নদীভাঙনের শিকার হয়ে একদল মানুষ ঘরবাড়ি, ফসলি জমি হারিয়ে নাখালপাড়ার বস্তিতে আশ্রয় নেয়। বাজারের মাল উঠানামা, হোটেল কর্মচারী, পত্রিকা বিক্রি, ফুলবিক্রি, রিকশা-ভ্যান চালানো ইত্যাদি কাজ করে তারা অতি কষ্টে দিনযাপন করছিলো। একদিন হঠাৎ উৎখাত হয়ে তারা শ্যামলির বস্তিতে আশ্রয় নেয়। শুরু হয় নতুন সংগ্রাম। এভাবে আতংক ও অনিশ্চয়তায় তাদের দিন কাটে।
ইরানের রেজা শাহ পাহলভী ইরানকে একটি আধুনিক সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর জোর দেন। তিনি কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন জমি চাষের জন্য ট্রাকটর আমদানি করেন। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাঁধ দেন, খাল খনন করেন, সার ও কীটনাশকের ব্যবহার করেন। তিনি নাগরিক জীবনকে নিরাপদ করা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করেন এবং প্রয়োজনে নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করেন ।
ফাহিম তার সমমনা বন্ধুদের নিয়ে ‘অন্বেষা সংঘ' গড়ে তোলে। এই সংঘ যুবকদের নানামুখী প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের সাবলম্বী করে তোলে। ইভটিজিং, মাদক সেবন প্রতিরোধ করা, রাস্তা মেরামত, জলাশয় পরিষ্কার, পথশিশুদের খাবার ও পাঠদান, বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা আনয়ন তাদের লক্ষ্য। অনিষ্টকারীদের দমন ও নিপীড়িতদের সাহায্য দানই ছিল তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা-নরসিংদী মহাসড়কে বড় বড় গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছিল। ভারী কিছু লোহার পিলারও ফেলে রাখা হয়েছিল। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে সাময়িক কষ্ট হলেও অপশক্তির সরাসরি হামলা হতে একটি বৃহত্তর জনপদকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একদল লোক স্বাধীনতার বিরোধিতা করে মূল জনগোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। এরা রাজাকার নামে পরিচিত।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক অধিকার রক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে জনমত ও আকাঙ্ক্ষার প্রতি লক্ষ্য রেখে একটি সংবিধান রচিত হয়। এতে নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও দায়িত্ব-কর্তব্য সংরক্ষিত হয়। এই সংবিধান অনুসারেই রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে।
ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে মানুষকে শোষণ করা, মানুষের শক্তিকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার আকাঙ্ক্ষা থেকে ধর্মীয় বিভিন্ন দল ও মতের জন্ম হয়। অনেক ব্যক্তি ভণ্ডামীর আশ্রয় নিয়ে নিজেকে ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী বলে দাবি করে। মানুষ তাদের অন্ধভাবে বিশ্বাস করে তাদের ভক্তি করে এবং অনুসরণ করে। মানুষ নিজের আয়-উপার্জন থেকে সরকারকে কর দেওয়ার বিষয়ে সব সময়েই অনিহা প্রকাশ করে । ইতিহাসে কর না দেওয়ার দাবিতে অনেক বিদ্রোহের পরিচয় পাওয়া যায় ।
আরশাদ মিয়া একটি সিরামিক ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার। তার বিরুদ্ধে দুটি মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়। তিনি তার আপনজনদেরকে প্রতিষ্ঠানের আয়ের একটি বিরাট অংশ অন্যায়ভাবে দান করেছেন। আরও অভিযোগ উঠে যে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে একতরফাভাবে নিজ আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। ফলে অনেক যোগ্য লোক চাকরি পায়নি। অনেককে আবার জোড়পূর্বক চাকুরিচ্যুত করা হয়।
রাজা প্রথম জর্জ ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে রাজতন্ত্রের সূচনা করেন। ক্ষমতা গ্রহণের পরই তিনি রাজতন্ত্রের সুদৃঢ়করণের স্বার্থে সংস্কারমূলক কার্যক্রমে হাত দেন। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রশাসনকে ঢেলে সাজান। এছাড়া স্কটল্যান্ড, উস্টারশায়ার, ম্যানচেস্টার প্রভৃতি কান্ট্রিতে নিজ ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করেন। ক্ষেত্রবিশেষে উদারতা ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দেখালেও একজন দূরদর্শী ও বিচক্ষণ কূটনীতিক হিসেবে তিনি রাজতন্ত্রের জাঁকজমকতা ও আড়ম্বরতায় বিশ্বাসী ছিলেন ।
ইলখানী সুলতান গাজান খান একজন প্রজারঞ্জক শাসক ছিলেন। তিনি জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে সকল প্রকার অন্যায় কর নিষিদ্ধ করেন। তার শাসননীতি ছিল প্রজাকল্যাণ ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা। তিনি অত্যন্ত ন্যায়বান সুচরিত্রের অধিকারী, পরিশ্রমি শাসক ছিলেন সত্য, তবে সাম্রাজ্যের বিভিন্ন মতাবলম্বিদের বিরোধীতা, বহুজাতির সমন্বয়ে গঠিত রাষ্ট্রের দুর্বলতা, ইলখানীদের প্রতি বিরূপ মনোভাব ইত্যাদি কারণে ইলখানী সাম্রাজ্যটি খুব স্থায়ী হয়নি।
চেঙ্গিস খান অত্যন্ত সন্দেহপ্রবণ নিষ্ঠুর ব্যক্তি ছিলেন। ইতিহাসে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তিনি অনেক সময় অমূলক সন্দেহের বশবর্তী হয়েও তার অনেক কাছের বিশ্বস্ত মানুষকে হত্যা করেছেন ৷ রাজবংশ ও সাম্রাজ্য দুর্বল হয়েছে। চেঙ্গিস খানের উত্তর পুরুষ কুবলাই খান সাম্রাজ্য শাসনের সুবিধার পাশাপাশি রাজধানীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রাজধানী কারাকোরাম থেকে পিকিং স্থানান্তর করেন এবং নতুন রাজধানীকে বিভিন্নভাবে সজ্জিত করেন।
ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার জ্ঞানপিপাসু ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘আলোকিত সাহিত্য পরিষদ গঠিত হয়। দেশী-বিদেশী প্রচুর গ্রন্থের সমাবেশ রয়েছে এখানে। এখানে গ্রন্থাবলি সংরক্ষণ, অনুবাদ ও গবেষণার উদ্যোগ নেয়া হয়। এই প্রতিষ্ঠান ভালো লেখক ও নতুন গবেষকদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, আর্থিক অনুদান ও পুরস্কারের ব্যবস্থা করে থাকে ।