হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ হলো শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত অমৃতময় বাণী হলো গীতা। তৃতীয় পাণ্ডব বীরশ্রেষ্ঠ অর্জুনের সঙ্গে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সময়ে কথোপকথনের পটভূমি হলো এই গীতাগ্রন্থ। তাঁদের এই কথোপকথনের মধ্য দিয়ে ধর্ম, দর্শন, নৈতিকতা, রাজনীতি, সমাজনীতি, গার্হস্থ্যনীতি ইত্যাদি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। গীতা হলো সকল শাস্ত্রের সারগ্রন্থ। গীতা মানুষকে ধৈর্যশীল, সংযমী, নিরহংকার হতে উপদেশ প্রদান করে। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মহাভারতের ভীষ্মপর্বের অন্তর্গত। গীতা গ্রন্থে আঠারোটি অধ্যায় এবং সাতশত শ্লোক রয়েছে। এজন্য গীতাকে সপ্তশতী বলা হয়।
কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ যখন শুরু হবে, তখন দুপক্ষের আপনজনদের দেখে মহাবীর অর্জুন খুব বিষণ্ণ ও মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তিনি কাকে আঘাত করবেন। সকলেই যে তার প্রিয়জন। তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে কর্ম, জ্ঞান, ভক্তি, মোক্ষ বিষয়ে নানা উপদেশ দিলেন। তিনি বলেন, আত্মা জন্মরহিত, মৃত্যুহীন; আত্মাকে কোনোরূপইে ধ্বংস করা যায় না। জীবের মধ্যে আত্মা অবস্থান করে। তাই মৃত্যুর মাধ্যমে দেহের ধ্বংস হলেও আত্মার ধ্বংস হয় না। তাই ধর্মের জন্য যুদ্ধ করা এবং অধর্মের পরাজয়ের জন্য অর্জুনের যুদ্ধ করা একান্ত কর্তব্য।
আরও দেখুন...