জনাব মাসুদ বণ্টন প্রণালিতে অবস্থান করেন। মধ্যস্থ ব্যবসায়ী হিসেবে প্রথমতঃ তিনি এমন এক কাজ সম্পাদন করেন, যার মাধ্যমে পণ্যের মালিকানা স্বত্ব তার নিকট হতে ক্রেতার নিকট হস্তান্তরিত হয়। আবার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তিন উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ করেন এবং মৌসুম শেষে তা ক্রেতাদের মাঝে সরবরাহ করেন। এর ফলে একদিকে যেমন উৎপাদকরা ন্যায্যমূল্য পায় অন্যদিকে তেমনি সারা বছর ধরে ভোক্তারাও উক্তপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ পেয়ে থাকে ।
জনাব মাহির একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের মান ভাল হওয়ায় বিক্রয় ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ পরবর্তী আর্থিক মন্দার কারণে পণ্যের বিক্রয় কমে যাওয়ায় গুদামে অনেক পণ্য মজুদ হয়। এমতাবস্তায় তিনি কিছু সময়ের জন্য মূল্য ছাড় ও নমুনা বিতরণের ব্যবস্থা করেন। তদুপরি প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ শুরু করে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় বৃদ্ধি পায় এবং জনাব মাহির চিন্তামুক্ত হন।
জনাব সেলিম দিনাজপুরে লিচু বাগান লিজ নেন। স্থানীয় ফরিয়ারা তাকে সাহায্য করে। উন্নত সংরক্ষণ সুবিধা না থাকায় তিনি ছোট-বড় মিলে গড়দামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নিকট লিচু বিক্রয় করেন। ব্যবসায়ীরা ছোট, মাঝারি এবং বড় তিনভাগে ভাগ করে লিচু বিক্রয় করেন। এতে ছোট ব্যবসায়রা লাভবান হলেও জনাব সেলিম তেমন মুনাফা পান না ।
জনাব মারুফ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আনারসের উপর ভিত্তি করে খাগড়াছড়ির রামগড়ে আনারস জুস তৈরির একটি অত্যাধুনিক কারখানা স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদিত জুস ১০০ এমএল, ২০০ এমএল, ৫০০ এমএল ও ১০০০ এমএল-এর বোতলে সরবরাহ করে যা শিশু, যুবক এবং বৃদ্ধ সবার কাছে খুবই জনপ্রিয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক সাফল্য আশাতীত। সম্প্রতি এটি বিভিন্ন কালার ও ফ্লেভারের জুস বাজারে নিয়ে আসে এবং তা বাজারে বেশ সারা জাগিয়েছে।
মি. মল্লিক একজন ঘড়ি প্রস্তুতকারক। তিনি 'কিং টাইমার' নামে নতুন একটি ঘড়ি বাজারে নিয়ে আসেন। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এখন এটি বাজারে সর্বোচ্চ বিক্রিত ঘড়ি। এতে মি. মল্লিকও সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছেন। ইদানিং বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নতুন ঘড়ি নিয়ে বাজারে প্রবেশ করায় তিনি তিব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন । এমতাবস্থায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও ঘড়ি বিক্রি আশানুরূপ না হওয়ায় মি. মল্লিক ঘড়িটির উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন ৷
নিশাত কসমেটিকস নতুন একটি রং ফর্সাকারী ক্রিম বাজারে নিয়ে আসে। পণ্যের ব্যাপক প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন চ্যানেলে নৈর্ব্যক্তিক উপস্থাপনার পাশাপাশি বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতাদের নিকট পণ্যের গুনাগুণ তুলে ধরেন। এতদসত্ত্বেও পণ্যের বিক্রি সন্তোষজনক না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ নগদ ১০% ছাড়, ৫টি কিনলে ১টি ফ্রি এবং ১,০০০ টাকার পণ্য কিনলে একটি আকর্ষণীয় মগ ফ্রি প্রদান করেন। এতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পণ্য বিক্রি আশাতীত বেড়ে যায়।