পোল্ট্রি খামার স্থাপনের জন্য সেড নির্মাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক ক্ষেত্রে খামারের লাভ-ক্ষতি সেডের নির্মাণ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে । তাই পরিবেশের সাথে ভারসাম্যতা বজায় রেখে উপযুক্ত সেডের নির্মাণ করতে হবে। পারিপার্শিক পরিবেশ ও জৈব নিরাপত্তা বিবেচনায় রাখতে হবে।
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজঃ
মুরগির ঘর নির্মাণে কোনো ভুল বা ত্রুটি করা চলবে না। মুরগিকে আরামদায়ক পরিবেশ নিরাপদ ও রোগমুক্ত রাখার জন্য ঘরের প্রয়োজন। খোলামেলা উঁচু জায়গায় প্রচুর আলো ও বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় ঘর তৈরি করতে হবে।
বর্তমান বিশ্বে প্রধানত দুই ধরনের ঘরে মুরগি পালন হয়। যথা:
(১) খোলামেলা ঘর
(২) আবহাওয়া নিয়ন্ত্রিত ঘর।
লেয়ার খামারের খোলামেলা ঘর তৈরির বিবেচ্যবিষয় (Considerations of constructing an open house layer farm):
১. ঘরের অবস্থান ও প্রকৃতি:
২. ঘরের প্রশস্ততা :
৩. ঘরের দৈর্ঘ্য:
৪. ঘরের উচ্চতা:
৫. ঘরের চালাঃ
৬. তাপ নির্গমনঃ
৭. তাপ নিরোধক:
৮. ঘরের মেঝে:
৯. ঘরের দরজা:
১০. ঘরের অবস্থান :
১১. পরিবেশ :
১২. বিভিন্ন পদ্ধতিতে লেয়ার মুরগি প্রতি মেঝেতে স্থান :
তাত্ত্বিক কাজ:
১০০টি ডিমপাড়া মুরগির ঘরের মেঝের পরিমাপ হিসেব করে দেখাও ।
মোটামুটি আয়তাকার ঘর মুরগি পালনের জন্য বিশেষ উপযোগী। ছাদের তারতম্য অনুসারে নানা রকম মুরগির ঘর তৈরি করা যায় যেমন:
১) সেড টাইপ
২) গ্যাবল টাইপ
৩) সেমি গ্যাবল টাইপ
৪) মনিটর টাইপ
৫) সেমি মনিটর টাইপ
৬) গোল টাইপ
১. সেড টাইপ:
এ ধরনের মুরগির ঘর খুব সহজেই তৈরি করা যায়। সাধারণত খোলা অবস্থায় বা অর্ধ-আবদ্ধ অবস্থায় মুরগি পালনের জন্য এ ধরনের ঘর খুবই উপযোগী।
২. গ্যাবল টাইপ:
এ ধরনের ঘর তৈরিতে খরচ বেশি লাগে। সাধারণত যেসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি হয় সেখানকার জন্য গ্যাবল টাইপ ঘর খুবই উপযোগী। এ ধরনের ঘরের ছাদ ঢালু হয়ে থাকে।
৩. কম্বিনেশন টাইপ:
এ ধরনের ঘরের ছাদ দুদিকেই ঢালু থাকে। বেশিরভাগ ঘরেরই উপরের দিকে বেশি ঢালু থাকে। এক্ষেত্রে নির্মাণ খরচও বেশি হয় ।
৪. মনিটর বা সেমি মনিটর টাইপ :
যে সব ঘর বেশি প্রশস্ত করার দরকার হয় এবং ঘরের ভেতর উভয়দিকে মুরগির খোপ রাখতে হয় সেক্ষেত্রে এ ধরনের ঘর তৈরি করা হয়ে থাকে। ব্রুডার ঘর এ ধরনের ডিজাইনে তৈরি করা হয়ে থাকে ।
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
আরও দেখুন...