সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে
শরৎ আসে আমার দেশে।
নীল সাদা জামা গায়ে,
লুকোচুরি খেলা খেলে,
মেঘবাদল আর রৌদ্রছায়।
তোমরা কি খেয়াল করেছ এর মাঝে আকাশটা হয়ে উঠেছে উজ্জ্বল নীল রঙের। তার মাঝে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা। এ সময়ে ভোরের বেলা ঘাসের ডগায় থাকা শিশিরে পা ভিজিয়ে বুঝতে পারি শরৎকাল এসে গেছে। বাংলা বর্ষপঞ্জিটি দেখে নেয়া যাক। আমরা তো জানি, ভাদ্র ও আশ্বিন এই দুমাস শরৎকাল। ইংরেজি আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত শরৎকাল স্থায়ী হয়।
আমরা এরই মধ্যে জেনেছি যে, নীল একটি মৌলিক রং। এই নীল আকাশের সাদা মেঘগুলো কত রকমের আকৃতি বদলায়! কখনো ঘোড়া কখনো গাছ কখনো হাতি তো আবার কখনো মানুষের আকৃতির মতো। আকাশের এলোমেলো মেঘগুলোতে নিজের পছন্দের কিছু খুঁজে পাও কি না দেখো তো!
আমরা আকাশটাকে ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখব, কিছু দিন পরপরই আকাশ তার রূপ পরিবর্তন করছে। আকাশের মাঝে নানান রং খেলা করে। এই রং ছড়িয়ে পড়ে প্রকৃতিতে। এর প্রভাব দেখা যায় রূপসি বাংলার রূপেও। একেক সময়ে বাংলা মায়ের একেক রূপ ধরা পড়ে আমাদের চোখে।
শরৎ হলো স্নিগ্ধতা ও কোমলতার প্রতীক। বর্ষার গাঢ় রঙের মেঘ কেটে গিয়ে শরতের আকাশ হয়ে উঠে ঝকঝকে। কখনো মেঘ আবার কখনো বৃষ্টি। শরতের প্রকৃতি জুড়ে চলতে থাকে আলোছায়ার খেলা। শরতের মসুন নীল আকাশের গায়ে নরম সাদা মেঘ যেন বুনে চলে রূপকথার গল্প। এবার আমরা আরো কিছু ছবি আঁকার উপাদান সম্পর্কে জানব-
আলোছায়া ও বুনট ছবি আঁকার আরো দুটি উপাদান।
আলোছায়া : কোনো বস্তুর যে অংশে আলো পড়ে তাকে আলো আর যে অংশে আলো না পড়ার কারণে অন্ধকার থাকে তাকে ছায়া বলে। রঙের ক্ষেত্রে তা হালকা থেকে গাঢ় অর্থেও ব্যবহার করা হয়।
বুনটঃ কোনো বস্তুর ওপরের অংশের গুণমান দেখা এবং অনুভব করা যায় তাকে বুনট বলে। বুনটকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন- রুক্ষ, মসৃণ, নরম ও কঠিন।
এসময়ে আকাশের বুকে উড়ে বেড়ায় ঝাঁকেঝাঁকে বক। খালে-বিলে দেখা যায় লাল সাদা শাপলা ফুল। নদীর দুই ধারের কাশবনে আসে নতুন প্রাণ। হালকা বাতাসে দুলে দুলে ওঠে কাশবন, যেন এক অপরূপ নৃত্যভঙ্গিমা। নদীর বুকে ভাসে সারি সারি পালতোলা নৌকা। আর দূর থেকে ভেসে আসে মাঝি মাল্লারের কন্ঠের গান। আমরা আগের পাঠে জেনেছিলাম মাত্রা সম্পর্কে। এবার আমরা জানব কেমন করে স্বরের সঙ্গে মাত্রার বন্ধুত্ব হয়।
মাত্রা-১
সা রে গা মা পা ধা নি
মাত্রা-২
সা সা / রে রে গাগা/মামা/পা পা / ধাধা/নি নি
মাত্রা-৩
সা সা সা রে রে রে / গা গা গা মা মা মা / পা পা পা / ধাধা ধা নি নি নি
মাত্রা-৪
সা সা সা সা / রে রে রে রে গা গা গা গা মা মা মা মা পা পা পা পা ধা ধাধা ধা নি নিনি
এ অধ্যায়ে আমরা যা করতে পারি-
শরৎকালের রূপ বৈচিত্র্য দেখে আমরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম, তার সঙ্গে আমরা আমাদের নিজস্ব ভাবনাকে মিলিয়ে একটা নতুন কিছু তৈরির চিন্তা করতে পারি। মনে আছে, আমরা এর আগে কী করেছিলাম? আমরা আঙুলের পাপেট বানিয়েছিলাম। এবার আমরা দুটো হাতকে ব্যবহার করে পুতুল তৈরি করব। হাতের বিভিন্ন ভগ্নিমার মাধ্যমে কোনো কিছু পরিবেশনের প্রস্তুতি নিলে কেমন হয় বলো তো? হুম, দারুণ মজার একটা কাজ হবে তাই না!
পোশাক ও সাজস্বজ্জা
পরিবেশ সৃষ্টিতে এবং চরিত্রের অলঙ্করণে পোষাক, সাজসজ্জা ইত্যাদি হলো নাচ এবং অভিনয়ের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
চলো, উপরের কাব্য নাটিকাটি নিয়ে একটা কাজ করা যাক। আমরা নিজেরাই যদি চরিত্রগুলো হয়ে যাই তো কেমন হয়।