মিঃ রাজু একটি উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক। দীর্ঘদিন তার দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ যথাযথভাবে বিকশিত হয়নি। আইনের শাসন ছিল না। কিন্তু বিগত নির্বাচনে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। বর্তমান সরকার অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে অনিয়ম দূর করে প্রশাসনে জুবাবদিহিতা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৯৭৪ সালে ভূখণ্ডগত সমস্যা নিয়ে ছিটমহলবাসীর নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা প্রদানের জন্য “ক ও খ " দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন নানা জটিলতার কারণে উক্ত চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি দু'দেশের সরকার প্রধানের সম্মতিক্রমে চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে ছিটমহলবাসীরা স্থায়ী বসবাসের জন্য স্বাধীন ভূখণ্ড বেছে নেয়। বর্তমানে তারা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সব ধরনের অধিকার ও স্বাধীনতা উপভোগের সুযোগ পাচ্ছে।
মি. মানিক ইদিলপুর গ্রামে “অগ্নিশিখা” নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রামের অধিকাংশ স্বল্পশিক্ষিত লোক সন্ধ্যায় এখানে একত্রিত হয়। তিনি তাদেরকে পত্র-পত্রিকা পড়তে, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যেতে, টেলিভিশন দেখতে উপদেশ দেন। যাতে আগাম নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে। কিন্তু তারা স্বল্পশিক্ষিত হওয়ায় রেডিও শুনে ও টেলিভিশন দেখে সময় কাটায়।
মি. 'ক' একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি দুই বছর আগে অবসরে গেলেও আজ পর্যন্ত পেনশন মঞ্জুর করাতে পারেননি। তার ফাইলটি বিভিন্ন টেবিলে ঘুরাঘুরি করে সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় পড়ে আছে। এ অবস্থায় তিনি স্থানীয় জন প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি বলেন- “এটা আমার কাজ নয় । সুতরাং আপনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন।”