'বিশ্বকাপ ফুটবল' ২০২২-এর উদ্বোধনী আসর অনুষ্ঠিত হয় কাতারের আলবাইত স্টেডিয়ামে। মঞ্চে আসেন দুহাতে ভর দিয়ে চলা বিশ বছরের যুবক গানিম আল মুফতাহ। গানিমের সুললিত কণ্ঠে কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে জমকালো আসর শুরু হয়। কে এই গানিম? জন্মগতভাবেই তাঁর দুটি পা নেই। এজন্য শিশুকাল থেকে তাকে পদে পদে সামাজিক বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। তবে তাঁর মা-বাবা দুজন দুটি পা হয়ে সন্তানের সঙ্গে থেকেছেন, প্রেরণা যুগিয়েছেন। তাই তো তিনি বিশ্বের দরবারে একজন মোটিভেশনাল স্পিকার হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
পেশাজীবী দম্পত্তির একমাত্র সন্তান মাহিম। মায়ের ইচ্ছা সে একজন সফল প্রকৌশলী হবে। তাই মা সাবরিনা সিলেবাস বহির্ভূত কোনো বই পড়তে দেখলে অত্যন্ত বিরক্ত হন। তবে বাবা সাইফুল সাহেব পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। বাবার এমন অনুপ্রেরণায় মাহিম যেমন সহজেই বুয়েটে চান্স পায় তেমনি শুভ্র চিন্তা চেনতায়ও সে হয়ে ওঠে সমৃদ্ধ।
( i) সুরমার তীরে হয়নি বসা
সে তো অনেক কাল
হয়না দেখা উথাল হাওয়ায়
উড়ছে নায়ের পাল।
(ii) একটা নদী কলকলিয়ে দুলদুলিয়ে চলে
দুই কূলে তার দুঃখ, সুখের হাজার কথা বলে।
রাগলে নদী গর্জনে তার বুক কাঁপে থরথর
শান্ত হলে অনেক সুখে জাগায় বুকে চর।
চরের বুকে বাঁধলে সে ঘর প্রাণের মেলায় হাসে
শান্ত নদী যমুনা সে জীবন ভালোবাসে।
স্ত্রীর অনাথ ছোটবোন কিশোরী আলোর দায়িত্ব পড়ে শফি মোল্লার ওপর। এদিকে সদ্য বিপত্নীক পৌঢ় বড় ভাই মন্টু মোল্লার সংসার সামলানো এবং সেবাযত্নের জন্য লোকেরও প্রয়োজন পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে শফি মোল্লার বড় ভাইয়ের সাথে শ্যালিকার বিবাহ স্থির করেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী আবিদা এতে প্রতিবাদ করেন এবং বোনকে নিয়ে রাগে ও দুঃখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
রূপার বাবা মহিব, সাহেব আলী পীরের একজন অন্ধভক্ত। আজ পীর সাহেব রূপাদের বাসায় এসেছেন। পীর সাহেব আসলে রূপার মা রেনুকা বেগম পীরের আরামে থাকার ব্যবস্থাসহ পছন্দনীয় খাবার তৈরিতে অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে যান। সন্ধ্যাবেলা রূপা ছাদে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। ঘরে এসে কিছুক্ষণ পরে সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু বিষয়টা পীর সাহেবের কান পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। রূপাকে ঘরে নিয়ে এসে পীর সাহেব ঝাড়ফুক দিতে থাকেন। এতে রূপা রেগে গিয়ে বলে, আমি ডাক্তারের কাছে যাবো।