রনক একজন শিক্ষিত বেকার যুবক। তিনি যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিলেন। তিনি তার নিজের পুকুরে মাছ চাষ শুরু করলেন। তিনি পুকুরে সার, চুন সবকিছু দিলেন কিন্তু বাড়তি কোনো খাবার দিলেন না। তাই তিনি কাঙ্ক্ষিত ফললাভে ব্যর্থ হন। পরবর্তী সময়ে মাছ চাষের ধাপগুলো সুচারুরূপে সম্পন্ন করেন। তিনি পুকুরের প্রাকৃতিক খাদ্যের উপস্থিতি পরীক্ষা করলেন এবং বাড়তি খাবার প্রয়োগ করলেন। এবারে তিনি মাছ চাষে সফলকাম হলেন।
ফারজানা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ পশুপালন অনুষদ থেকে পাশ করে বাণিজ্যিকভাবে মুরগির বাচ্চা উৎপাদন খামার তৈরি করে স্বাবলম্বী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এ মর্মে তিনি মুরগির ডিম ফোটানোর ঘর তৈরি করে বৈদ্যুতিক ইনকিউবেটর কিনে আনলেন। বাচ্চা ফুটানোর ডিমগুলো তিনি নিজে বাছাই করে তা বৈদ্যুতিক ইনকিউবেটরে সঠিকভাবে স্থাপন করলেন। পরের কাজগুলো তিনি সূক্ষ্মভাবে করলেন। ফলস্বরূপ তিনি সর্বোচ্চ সংখ্যক বাচ্চা পেলেন ।
কবির সাহেবের ৫০০ মুরগির একটি লেয়ার ফার্ম আছে। একদিন সকালে তিনি লক্ষ্য করলেন কিছু মুরগি ঘরের কোণায় ঝিমুচ্ছে। মুরগির মল সাদা চুনের মত ও তাতে সবুজ-হলুদ মিশ্রণ। পাখা, ঘাড় ও পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত। এ সমস্যা সমাধানে একজন পশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তিনি বললেন যে, তার খামার মারাত্মক রোগে আক্রান্ত। রোগ নিরাময়ের জন্য প্রতিকার ও প্রতিরোধের জন্য যা করণীয় তা তিনি বুঝিয়ে দিলেন।
আবুল কালাম পাঁচ বছর পূর্বে তিনটি গরু নিয়ে ক্ষুদ্র খামার শুরু করেন। ধীরে ধীরে গরুর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে তার খামারে গরুর সংখ্যা প্রায় পাঁচশত। কিছুদিন পূর্ব থেকে তার খামারের ১০টি গরুর মুখে, জিহ্বায় ও ক্ষুরে ঘা হয়। পশু খুড়িয়ে হাঁটে ও শক্ত কিছু খেতে পারে না। আবুল কালাম পশু সম্পদ কর্মকর্তার নিকট গেলে তিনি তাকে সঠিক পরামর্শ দেন।
আবুল হোসেন একজন নিঃস্বার্থ বৃক্ষ প্রেমিক। পেশায় তিনি ছিলেন একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক আর নেশা ছিল নিজ হাতে খালি জায়গায় বৃক্ষ রোপণ করা। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালের বীজ সংগ্রহ করে সেই বীজ তার গ্রামের রাস্তার দুই ধারে রোপণ করতেন। তার লাগানো তালগাছগুলো অনেক বড় হয়েছে। এই গাছগুলো গ্রামের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি করেছে এবং গ্রামবাসী অনেক সুফল পাচ্ছে। মিডিয়াতে তার নাম ডাক প্রচার হয়েছে কিন্তু তিনি কিছুই জানেন না। কারণ আজ তিনি বেঁচে নেই, বেঁচে আছে তার রোপণ করা গাছপালা ও সম্মান।