ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থী শিহাব পরীক্ষা শেষে গ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। স্থানীয় হাটে সে দেখে একজন বীণ বাজাচ্ছেন আর অন্য একজন তার সাথে বেহুলা- লখিন্দরের করুণ কাহিনি শোনাচ্ছেন। এগুলো ভালো লাগে তার। কিছুক্ষণ শোনার পর ঘরে ফিরে মায়ের কাছে পুরো কাহিনি জানতে চাইলে মা বলেন, "এগুলো সেকেলে। তোমার এগুলো শেখার দারকার নেই। তুমি বরং পাঠ্যবইয়ের প্রতি মনোযোগী হও।" কিন্তু শিহাব দমে না গিয়ে পরের দিন আবার হাটে যায় এবং সেখানে শিল্পীদের পরিবেশিত 'মহুয়ার' পালাটি মোবাইলে ভিডিও করে ইউটিউবে ছেড়ে দেয়। দুই দিনের মধ্যে ভিডিওটি পাঁচ হাজারের বেশি লাইক ও শেয়ার পায়। বিস্ময়ে অভিভূত হয় শিহাব।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সিএনজি চালিত অটোরিক্সাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে দু'জন নিহত হয় এবং অপর চারজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে। দুর্ঘটনাস্থলে একজন পথচারী নিহত ও আহত যাত্রীদের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। অথচ পাশ্ববর্তী স্কুলের একজন শিক্ষক ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশকে খবর দেন। পাশাপাশি তিনি আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
সিয়ামের বাবা রাঙামাটি জেলার বন বিভাগের কর্মকর্তা। এস এস সি পরীক্ষা শেষে সে বাবার কাছে রাঙামাটি বেড়াতে যায়। সেখানে জঙ্গলাবৃত পাহাড়ি পরিবেশ। বিকাল হতে না হতেই বুনো মশাদের উপদ্রব শুরু হয়। ম্যালেরিয়ার মৃত্যু যেন সেখানে নৈমিত্তিক ব্যাপার। রাতের অন্ধকার নামলেই শোনা যায় বিভিন্ন বন্য প্রাণীর ডাক। ভয়ে গা ছম ছম করে তার। আছে সাপের ভয়ও। দিনের বেলাতেও একাকী বাইরে বেড়ানো যায় না। এ অবস্থা ভালো লাগে না তার। তাই কয়েকদিন যেতে না যেতেই সে নিজ বাসা ঢাকায় ফিরে আসতে চায়।
স্তবক-১:
মহাত্মা গান্ধী উদার মানসিকতা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। নিজ স্বার্থ ভুলে তিনি তাদেরকে ভাই বলে, বন্ধু বলে কাছে টেনে নিয়েছিলেন। তাদেরকে না খাওয়াতে পারলে নিজেও না খেয়ে থেকেছেন। এখানে তিনি ধনী-গরিব, জাতি-ধর্ম বিচার করেননি।
স্তবক-২:
আবু ইসহাকের 'জোঁক' গল্পে দেখা যায়, মহাজনেরা বিভিন্ন অজুহাতে গরিব বর্গাচাষীদের কষ্টের ফসল অধিকাংশই কেড়ে নেয়। সাদা কাগজে টিপসই নিয়ে মিথ্যে দেনার দায়ে তাদের সর্বহারা করে ছাড়ে। হাড়ভাঙ্গা খাটনি খেটেও উসমানের মতো বর্গাচাষীরা দু-বেলা পেটপুরে খেতে পায়না।
অংশ-১:
"প্লাবনের চেয়ে মারিভয় চেয়ে শতগুণ ভয়াবহ,
নরঘাতীদের লেলিয়ে দিয়েছে ইয়াহিয়া অহরহ।
প্রতিদিন এরা নরহত্যার যে-কাহিনি এঁকে যায়,
তৈমুর লং নাদির যা দেখে শিহরিত লজ্জায়।"
অংশ-২:
"একটি ছেলে পাগল, ছেলে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরত,
চোখ দুটি তার চোখ যেন নয় ছবিতে বিমূর্ত।
সবাই তাকে বাসতো ভালো সবার ছিল মিত্র,
মুখ জুড়ে তার আঁকা ছিল স্বপ্নের মানচিত্র।
সেই ছেলেটি ভেবেছিল, দিন যেভাবেই যাক না,
একদিন ঠিক পেয়ে যাবে পাখির মতো পাখনা।"
মেঘলা নদীতে ট্রলার ডুবে মারা যায় আসিফের মা-বাবা। ঘটনাক্রমে বাড়িতে থাকায় বেঁচে যায় আসিফ ও তার ছোট ভাই আবির। অসহায় আসিফ ছোট ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মোটর গ্যারেজে কাজ নেয়। ঘটনা শুনে গ্যারেজের মালিকের স্ত্রী তাদেরকে বাড়িতে ডেকে নেয়। তাদের আর গ্যারেজে কাজ করতে হয়নি। মালিক ও তাঁর স্ত্রীর স্নোহাদরে তারা দুজনেই এখন লেখাপড়া শিখছে।
এলাকার মানুষের আস্থার প্রতীক শহর আলি কবিরাজ। রোগ-শোক, দুঃখ-দুর্দশায় সবাই ছোটে তার শিকড়-বাকড়, তাবিজ-কবচ ও পানি পড়ার জন্য। তিনিও কাউকে ফিরান না। হাদিয়া হিসেবে সবাই যা দেয় তাতে স্বচ্ছলভাবে চলে তার পরিবার। কিন্তু একাজ পছন্দ করে না তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে মোবারক। সে মনে করে এগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তাহলে সারা পৃথিবীর চিকিৎসা বিজ্ঞান এগুলোকে স্বীকৃতি দিত। তাই সে বাবাকে এসব কাজ ছেড়ে দিতে বলে।
রাজিয়া দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী। ডাক্তার হবার স্বপ্ন তার। পরিবার তেমন সচ্ছল ছিল না। হঠাৎ তার বাবা প্রবাসী মাঝ বয়সী বিপত্নীক এক লোকের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে। রাজিয়া তার বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে বান্ধবীদের সাথে পরামর্শ করে। বিয়ের দিন বান্ধবীরা পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহের হাত থেকে তাকে রক্ষা করে। রাজিয়া এখন তার স্বপ্ন পূরণে উদ্যমী।