কাওসার ও সুজন এ বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা সরকার ও রাজনীতি বিষয়ে পড়াশুনা করতে চায়। এ প্রসঙ্গে তাদের বাবা জনাব ফয়েজুর রহমান পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত "একটি বিষয়” নেয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন যে, বিষয়টি পাঠ করলে তারা রাষ্ট্র, সংবিধান এবং দেশের রাজনীতির সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। তিনি মনে করেন “ঐতিহাসিক তথ্যসমূহ উক্ত বিষয়টিকে পূর্ণতা দান করে।"
সাদ ও পিটার লন্ডন শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে। একদিন সরকার সম্পর্কে আলোচনাক্রমে পিটার বললো যে, তাদের দেশ সংসদীয় গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের জন্মস্থান। মন্ত্রিপরিষদ তাদের কাজের জন্য সরকারের একটি বিভাগের নিকট দায়বদ্ধ। সাদ বললো, আমাদের দেশে মন্ত্রিপরিষদ তাদের কাজের জন্য রাষ্ট্রপ্রধানের নিকট দায়বদ্ধ থাকেন। বিভিন্ন কারণে উক্ত বিভাগটির ক্ষমতা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এবং অন্য আরেকটি বিভাগের ক্ষমতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জাফর সাহেব একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। নম্র ভদ্র লোকটি সব সময় অন্যের কল্যাণের কথা ভাবেন। শত চেষ্টা করেও কেউ তাকে অনিয়ম করাতে পারেন না। সকল মানুষ যাতে সুবিচার পায় সে বিষয়ে তার নিরন্তর চেষ্টা। সৎ মানুষ তাঁর খুবই পছন্দ। সকল প্রকার ভালো কাজই তাঁর কাছে প্রশংসনীয়। তিনি বিশ্বাস করেন সৎ জীবন মানবিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করে এবং সমাজ জীবনে আনে প্রগতি ।
জনাব রুহুল আমীন এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রেখে মৃত্যুবরণ করেন। পুত্র সাজ্জাদ পিতার মৃত্যুর পর দুই কন্যা আমেনা ও ইরাকে সম্পত্তি দিতে অস্বীকার করে। আমেনা ও ইরা বাধ্য হয়ে সাজ্জাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার রায়ে আমেনা ও ইরা সম্পত্তির অধিকার লাভ করে। সাজ্জাদ তার ভুল বুঝতে পেরে বোনদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে।
ধীরে ধীরে পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব কল্যাণে পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে অন্য প্রান্তে কী ঘটছে তা সহজে জানা যাচ্ছে। ঢাকা শহরের একজন ছাত্র প্যারিস নগরীতে কর্মরত তার ভাইয়ের সাথে কথা বলছে, মোবাইল ফোনে ক্ষুদ্র বার্তা পাঠাচ্ছে। ব্লগাররা তাদের চিন্তা চেতনা লিখে সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখছে অনেক মানুষ। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ আজ একে অপরের সন্নিকটে। বাংলাদেশও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়েছে।
জনাব সিরাজুল ইসলাম একজন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। মেধা ও যোগ্যতাবলে তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন। একবার নিয়োগ পরীক্ষার তিনি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় তাঁর ছোট ভাই অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু যোগ্যতা না থাকায় জনাব সিরাজুল ইসলামের ছোট ভাই চাকরি পাননি। চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকে তাঁকে উৎকোচ দিতে চাইলে তিনি তা অবজ্ঞাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাবী, যোগ্য ও দক্ষ লোকদের নিয়োগদান করেন।