পেশা নির্বাচনের জন্য একজন ব্যক্তিকে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করা আবশ্যক
১। পেশা নিশ্চিত করাঃ কর্মসংস্থানের জন্য নিজের শিক্ষা, দক্ষতা, পারিবারিক ইচ্ছা, ঝোঁক প্রবনতা, আর্থিক চাহিদা এবং আর্থিক সংগতির বিষয়গুলি বিবেচনা করে চাকুরীভিত্তিক অথবা আত্মকর্মসংস্থান মুলক পেশা নির্ধারণ করতে হবে।
২। নিজের সামর্থ-দূর্বলতা সূযোগ-ঝুঁকি নির্ধারণ করাঃ বিশেষ করে যদি আত্মকর্মসংস্থানমূলক পেশা নির্বাচন করা হয় সেক্ষেত্রে নিজের সামর্থ এবং দূর্বলতা চিহ্নিত করে পেশা নির্বাচন করলে তা কল্যানকর ও সাফল্যের বুনিয়াদ রচনা করে,সেইসাথে বাহ্যিক সুযোগ এবং ঝুঁকিসমূহ যথাসময়ে চিহ্নিত করা আবশ্যক। এসব বিষয় বিবেচনা করে পেশা নির্ধারণ করলে তা যথার্থ হবে মর্মে আশা করা যায়।
৩। আর্থিক সুবিধা ও নিরাপত্তা বিবেচনা করাঃ পেশা নির্বাচনে আর্থিক সুবিধা ও নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ন, তাই চাকুরী করার ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা বিবেচনা পূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে। স্বনিয়োজিত পেশায় নিয়োজিত হলে আর্থিক বিনিয়োগের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
৪। সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতিঃ যে কোনো পেশা নির্বাচনে সামাজিক স্বীকৃতি ও মর্যাদার বিষয়টি অগ্রগন্য এবং এবিষয়টি যেকোনো পেশায় অংশগ্রহনকারীকে বিবেচনা তথা পেশায় অংশগ্রহনের জন্য একটি অনিবার্য শর্ত হিসেবে কাজ করে।
৫। ভবিষৎ উন্নতি এবং কেরিয়ার সম্ভাবনাঃ যে কোনো পেশা গ্রহনে কেরিয়ার সম্ভাবনা একটি বিশেষ বিবেচনার বিষয়। তাই পেশা শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট পেশায় অংশগ্রহনকারীকে ভবিষতের সম্ভাবনার বিষয়টি একটি বিশেষ বিবেচ্য হিসেবে গন্য করা হয়।
আরও দেখুন...