আরিফা এন্টারপ্রাইজ' একটি নামকরা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি সুপারি গাছের উন্নতমানের খোলক দিয়ে আকর্ষণীয় ডিজাইনের ওয়ানটাইম প্লেট উৎপাদন ও বিপণন করে। সমাজের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশ বান্ধব পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের প্রতি প্রতিষ্ঠানটি বেশি গুরুত্ব দেয়। প্রতিষ্ঠানটি তাদের পণ্যের বিভিন্ন তথ্য Facebook, Twitter, YouTube ও SMS এর মাধ্যমে সরবরাহ করে। এতে
ব্যাপকভাবে বিক্রয় বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিষ্ঠানটি সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়।
‘ক কলেজ শিক্ষা সফর হিসাবে কুয়াকাটায় দুই দিনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গেলেন। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জন্য একটি হোটেলে আটটি রুম বুকিং দেয়া ছিল। হোটেল ম্যানেজার ছাত্র-ছাত্রী, ম্যাডাম ও স্যারদের রুচি, পছন্দ ও চাহিদা বিবেচনা করে সর্বোচ্চ মান সম্পন্ন খাদ্য ও সেবা প্রদান করেন ।
অন্যদিকে ‘খ কলেজ’ শিক্ষা সফর হিসাবে কুয়াকাটা গিয়ে যথারীতি তাদের ন্যায় হোটেলে উঠেন। হোটেল ম্যানেজার দেশি খাবারের পাশাপাশি চাইনিজ খাবারের আয়োজন করেন। তিনি খাবারগুলো এমনভাবে প্রস্তুত করেন যা স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশ বান্ধব। ফলে খাবারগুলো সবার কাছে সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠে।
মাছ ব্যবসায়ী রাজ্জাক খুলনা, বরিশাল, মাওয়া থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এনে ঢাকায় বিক্রয় করেন। সুস্বাদু এসব মাছের চাহিদা ব্যাপক। তিনি নিজ ব্যবস্থাপনায় বরফের সাহায্যে মাছের গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা করেন। চলতি মৌসুমে প্রচুর মাছ ধরা পড়ায় মাছের দাম কিছুটা কম। এ কারণে ক্রেতারাও প্রচুর পরিমাণে মাছ কিনছে। কিন্তু মাছ রাখার পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকার কারণে তিনি চিন্তিত ।
জনাব সুমন কয়েক জন বন্ধু বান্ধব নিয়ে বরিশালে একটি কোল্ড স্টোরেজ গড়ে তোলেন। উক্ত কোল্ড স্টোরেজে বিভিন্ন এলাকার আলুচাষী ও ব্যবসায়ীরা আলু সংরক্ষণ করেন। উক্ত আলু গ্রেডিং এর মাধ্যমে বাছাই করে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো হয়। এর ফলে ক্রেতারা যেমন পছন্দ অনুসারে আলু ভোগ করতে পারে তেমনি আলু চাষী ও ব্যবসায়ীরা উপযুক্ত মূল্য পেয়ে থাকেন। এতে জনাব সুমন পাশাপাশি আলুচাষী ও ব্যবসায়ীরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
“হীরা বাংলাদেশ লিঃ” বেবি ফুড বিপণনকারী একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি ‘মাসকারা’ ও ‘স্টারভিউ' নামে দু'টি ব্র্যান্ডের বেবি ফুড বিপণন করে। মাসকারা বেবি ফুডের জনপ্রিয়তা ক্রমাগতভাবে বেড়ে-যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি বন্টনপ্রণালী সম্প্রসারণের উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
অন্যদিকে, স্টারভিউ ব্র্যান্ডের পণ্যটি দীর্ঘদিন ধরে ভোক্তাদের কাছে সুপরিচিত ও জনপ্রিয়। বর্তমানে এ পণ্য তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হওয়ায় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
ফারিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড 'মাই চয়েজ' ব্র্যান্ডের কলম উৎপাদন করে। উক্ত কলমের উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্য নিম্নরূপ:
একক প্রতি পরিবর্তনশীল ব্যয়= ৫ টাকা
মোট স্থায়ী ব্যয় = ১,৫০,০০০ টাকা
প্রত্যাশিত মোট উৎপাদন/বিক্রয়ের পরিমাণ = ৫০,০০০ একক
মোট বিনিয়োগের পরিমাণ = ৮,০০,০০০ টাকা
বিক্রয়ের উপর টার্গেট মুনাফা ২৫% ।
বউ বাজার শপিং কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসারে ঈদ উপলক্ষ্যে রমজান মাসব্যাপি প্রতিটি বিপণিতে ১,০০০ টাকা কেনাকাটা করলে একটি করে কুপণ সরবরাহ্ করে। ঈদের তিন দিন পরে কর্তৃপক্ষ যথারীতি র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভাগ্যবানদের নিউ ব্র্যান্ডের গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেন। এ সম্পর্কিত তথ্য “বউ বাজার কমপ্লেক্স” কর্তৃপক্ষ র্যাফেল ড্র এর সময় টেলিভিশনে ব্যাপকভাবে প্রচার করায় সেখানে প্রচুর গ্রাহক সমাগত হয় এবং ব্যবসায়ীরাও আশাতীত মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়।
আলিফ ফুডস লিঃ” আমের জুস তৈরি করে ‘ফ্রেস জুস' নামে পণ্যটি বাজারে নিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি জুসের কিছু মিনি স্যাম্পল তৈরি করে বিনামূল্যে টার্গেট ক্রেতার নিকট বিতরণ করে সফল হয়। পণ্যটি বাজার সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জনাব এস মাহিন ইন্ডিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে তরুণীদের জন্য মার্ক ফ্যাশনের টি-শার্ট ও থ্রি-পিছ আমদানি করেন। তার আমদানিকৃত পোশাকসমূহ গুণগত মানে ও ডিজাইনে অনন্য। এ পোশাকসমূহ তিনি ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে শো-রুমের মাধ্যমে বিক্রয় করেন। মাঝে মাঝে তিনি পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও মূল্য ছাড় দেন। জনাব এস মাহিনের শো-রুম থেকে যুক্তিসঙ্গত মূল্যে মার্ক ফ্যাশনের পোশাক ক্রয় করতে পেরে আধুনিক তরুণ-তরুণীরা খুবই খুশি। এর ফলে তার শো-রুমের বিক্রয় বেড়েই চলছে ।
‘মেঘনা গ্রুপ' বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি। তারা জুস এবং কোমল পানীয়সহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রী বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন বাবদ প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তাছাড়া পণ্যসজ্জা, মেলা ও প্রদর্শনী, নমুনা বিতরণ, ট্রেড শো প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমেও পণ্যের বিক্রয় বাড়ানোর চেষ্টা করে। তাদের প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘আকিজ গ্রুপ' অন্যতম। তারাও বিজ্ঞাপনে বিক্রয় প্রসার কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে ‘আকিজ গ্রুপ' ঢালাওভাবে বিজ্ঞাপনের সব মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করে না।