা নল যার ভিতর দিয়ে বিভিন্ন প্রকার প্রবাহী দ্রব্য যেমন পানি, বাষ্প, গ্যাস, তেল এবং বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্যাদি (Chemicals) এক স্থান হতে অন্য স্থানে প্রেরণ করা যায়। যে সব ক্ষেত্রে পাইপ বহুলভাবে ব্যবহৃত হয় তা হলো পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন, তেল শোধনাগার, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, শিল্প কারখানা, রাসায়নিক কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ইত্যাদি। নিম্নে পাইপ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
পাইপের বৈশিষ্ট তথা বাহ্যিক গুণাগুণের ভিত্তিতে পাইপকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
• নমনীয় পাইপ (Flexible Pipe)
• অনমনীয় পাইপ (Rigid Pipe)
ক) নমনীর পাইপ (Flexible Plpe)
যে সব পাইপ যে কোনো দিকে বাঁকানো যায় তাকে নমনীয় পাইপ বলা হয়। নমনীর পাইপ প্রয়োজন মতো বাঁকানো যায় বলে অসমান অবস্থানে এবং ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির উৎস হতে পানি তোলার কাজে ব্যবহার উপযোগী। তবে সব নমনীয় পাইপই আবার সাকশন পাইপ হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। এ ধরনের পাইপ অধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। যেমন- রাবার, প্লাস্টিক, পলিখিন, ক্যানভাস ইত্যাদি ।
খ) অনমনীয় পাইপ (Rigid Pipe)
যে সব পাইপ কোনো দিকে বাঁকানো যায় না, সব সময় সোজা থাকে তাকে নমনীর পাইপ বলা হয়। এ ধরনের পাইপ সাধারনত ধাতব ও অধাতব দুই ধরনের পদার্থ দিয়ে তৈরি করে থাকে। যেমন- কাস্ট আয়রন, রট আয়রন, স্টিল, কপার, ব্রাস, লেড, অ্যালুমিনিয়াম, আরসিসি কংক্রিট, অ্যাসবেসটস সিমেন্ট ইত্যাদি । পাইপ বিভিন্ন পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে।
পদার্থের এই ভিন্নতার ভিত্তিতে পাইপকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
• ধাতব পাইপ (Metalic Pipe)
• অধাতব পাইপ (Non Metalic Pipe )
ক) ধাত পাইপ (Metalic Pipe )
যে সব পাইপ বিভিন্ন ধরনের ধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরি করা হয় এদেরকে ধাতব পাইপ বলে। ধাতুর নামানুসারে এদের নামকরণ করা হয়ে থাকে। নিম্নে বিভিন্ন প্রকার ধাতব পাইপের নাম উল্লেখ করা হলো:
১) মাইন্ড স্টিল পাইপ বা এমএস পাইপ (Mild Steel Pipe )
২) স্টেইনলেস স্টিল পাইপ (Stainless Steel Pipe)
৩) জি.আই. (গ্যালভানাইজ আয়রন) পাইপ (Galvanised Iron Pipe )
৪) কাস্ট আয়রন পাইপ (Cast Iron Pipe )
৫) রট আয়রন পাইপ (Wrought Iron Pipe )
৬) কপার বা তামার পাইপ (Copper Pipe)
৭) হ্রাস বা পিতল পাইপ (Brass Pipe)
৮) অ্যালুমিনিয়াম পাইপ (Aluminium Pipe )
৯) সিসার পাইপ (Lead Pipe )
খ) অধাতব পাইপ (Non Metalic Pipe)
যে সব পাইপ বিভিন্ন ধরনের অধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরি করা হয় এদেরকে অধাতব পাইপ বলে । ধাতুর নামানুসারে এদের নামকরণ করা হয়ে থাকে। নিম্নে বিভিন্ন প্রকার অধাতব পাইপের নাম উল্লেখ করা হলো।
১) পিভিসি পাইপ (PVC Pipe )
২) প্লাস্টিক পাইপ (Plastic Pipe )
৩) রাবার পাইপ (Rubber Pipe)
৪) পলিথিন পাইপ (Polythene Pipe )
৫) কংক্রিট পাইপ (Concrete Pipe )
৬) আরসিসি (রিইনফোর্স সিমেন্ট কংক্রিট) পাইপ (Reinforced Cement Concrete Pipe )
৭) অ্যাসবেসটস পাইপ (Asbestos Pipe )
৮) ক্যানভাস পাইপ (Canvas Pipe )
পাইপ বিভিন্ন প্রকার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তার মধ্যে সেচ কাজে এর ব্যবহার ব্যাপক । সেচ কাজে ব্যবহারের ভিত্তিতে পাইপকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
• সাকশন পাইপ
• ডেলিভারি পাইপ
গ) পাইপের সাইজ (Size of Pipe ) পাইপ সাধারণত তার অভ্যন্তরীণ ব্যাসের মাপেই পরিচিত হয়ে থাকে। তাই পাইপের সাইজ বলতে এর অভ্যন্তরীণ ব্যাস (ইনসাইড ডায়ামিটার)-কেই বোঝায়। জিআই পাইপ সাধারণত ১/২ ইঞ্চি হতে ৪ ইঞ্চি ব্যাস বিশিষ্ট হয়ে থাকে । তবে এর চেয়ে বেশি মাপের পাইপও তৈরি হয়। অনমনীয় পাইপ সাধারণত ২০ ফুট টুকরা হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। নমনীয় পাইপ সাধারণত ফুট হিসেবে বাজারে বিক্রি হয় ।
(ক) হ্যাক-স দিয়ে পাইপ কাটা
নমনীয় বা অধাতব পাইপ কাটা তেমন কঠিন কাজ নয়। তবে ধাতব পাইপ, বিশেষ করে জিআই পাইপ কাটার ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতিগত নিয়ম মেনে চলতে হয়। জিআই পাইপ সাধারণত হ্যাকস অথবা পাইপ কাটার দিয়ে কাটা হয় । এজন্যে নির্বাচিত পাইপকে প্রথমে ভূমি সমান্তরাল করে কোমরসমান উঁচুতে ভাইসে শক্ত করে আটকাতে হয় । পাইপের সাইজ অনুসারে হ্যাকস ব্লেড নির্বাচন করতে হয়।
কম ব্যাসের পাইপের জন্য ঘন দাঁতের রেড এবং বেশি ব্যাসের পাইপের জন্য পাতলা দাঁতের ব্লেড নির্বাচন করতে হয়। নির্বাচিত ব্লেডকে হ্যাকস ফ্রেমের সাথে সঠিক ভাবে বাঁধতে হয়। খেয়াল রাখতে হবে ব্লেডের দাঁতগুলো যেন ফ্রেমের অগ্রভাগের দিকে মুখ করে থাকে। পাইপ কাটার স্থান প্রথমে ক্রাইবার বা চক দ্বারা চিহ্নিত করে নিতে হয় । ভাইসে বাঁধা পাইপের সামনে দুই পা কিছুটা ফাঁক করে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে পাইপের কাটার স্থানে হ্যাক-স স্থাপন করতে হয়। পাশের চিত্রের ন্যায় ডান হাতে হ্যাকস এর হাতল এবং বা হাতে ফ্রেমের যাথা (অগ্রভাগ) ধরে হ্যাক- এস কে সামনে পিছনে চালিয়ে পাইপ কাটা আরম্ভ করতে হয়। হ্যাকস কে সামনের দিকে চালানোর সময় নিচের দিকে চাপ প্রয়োগ করতে হয় এবং পিছনে টানার সময় চাপ মুক্ত করতে হয়। প্রতি মিনিটে ৪০-৫০ বার হ্যাক স ব্লেড চালাতে হয়। চালানোর সময় ব্লেড যাতে বাঁকা না হয় অথবা মোচড় না খায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।
কারণ, বাঁকা হলে বা মোচড় খেলে ব্রেড ভেঙে যেতে পারে। পাইপ কাটা যখন প্রার শেষ পর্যায়ে, তখন অপেক্ষাকৃত কম গতি ও চাপ সহযোগে ব্লেড চালাতে হয়। এভাবে পাইপ কাটার কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এ ছাড়া হ্যাক-স চালানোর সকল নিয়ম ও সাবধানতা পালন করতে হয়।
খ) পাইপ কাটারের সাহায্যে কাটা
প্রথমে যে পাইপটি কাটতে হবে তাকে পাইপ ভাইসে শক্ত করে বেঁধে নিতে হবে। এরপর পাইপ কাটারের সেট-কু চিলা করে পাইপের ভেতরে এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে রোলারগুলোকে পাইপের উপর সামান্য চাপ দেয়। এর পর সেট-কে ভেতরে প্রবেশ করিয়ে হাতল দিয়ে ফ্রেমটিকে সামনে-পিছনে করে এক পাক ঘুরাতে হবে। তারপর সেট-ডুকে ডিলা দিয়ে হাতলটিকে ডান দিকে ঘুরিয়ে পাইপের উপর আবার চাপ প্রয়োগ করে সেট-ফু ভেতরে প্রবেশ করিয়ে পূর্বের ন্যায় ফ্রেমকে ঘুরাতে হবে। এভাবে পাইপ কাটার দিয়ে পাইপ কাটার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
পাইপ সাধারণত লম্বা টুকরা আকারে থাকে বলে একে খাড়াভাবে ভাইসে আটকানোবায় না। পাইপকে তাই পাইল তাইলে আটকানোর সময় ভূমির সমান্তরালে আটকাতে হয়। ভাষাড়া পাইপের ব্যাসের উপর ভিত্তি করে গ্রেফ কাটার তাই নির্বাচন করতে হয় । ভাই স্টকে নির্বাচিত ভাইকে স্থাপন করে সেট-ক্রুর সাহায্যে ভাইয়ের ছিদ্রপথ পাইপের মাথায় ঢোকায় উপযোগী করে সেট করতে হয়। পাইপের যে প্রান্তে গ্রেড কাটা হবে সেই প্রান্ত প্রথমে প্রাইভিং করে অথবা কাইলে ঘৰে কিছুটা সরু বা ট্যাপার করে নিতে হয়।
এখন পাইপের মাথার ফাস্টসহ ভাই এমনভাবে প্রবেশ করাতে হর বেন পাইপের সাথে লম্বভাবে থাকে। ভাইকের হাতল দুই হাতে ধরে সামনের দিকে চাপসহ ডান দিকে (রাইট হ্যান্ড গ্রেডের জন্য) ঘুরিয়ে প্যাঁচ কাটা শুরু করতে হয়। গ্রেড কাটার সময় ভাই ও ব্রেডের সংযোগ স্থলে কাটিং ফ্লুইড প্রয়োগ করতে হয়। গ্রেড কাটার মাঝে মাঝে ভাই উল্টা দিকে আর প্যাচ ঘুরিয়ে ফাঁটা বা কণা (মেটাল চিপস্) বের করে দিতে হয়। নির্দিষ্ট অংশে প্যাঁচ কাটা হলে উল্টা দিকে ঘুরিয়ে পাইপের মাথা থেকে ডাই বের করে আনতে হয়। তারপর সেট-কু ঘুরিয়ে ভাইয়ের ব্যাস একটু কমিয়ে পুনরায় পাইপে প্রোডকাটতে হয়। এভাবে কয়েক বার প্যাঁচ কেটে নির্দিষ্ট মাপে গ্রেড কাটা সম্পন্ন করতে হয়। সব শেষে গ্রেড-পিচ গেজের সাহায্যে অথবা ভাই নাট দিয়ে গ্রেডের মাগ পরীক্ষা করতে হয়।
পাইপের ফিটিং বা সংযোজন কাজে বিভিন্ন রকম যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়। পাইপ দিয়ে সেচ কাজ এবং বাসা-বাড়ি, অফিস, শিল্পকারখানা ইত্যাদিতে পানি সরবরাহ লাইনে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ বা কানেক্টর লাগানো থাকে, এ গুলোকে এক কথায় পাইপ ফিটিংস বলে। পাইপ ফিটিংস প্রধানত দুই প্রকার যেমন-
১. পাইপ সংযোগকারী ফিটিংস।
২. পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণকারী ফিটিংস।
পাইপ সংযোগকারী ফিটিংস :
সেচ কাজে এবং বাসা-বাড়ি, অফিস, শিল্প-কারখানা ইত্যাদিতে পানি সরবরাহ পাইপ সংযোজনের ক্ষেত্রে যে সব যন্ত্রাংশ বা কানেক্টর ব্যবহার করা হয় তাদেরকে একত্রে পাইপ সংযোগকারী ফিটিংস বলে। পাইপ সংযোগকারী ফিটিংসসমূহের নাম চিত্রসহ নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. প্লেইন সফেট (Socket)
২. রিডিউসিং সকেট (Reducing Socket)
৩. সুসম টি-সকেট (T Socket)
৪. অসম টি- সকেট (T Socket)
৫. ক্রস সকেট (Cross Socket)
৬. এলবো সকেট (Elbow Socket)
৭. ইউনিয়ন সকেট (Union Socket)
৮. নিপল (Nipple)
৯. বেন্ড (Bend)
১০.ফ্লেঞ্জ (Flange)
১১. প্লাগ (Plug)
পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণকারী ফিটিংস :
সেচ কাজে এবং বাসা-বাড়ি, আলি, শিল্প-কারখানা ইত্যাদিতে পানি সরবরাহ লাইনে পানির প্রবাহ নিম্ননের জন্য যে সব যন্ত্রাংশ বা কানেক্টর ব্যবহার করা হয় তাদেরকে একত্রে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণকারী ফিটিংস বলে।
নিজে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রনকারী ফিটিংসসমূহের নাম দেওয়া হলো-
১. ওয়াটার ট্যাপ।
২. স্টপ কর।
৩. বল কক্ বা ফ্লোট ও ভালভ
৪. চেক ভা
৫. পেট ভালভ
৬. ফুট ভালভ
পাইপ ফিটিং কাজে বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। এরূপ কিছু যন্ত্রপাতির নাম নিচে উল্লেখ করা হলো এবং পাশে তাদের ছবি দেখানো হলো।
পাইপ সংযোজন বা ফিটিং-এর কাজে বিভিন্ন প্রকার জোড়া ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসব জোড়া দিয়ে যাতে প্রবাহিত পদার্থ (গানি, তেল, গ্যাস, ইত্যাদি) দিক (Leak) করে বের হতে না পারে সে জন্য পাইপ জোড়ার স্থানে নিবন্দ্রক কম্পাউন্ড বা সিলিং ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয়। নিগ্রুফ কম্পাউন্ড ব্যবহার করার আগে যে সব দ্রব্যাদি পাইপ জোড়ার স্থানে ব্যবহার করা হয় তার কিছু নিচে উল্লেখ করা হলো :
১) সুভা বা পাট
২) সিপিং টেপ
৩) রাবার ওয়াশার
৪) অ্যাসবেসটস ওয়াশার ইত্যাদি
সাধারণত উপরোক্ত দ্রব্যাদি পাইপ ঘোড়ার স্থানে লাগানোর পর ফি কম্পাউন্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রকার জোড়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের লিম্প ব্যবহার করা হয়ে। নিম্নে কয়েকটি লিঙ্ক কম্পাউন্ড বা সিপিং ম্যাটেরিয়ালের নাম উল্লেখ করা হলো।
১) ডিসি ভেল
২) এনামেল পেইন্ট
৩) হ্যাব কম্পাউড
৪) সিলিং সলিউশন বা আইকা
৫) সিলিং সিমেন্ট ইত্যাদি
সেচ কাজে ব্যবহৃত অথবা আবাসিক বাড়িতে ব্যবহৃত পাইপ লাইনে সংযোগ দেওয়ার সময় পাইপের সংযোগস্থল নিশ্ছিদ্র বা লিক-প্রুফ করা প্রয়োজন। তা না হলে সেচ পাম্পের ক্ষেত্রে সাকশন লাইনে ছিদ্র থাকলে তাতে বাতাস প্রবেশ করলে পানি ওঠনো যায় না। আবার পাইপের সংযোগ স্থলে লিক বা ছিদ্র থাকলে তা দিয়ে পানি বের হয়ে অসুবিধার সৃষ্টি করে। তাই পাইপের সংযোগস্থলে দিক-কৃষ্ণ কম্পাউন্ড ব্যবহার করে পাইপকে নিশ্ছিদ্র করা দরকার। পাইপের সংযোগ স্থল নিশ্ছিদ্র বা লিক-প্রুফ করার জন্য পাইপের মাথায় প্যাচ কাটা অংশে প্রথমে পাট, সূতা বা এরকম আঁশ জাতীয় দ্রব্য পেঁচিয়ে তার উপর লিক-প্রুফ কম্পাউন্ড বা সিলিং কম্পাউন্ড মাখিয়ে পাইপের সংযোগ দেওয়া দরকার। পাইপ ফিটিংসের কাজে দিক প্রুফ কম্পাউন্ড বা সিলিং কম্পাউন্ড হিসেবে সাধারণত এসব ব্যবহার করা হয়।
১. পাইপ ফিটিংসের কাজে যথেষ্ট সাবধানতার প্রয়োজন রয়েছে। পাইপ কাটার সময় যেমন সঠিক সাবধানতা পালন করতে হয়, তেমনি পাইপে থ্রেড কাটার সময় যাবতীয় সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।
২. সঠিক মাপের ডাই নির্বাচন, সঠিকভাবে পাইপকে ভাইসে বাঁধা, কাটিং ফ্লুইড প্রয়োগ, মেটাল চিপস্ অপসারণ, ইত্যাদি সকল কাজ করতে সাবধানতা অবলম্বন করার প্রয়োজন।
৩. সংযোজন কালে পাইপের প্যাঁচে সুভা, পাট ইত্যাদি পেঁচানো, সিলিং কম্পাউন্ড প্রয়োগ ইত্যাদি কাজগুলো যত্নের সাথে করতে হয় ।
৪. পাইপের জোড়ের স্থলে টাইট দেওয়ার সময় সঠিক পরিমাণে টাইট দেওয়া প্রয়োজন।
৫. পাইপ সংযোজন বা কিটিং-এর কাজে সব সময় উভয় হাতে মোটা কাপড়, রাবার বা চামড়ার দস্তানা বা গ্র্যান্ডস্ ব্যবহার করতে হবে।
৬. পানি, গ্যাস বা তেলের পাইপ লাইনে কাজ করতে হলে লাইনের প্রবাহ বন্ধ করে কাজ করতে হবে।
৭. জোড়ার স্থানে যথোপযুক্ত সিলিং কম্পাউন্ড বা সিল্যান্ট ব্যবহার করে জোড়কে নিক প্রুফ করতে হবে ।
৮. কোনো জোড় বা সংযোগ স্থলে সকেট বা পাইপকে অতিরিক্ত টাইট দেওয়া যাবে না। এতে পাইপের প্রেড কেটে যেতে পারে।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. পাইপ কী ?
২. পাইপ প্রধানত কত প্রকার ও কী কী ?
৩. পাপের কাজ লিখ?
৪. নমনীয় পাইপ কী ?
৫. ৪টি নমনীয় পাইপের নাম লিখ ?
৬. ধাতব পাইপ কাকে বলে ?
৭. অধাতব পাইপ কাকে বলে ?
৮. সেচ কাজে ব্যবহৃত পাইপ কত প্রকার ও কী কী ?
৯. পাইপ ফিটিংস কী ?
১০. পাইপ ফিটিংস কত প্রকার ও কী কী ?
১১. প্যাঁচ কাটা যন্ত্রের নাম কী ?
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. ব্যবহারের ভিত্তিতে পাইপ কত প্রকার ও কী কী ?
২. অসমান স্থানে কী ধরনের পাইপ ব্যবহার করা হয় ?
৩. অনমনীয় পাইপ কাকে বলে ? ৮টি নমনীয় পাইপের নাম লিখ ?
৪. পাইপের সাইজ বলতে কী বোঝায় ?
৫. ধাতব পাইপ কত প্রকার ও কীকী ?
৬. অধাতব পাইপ কত প্রকার ও কীকী ?
৭. পাইপ সংযোগকারী ফেটিংস কাকে বলে ?
৮. পাইপ সংযোগকারী ফেটিংসসমূহের নাম লিখ ?
৯. পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রনকারী ফেটিংস কাকে বলে ?
১০. পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রনকারী ফেটিংসসমূহের নাম লিখ ?
১১. পাইপ ফিটিং-এ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির একটি তালিকা তৈরি কর ?
১২. পাইপের সংযোগস্থল ছিদ্রযুক্ত করার জন্য কী ব্যবহার করা হয় ?
১৩. লিফ প্রুফ কম্পাউন্ড কোথায় এবং কেন ব্যবহার করা হয় 1
১৪. কয়েকটি লিক প্রুফ কম্পাউন্ডের নাম লিখ ।
১৫. পাইপ ফিটিংস বলতে কী বোঝায় ?
১৬. ধাতব বস্তুর বাহিরে প্যাঁচ কাটা যন্ত্রের নাম কী ?
১৭. রিডিউসিং সকেট কোথায় ব্যবহৃত হয় ?
১৮. লিক প্রুফ কম্পাউন্ডের ব্যবহার উল্লেখ কর।
১৯. জি.আই (GI) পাইপ কী ?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. পাইপ কাটার পদ্ধতি বর্ণনা কর।
২. পাইপের থ্রেড কাটার পদ্ধতি বর্ণনা কর।
৩. পাইপ কাটা ও ফিটিংস এর সাবধানতা বর্ণনা কর ।
৪. নিকপ্রুফ কম্পাউন্ড করে বলে ? ইহার কার্য প্রণালী বর্ণনা কর ?
আরও দেখুন...