ঈশ্বর এই সুন্দর পৃথিবী আমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আমরা যেন ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারি। তিনি আমাদের জন্য আলো দিয়েছেন যেন সবকিছু পরিষ্কারভাবে দেখতে পাই। রাত সৃষ্টি করেছেন মানুষ ও সমগ্র সৃষ্টি যেন বিশ্রাম করতে পারে। প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেবার জন্য বাতাস দিয়েছেন। বায়ু সেবন ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। চারিদিকে নানারকম গাছপালা দেখতে পাচ্ছি, যেগুলি থেকে আমরা আমাদের খাবার পেয়ে থাকি। ভাবতেও অবাক লাগে এসব গাছের ফল কত সুস্বাদু! ভূমির ফসল থেকে আমরা আমাদের প্রতিদিনের খাবার যোগাড় করে থাকি। পশু-পাখি, নদী-সমুদ্রের মাছ আমাদের খাদ্য। আমরা যে কাপড়-চোপড় পরে আছি সেগুলিও এসেছে প্রকৃতি থেকে। পাহাড়, পর্বত, নদী-নালা সবকিছুই মানুষের উপকারে আসে। এক কথায় বলা যায় প্রকৃতির দান ও দয়ায় আমরা বেঁচে আছি। প্রকৃতি ছাড়া আমাদের জীবন অচল।
পরমেশ্বর বললেন, 'দেখো, সারা পৃথিবী জুড়ে যত উদ্ভিদ বীজ বহন করে, ও ফল-উৎপাদক যত গাছ ফলের বীজ বহন করে, তা সবই আমি তোমাদের দিচ্ছি; তা হবে তোমাদের খাদ্য। সমস্ত বন্যজন্তু, আকাশের পাখি ও মাটির বুকে চলাচল করে সমস্ত জীব এই সকল প্রাণীকে আমি খাদ্যরূপে সবুজ যত উদ্ভিদ দিচ্ছি।' আর সেইমতই হলো। পরমেশ্বর তাঁর তৈরি করা সমস্ত কিছুর দিকে তাকিয়ে দেখলেন; আর সত্যি, সেই সমস্ত কিছু খুবই উত্তম হয়েছে। (আদিপুস্তক- ১: ২৯-৩১)।
ঈশ্বর কিন্তু সেভাবেই ব্যবস্থা করেছেন। তিনি কত দয়ালু! সব সৃষ্টির সেরা করে তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তিনি চেয়েছেন মানুষ যেন বিশ্বপ্রকৃতি ও সমগ্র সৃষ্টির যত্ন করে, রক্ষা করে এবং তার উপর প্রভুত্ব করে। এটি মানুষের দায়িত্ব। কারণ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের গৌরব ও মহিমা প্রকাশিত হয়।
ক) নিজে করি।
i) জীবজগতের একটি ছবি আঁকি।
ii) জীবজগৎ ও প্রকৃতি কীভাবে মানুষের উপকারে আসে তা আলোচনা করি।
iii) প্রকৃতি ও মানবজীবন নিয়ে নীরবে ধ্যান করি ও ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।
খ) ভেবে লিখি।
- স্বয়ং ঈশ্বর প্রকৃতির উদ্ভিদ, পশু-পাখি ও জীবজন্তুকে মানুষের খাদ্য হিসেবে দিয়েছেন। মানুষের জীবন প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। প্রকৃতির দান ও দয়ায় মানুষ বেঁচে আছে।
আরও দেখুন...