মিঃ 'ক' একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। তিনি তার সহকর্মীদের পরামর্শক্রমে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। তিনি তার সকল কাজে প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের নিকট জবাবদিহি করেন। ফলে তার প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মিঃ 'খ' অপর একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রতিষ্ঠানের কারো সাথে পরামর্শ করেন না বরং তার মতামত অন্যদের উপর চাপিয়ে দেন।
সোহেল একজন মেধাবী ছাত্র ও ক্রীড়াবিদ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সময় তার দু'পায়ের গোড়ালী মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এ সংবাদ পাওয়ার পর কলেজের ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবকসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ তার পাশে এসে দাঁড়ায়। দীর্ঘ চিকিৎসার শেষে কিছুদিন হলো সোহেল সবার মাঝে ফিরে এসেছে।
মিঃ জনি তার রাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মিডিয়া কর্মীরা জানতে চাইলে তিনি রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সর্বস্তরে ই-গভর্নেন্স চালু করা; জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা, সরকারি অফিস-আদালত, হাসপাতাল ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানে ই-সেবা করা তার প্রধান লক্ষ বলে উল্লেখ করেন। তিনি মনে করেন রাষ্ট্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে ই-গভর্নেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ।
রাবেয়া একজন পোশাক কর্মী। রাবেয়াসহ তার অন্যান্য সহকর্মীরা দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু কিছুদিন পূর্বে হঠাৎ মালিকপক্ষ তার প্রতিষ্ঠানে পুরুষ শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করলেও তারা নারী শ্রমিকদের সংঘটিত করে প্রতিবাদ করলে মালিকপক্ষ রাবেয়ার উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে রাবেয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে রাবেয়ার পরিবারে অন্ধকার নেমে আসে।
শফিক ও তুহিন দুই বন্ধু। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা শেষে শফিক শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছে। শফিক শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া আদায়েও কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন ও অধিকার আদায়ের জন্য শফিক একটি সংগঠন গড়ে তুলছে। অন্যদিকে তুহিন তার অন্যান্য সমমনা বন্ধুদের সাথে রাজনৈতিক সংগঠনে যোগ দিয়েছে। আগামী জাতীয় | নির্বাচনে ঐ সংগঠনের ব্যানারে তুমি প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবছে। কারণ তুহিন মনে করে, রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন ছাড়া জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব।
'ক' নামক রাষ্ট্রটিতে বর্তমানে আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু একসময় এখানকার কৃষ্ণাঙ্গ শ্রেি বর্ণবাদের শিকার হয়েছিল। শ্বেতাঙ্গ মানুষের সাথে একই স্কুলে তারা পড়াশুনা করা, একই ট্রেনে যাতায়াত করা ও একই মাঠে খেলাধুলা করতে পারতো না। কৃষ্ণাঙ্গ শ্বেতাঙ্গদের জন্য পৃথক আইন ছিল। এসবের প্রতিবাদে সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব আন্দোলন সংগ্রাম গছে তোলেন। এ জন্য শীর্ষ নেতৃত্বকে কারা বরণ করতে হয়েছে । তবে শেষ পর্যন্ত বৈষম্যের অবসান ঘটেছে।