'ক' অঞ্চলটি দীর্ঘদিন বিদেশি শক্তি দ্বারা শাসিত হয়ে আসছে। এ অঞ্চলের প্রধান দুটি সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধভাবে বিদেশি শক্তিকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করে আসছিল। বিদেশি শক্তি এ ঐক্যবদ্ধ চেতনাকে নষ্ট করার জন্য 'ক' অঞ্চলটিকে ভৌগোলিকভাবে এমনভাবে ভাগ করে যাতে সম্প্রদায় দুটি পরস্পরের সাথে স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের উদ্ভব ঘটে এবং এ দলটিই পরবর্তীতে একটি স্বাধীন ধর্মরাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা পালন করে
'এ' রাষ্ট্রটি ২০১০ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। উক্ত রাষ্ট্রে ২০১২ সালে কার্যকর হওয়া সংবিধান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার প্রবর্তন করা হয় এবং কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়। তবে কেন্দ্রে দায়িত্বশীল সরকার প্রবর্তন করা হয়নি। প্রদেশে স্বায়ত্তশাসন ছিলনা কিন্তু দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে সংশোধনীর মাধ্যমে কেন্দ্রে দায়িত্বশীল সরকার প্রবর্তন করা হয় এবং প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন কার্যকর হয়। প্রদেশের তালিকাভুক্ত বিষয়গুলোর উপর কেন্দ্রের কোনো প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তবে প্রাদেশিক গভর্নর প্রদেশের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান ছিলেন। তিনি আইন প্রণয়ন কিংবা শাসন সংক্রান্ত কাজে হস্তক্ষেপ করতেন না।
বিশাল আয়তনের রূপনগর অঞ্চলটিতে উপনেবেশিক শাসনের জন্য বিদ্যমান। অঞ্চলটিতে প্রধানত দুটি সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজ সম্মোহনী নেতা বিরোধী দলীয় সম্মেলনে রাজনৈতিক সমস্যা নিরসনের জন্য একটি প্রস্তাবপেশ করে। প্রস্তাবে সংখ্যালঘুরা যেসব স্থানে সংখ্যাগরিষ্ঠ সেইসব অঞ্চল নি একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা হলা হয়। এ প্রস্তাবটি সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলে এবং একদশকের মধ্যেই রূপনগর ভেঙ্গে কয়েকটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
"ক" একটি সদ্য স্বাধীন দেশ। ধর্মভিত্তিক জাতীয়তার সূত্র ধরে 'খ' ও 'গ' নামে দুটি প্রদেশ নিয়ে দেশটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু 'খ' প্রদেশটি স্বাধীনতার শুরু থেকেই সকল ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়। ফলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয় এবং 'খ' প্রদেশে একটি রক্তক্ষীয় আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। এ আন্দোলনই 'খ' প্রদেশের জনগণের মধ্যে নতুন জাতীয়তাবাদের উম্মেষ ঘটায়।
MN নামক দুটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত একটি বৃহৎ রাষ্ট্রের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিদ্যমান ছিল। M প্রদেশের নেতৃবৃন্দরাই স্বাধীনতার শুরু থেকে শাসন ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল। সে কারণে M প্রদেশটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নানা বৈষম্যের শিকার হয়। N অঞ্চলের একজন মহান নেতা বৈষম্য অবসানের লক্ষ্যে কয়েকটি দাবি পেশ করে। উক্ত দাবিতে প্রাদেশিক রাজস্ব ব্যবস্থা, সুশাসন, বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রাদেশিক সরকারের ক্ষমতা ও সরকারি চাকরিতে N প্রদেশের জনগণের জন্য কোটা সিস্টেম রাখার কর্মসূচি পেশ করা হয়।
১৮৬৩ সালে আমেরিকা যখন গৃহযুদ্ধের কারণে রক্তাক্ত, শোকে স্তন এবং রাজনৈতিকভাবে দিশাহীন: ঠিক এমনই সময় গেটিসবার্গে আগ্রাহাম লিংকন তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। আমেরিকা স্বাধীন বা রাখা, গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামো প্রদান, শোষণ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা ও দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এ ভাষণ অবিস্মরণীয়। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় এবং এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতির জনক হিসেবে পরিচিত।
শাশ্বত সম্প্রতি পড়াশুনা শেষ করে চাকরি খুঁজছে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত নানা নেতিবাচক সংবাদ সে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারে। সে হতাশ হয়ে মনে মনে ভাবতে থাকে যে, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হওয়া উচিৎ স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বিধিবদ্ধ সংস্থা, যাতে করে স্বাচ্ছ ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের কর্মচারী নিয়োগদান সম্ভব হয়।
মি. 'X' প্রায়ই হাসপাতালে রক্তদান করতেন। হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ সর্দি-কাশিও নিরাময় হচ্ছিল না। ডাক্তার পরীক্ষা করে বললেন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হলো তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। ছোট মেয়েটি এখনো মায়ের দুধ পান করছে। বড় ছেলেটি 'X' এর হাতে নিয়মিত ভাত খেত।
সালমা বেগম একজন কর্মজীবী মহিলা। তিনি সংসারের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিজেই বাজার থেকে কিনে আনেন। মাছ কিনতে গিয়ে তিনি প্রায়ই বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন ; মাছ বিক্রেতারা তাকে নানা কটূক্তি করে। তা সত্ত্বেও তিনি দমে যাননি। মাছ নষ্ট হওয়া রোধে ফরমালিনের যথেচ্ছ ব্যবহার এবং মাছের ফুলকায় কৃত্রিম রং ব্যবহার এর বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা সোচ্চার ছিলেন।