প্রতিবন্ধীরা জীবনের স্বাভাবিক ধারায় অন্যদের মতো সমানতালে এগিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু সঠিক মনোযোগ, সহযোগিতা ও সুযোগ-সুবিধা পেলে তারাও দুঃখের অন্ধকার ছেড়ে আলোকিত জীবনের অধিকারী হতে পারে। এমনকি হয়ে উঠতে পারে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ও বরেণ্য ব্যক্তিদের একজন। মহাকবি হোমার একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছিলেন। ইলিয়াড, ওডেসি তাঁরই সৃষ্টি।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী যোবায়েরের প্রবল ঝোঁক বই পড়ার প্রতি। পাঠ্যবইয়ের বাইরে কবিতা, উপন্যাস, সাইন্সফিকশন, গোয়েন্দা কাহিনী ইত্যাদি বিষয়ে তার বিস্তর আগ্রহ। তার বাবাও তাকে বই পড়তে ও বই কিনতে উৎসাহিত করেন। পড়ার আগ্রহ দেখে বাবা তাকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে ভর্তি করে দেন। একদিন সে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের লাইব্রেরির সদস্য হয়।
একদা রাতে হাজী মুহাম্মদ মুহসীন ঘুমাচ্ছিলেন। মাঝরাতে একটি শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দেখলেন তার ঘরে একজন অপরিচিত লোক ঢুকেছে। মুহসীন বললেন, "কে তুমি? আমার ঘরে কেন প্রবেশ করেছ?" লোকটি সভয়ে বলল, "আমি তিন দিন ধরে কিছু খাইনি, আমার কাছে কোনো টাকা পয়সা নাই।" মুহসীনের দয়া হল। তিনি লোকটিকে কিছু টাকা দিয়ে বিদায় করলেন।
একমাত্র ছেলে করিম ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে তার মা রহিমা বেগম তাকে একটি নামকরা হাসপাতালে ভর্তি করান। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে দিশেহারা মা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন। ছেলের সুস্থতার জন্য মা রোজা মানত করেন। উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে তিনি ছেলেকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবেন। অসুস্থ করিমকে দেখতে নানারকম ফলমূল নিয়ে আত্মীয়-স্বজন হাসপাতালে ভীড় জমায়।
৭ই মার্চ ভাষণ দিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওই ভাষণে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। মোস্তফা কামাল তখন চব্বিশ বছরের যুবক। বক্তাবন্ধুর ভাষণ শুনে তার বুক ফুলে ওঠে। এপ্রিল ১৯৭১। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এগিয়ে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে। তাদের ঠেকানোর জন্য মোস্তফা কামালসহ মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নিয়েছে দরুইন গ্রামে।
জামাল সাহেব একজন নামকরা পীর। দেশের সারা অঞ্চলে তার মুরিদ আছে। পানি পড়া, তাবিজ দেয়া, জ্বিনের মাধ্যমে চিকিৎসা করেন তিনি। এভাবেই মুরিদদের কাছ থেকে অর্থকড়ি আয় করেন। পীরের একমাত্র ছেলে আরিফ এসব পছন্দ করে না। সে চায় লেখা-পড়া করে সে ডাক্তার হবে। মানুষের চিকিৎসাসহ নানা রকম সেবা করবে। পরিবারের সবাই চায় আরিফ তার বাবার পেশা চালিয়ে যাক।