জালালের সন্তান জামাল উদ্দিন করোনায় আক্রান্ত হলে তার পীরের নামে একটি গরু জবাই করে এবং সন্তানের সুস্থতার জন্য পীরের নিকট প্রার্থনা করে। অন্যদিকে সুমনের বন্ধু লোকমানের নিকট থেকে তার পার্শ্বে দোকানদার কামাল উদ্দিন পঁচিশ হাজার (২৫০০০) টাকা দুই মাস পর ফেরত দেওয়ার শর্তে ঋণ নেয়। সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কামাল উদ্দিন দুই মাস পর ফেরত না দিলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি সমাধান করে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই কথা ও কাজের মিল থাকা উচিত।
সাদী ও সামী একদিন ফসলের মাঠের মধ্যে হাঁটছিল। সাদী তখন সামীকে এই দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ ও তার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী দেখিয়ে বলে, দেখ প্রকৃতি আমাদের কত কিছু দিয়েছে। প্রকৃতির নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই। এই বিশ্ব জগতের সবকিছু এক মহান সত্তার সৃষ্টি। সাদীর আত্মীয় রুমী সাদীকে বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর পর গোলাম আহম্মদ নামে আরো একজন নবি এসেছিলেন। একথা শুনে সাদীর বাবা বলেন, প্রকৃত ইমানদার হতে হলে ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহের উপর অবশ্যই ইমান রাখতে হবে।
জনাব "Y" মহানবি (সঃ) এর একটি হাদিস থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিবছর তার গ্রামের রাস্তার পার্শ্বে বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষ রোপণ করেন। অন্যদিকে সাইমুন একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার দোকানে ভেজাল, নিম্নমানের ও বিভিন্ন রকম ত্রুটিযুক্ত মালের সাথে ভালো মাল মিশায়ে বেশি দামে বিক্রি করেন। একদিন পাশের মসজিদের ইমাম সাহেব তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কিয়ামতের দিন সৎ মুসলিম ব্যবসায়ীগণ শহিদগণের সঙ্গী হবেন।
শাকিল ইউটিউব (YouTube) এ একটি আলোচনায় এক বক্তাকে বলতে শুনলেন যে, মানব জীবনে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের জন্য শুধুমাত্র কুরআন জানা ও মানা আবশ্যক। হাদিসের অনুসরণ কোনো প্রয়োজন নেই। বক্তব্য শুনে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে স্থানীয় এক ইমাম সাহেবকে বললেন। ইমাম সাহেব তাকে সূরা আল-হাশরের ৭নং আয়াতখানা পাঠ করে এর অর্থ “রাসুল তোমাদের যা প্রদান করেন তা তোমরা গ্রহণ কর। আর যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক।" এবং ব্যাখ্যা শুনিয়ে দেন।
জনাব নাজিমুদ্দিন সাহেব প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও নির্দিষ্ট মাসের রাতের শেষ প্রহরে কিছু খেয়ে সারাদিন অনাহারে থাকেন অথচ অফিসে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে গড়িমসি করেন। তারই চাচাত ভাই জনাব 'খ' তার ব্যাংকে রাখা ৩৫,০০,০০০ (পঁয়ত্রিশ লক্ষ) টাকা থেকে বছরান্তে ৩০,০০০ (ত্রিশহাজার) টাকা গরীব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেন। ঘটনাক্রমে মাওলানা মিজানুর রহমান জানতে পেরে তাকে বলেন, জমাকৃত সম্পদ থেকে শরীয়তের হুকুম অনুযায়ী দান না করলে সম্পূর্ণ দান নিষ্ফল হবে।
জনাব 'X' সাহেব ধনী মানুষ। নিয়মিত নামাজ পড়েন। এবছর হজ পালন করে এসেছেন। তার দরিদ্র প্রতিবেশী কাওছার মিয়া মেয়ের বিয়েতে কিছু সহযোগিতার অনুরোধ করলে তিনি বিরক্ত হয়ে তাকে তাড়িয়ে দেন। তার ছেলে জিকু সারাক্ষণ ইন্টারনেট ও বখাটে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে থাকে। তার মা আফসোস করে বলেন, "ছেলেটাকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারিনি বলেই তার আজ এই অধঃপতন।"
বার্ষিক দোয়া অনুষ্ঠানে একজন বক্তা বলেন, একটি শিশু ছয় বছর বয়সে পবিত্র কুরআন হিফজ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামের অন্যান্য বিষয়ে তীক্ষ্ণ মেধার স্বাক্ষর বহন করে ১৬ বছর বয়সে অসংখ্য হাদিস মুখস্থ করেন। দ্বিতীয় জন রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনের তত্ত্বকে বোর্ড গঠনের মাধ্যমে সহজ করে জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরেন। এজন্য সরকার তাকে রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে চাইলে তিনি তা নিতে রাজি হননি।
মাওলানা আবু তৈয়ব ইউপি চেয়ারম্যান হয়ে পরিবারের যাবতীয় কাজকর্ম নিজ হাতে সম্পাদন করেন। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বিশৃঙ্খলা দমন করেন। এলাকার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে যথাযথভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন। অপরদিকে তার বন্ধু জাবির সাহেব একরাতে পাশের বাড়ির কান্নার আওয়াজ শুনলেন। এবং সকালে ফজরের নামায শেষে পাশের বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলেন যে, সেই বাড়ির এক বৃদ্ধা পেটের ব্যথায় ছটফট করছে। বৃদ্ধার বাড়িতে অন্য কোনো লোক নেই। তিনি তৎক্ষণাৎ বাড়ি এসে তার স্ত্রীকে নিয়ে বৃদ্ধার বাড়িতে যান এবং তার সেবা যত্ন করেন।