জনাব রায়হান আমের জুস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম ক্রয় করে সেগুলো প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে আমের জুস তৈরি করে সারা বছরব্যাপী বাজারে বিক্রয় করেন। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তিনি আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন। বর্তমানে জনাব রায়হানের তৈরিকৃত আমের জুস বাজারে বেশ জনপ্রিয়।
'ক' নামক প্রতিষ্ঠানে ২০২০ সালে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য ছিল ১৫,০০,০০০ টাকা। এ সময় কোম্পানির ব্যবহৃত উপকরণের মূল্য ছিল যথাক্রমে কাঁচামাল ৪,০০,০০০ টাকা, বেতন ও মজুরি ২,০০,০০০ টাকা, যন্ত্রপাতি ২,৫০,০০০ টাকা, অন্যান্য ব্যয় ৫০,০০০ টাকা। অন্যদিকে 'খ' নামক প্রতিষ্ঠানের ২০২০ সালে ১৬,০০,০০০ টাকার পণ্য উৎপাদন করে যেখানে উপকরণের ব্যয় ছিল যথাক্রমে কাঁচামাল ৪,৫০,০০০ টাকা, বেতন ও মজুরি ২,০০,০০০ টাকা, যন্ত্রপাতি ২,০০,০০০ টাকা এবং অন্যান্য ব্যয় ৭০,০০০ টাকা।
রবিন সাহেব দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। ৭ বছর আগে তিনি দেশে ফিরে তার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে পৈত্রিক ভূমিতে চাষাবাদ শুরু করেন। তার জমি কমলালেবু উৎপাদনে খুব উপযোগী। ২০১৭ সালে তিনি শ্রম ও মূলধন বাবদ ৫,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ৭ মেঃ টন। কমলালেবু উৎপাদন করেন। ২০১৮ সালে তিনি একই জমিতে ৫,৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ৮ মেঃ টন, ২০১৯ সালে ৬,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ৯.২ মেঃ টন, ২০২০ সালে ৬,৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ১০ মেঃ টন এবং ২০২১ সালে ৭,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ১০-৫০ মেঃ টন কমলালেবু উৎপাদন করেন।
X তার বন্ধু Y কে নিয়ে চুক্তির ভিত্তিতে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে। এখানে শ্রমিকদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও সামর্থ্যের ভিত্তিতে তাদের মধ্যে কাজ বণ্টন করে দেয়া হয়। ফলে শ্রমিকরা সন্তুষ্টচিত্তে তাদের দক্ষতার প্রয়োগ ঘটাতে পারে। বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পণ্য বাজারে ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন হওয়ায় দুই বন্ধু চিন্তা করছেন যে প্রতিষ্ঠানটিকে কৃত্রিম ব্যক্তিস্বত্তার অধিকারী ও নির্দিষ্ট আইনের দ্বারা গঠন করবেন। যেখানে আরো ব্যক্তিবর্গ ব্যবসায়ে সম্পৃক্ত হতে পারবে এবং ব্যবসায়ের পরিধি সম্প্রসারিত হবে।
মিঃ আলম একজন ক্যানসার রোগ বিশেষজ্ঞ। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রোগীরা তার সেবা নেওয়ার জন্য আসে। তিনি মনে করেন, ধুমপান ক্যানসার রোগের একটি অন্যতম কারণ। রোগীদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ‘প্রত্যয়' নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। এটি সারা দেশে ধুমপান বিরোধী বিভিন্ন ধরনের প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আইকন কোম্পানি একটি গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সাথে গাড়ি উৎপাদন করে আসছে। তারা উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় পণ্যকে অধিক কার্যকর ও মানসম্পন্ন করার লক্ষ্যে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটিয়ে বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতি PERT এর মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে তারা পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমানোর কথা ভাবছে। যাতে ক্রেতারা কম মূল্যে মান সম্পন্ন পণ্য ক্রয় করতে পারে পাশাপাশি যাতে মুনাফার পরিমাণ ও বৃদ্ধি পায়। এই বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করে তারা উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কুয়াকাটায় হোটেল সানসেট' একটি অত্যাধুনিক হোটেল। এই হোটেলে দেশি-বিদেশি ভ্রমণ পিপাসুদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি সুইডেনের এক দম্পতি তাদের হোটেলে আসেন। এই দম্পতি তাদের হোটেলে বিশেষ ধরনের খাবার অর্ডার করেন এবং হোটেল থেকে একজন গাইড নিয়ে দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের কথা জানান। হোটেল কর্তৃপক্ষ ঐ দম্পতির চাহিদা মোতাবেক সবকিছুর ব্যবস্থা করেন।
'বাসন্তী' বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি নতুন প্রযুক্তি ও উন্নত কৌশল ব্যবহার করে নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করে। এতে উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পায় তেমিন উৎপাদন ব্যয় ও অপচয় হ্রাস পায়। আসন্ন ধর্মীয় ও বৈশাখী উৎসবকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানটি নিত্য নতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, শাড়ি, শার্ট ইত্যাদি উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
‘স্মার্ট-টেল' একটি মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বাজারে তারা নতুন প্যাটার্নের স্মার্ট ফোন নিয়ে আসতে চাচ্ছে। এজন্য তারা ক্রেতাদের পছন্দ পর্যালোচনা, বাজার গবেষণা, প্রতিযোগী পণ্য বিশ্লেষণসহ নানা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের নতুন আবিষ্কৃত স্মার্ট ফোনে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, ভোক্তার মধ্যে নতুন রুচির আগ্রহ সৃষ্টি ও প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করার মত নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ‘স্মার্ট-টেল' কোম্পানি পণ্যের নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে বাজার সম্প্রসারণের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ।
‘ভিশন-২০’ একটি বিখ্যাত ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি। তাদের উৎপাদিত এলইডি ও স্মার্ট টিভি বাজারে বেশ জনপ্রিয়। কোম্পানিটি ভোক্তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পণ্যের মান সংরক্ষণ, মানের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও বিচ্যুতি হলে সংশোধন করে। এজন্য তাদের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বেশি। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে তারা উন্নত প্রযুক্তির টিভি বাজারে ছাড়ার চিন্তা করছে। এজন্য উৎপাদন পূর্ববর্তী সময়ে তারা শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, উৎপাদন প্রক্রিয়া পুণঃডিজাইন করা এবং ত্রুটি চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন যাতে বাজারে তাদের পণ্যের সুনাম অক্ষুণ্ণ থাকে।
‘প্রগতি’ একটি দেশীয় ওয়াটার পাম্প উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কর্মীদের সম্পৃক্ততা, মানের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও ক্রেতাদের সন্তুষ্টি এই তিনটি মূলনীতির আলোকে তারা উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে। বর্তমানে তাদের পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা ব্যবসায় সম্প্রসারণের চিন্তা করছে। দেশের বাহিরে তারা পণ্য রপ্তানির জন্য আন্তর্জাতিক সনদ সংগ্রহের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।