একাদশ শ্রেণির ছাত্রী আনিকা পাঠ্যবিষয় হিসাবে পৌরনীতির সাথে গভীর সম্পর্কিত একটি বিষয় নিয়েছে। সীমিত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে মানুষের অসীম অভাব দূর করা যায় বিষয়টি সেই শিক্ষা দিয়ে থাকে। সম্পদ, উৎপাদন, বণ্টন ব্যবস্থা, বাজেট প্রভৃতি নিয়ে বিষয়টি আলোচনা করে। বস্তুত এ বিষয়ের জ্ঞান ছাড়া নাগরিকদের কল্যাণ সাধন করা কঠিন ।
জনাব হাসিব ও রিয়াজ দু'জনেই একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বসবাস করেন। দু'জনেই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করেন। তাদের জীবনের নিরাপত্তা বিধান করছে রাষ্ট্র। তারা স্বাধীনভাবে চিন্তা ও মত প্রকাশ করতে পারেন জনাব রিয়াজ সর্বদা রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলেন এবং রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকেন। তিনি নিয়মিত কর, খাজনা পরিশোধ করেন। তিনি নিজে সততার সাথে ভোট প্রদান করেন এবং অন্যদেরও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। কিন্তু হাসিব এসব বিষয়ে উৎসাহবোধ করেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব শিবলী সর্বদা শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেন। তিনি সকল শিক্ষার্থীর সাথে একই রকম আচরণ করেন। কোনো কাজকেই তিনি ছোট মনে করেন না। সময়ের কাজ সময়ে করা তার অভ্যাস। অন্যদিকে জনাব সিরাজ অবৈধ ব্যবসায় করে রাতারাতি বড়লোক হয়েছেন। শ্রমিকদের তিনি নির্দয়ভাবে খাটান। গরিব, অসহায় কেউই তার কাছে সাহায্য চেয়ে পায় না।
'ক' রাষ্ট্রে বিচারকার্যে শাসন বিভাগের হস্তক্ষেপের ফলে জনগণ ন্যায়বিচার থেক বঞ্চিত ছিল। তিনমাস আগে ডেইলি টাইমস পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও এ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচার করে। রাজনৈতিক দলগুলোও এ নিয়ে নানারকম কর্মসূচি দেয়। এক পর্যায়ে সর্বস্তরের জনগণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে। জানদাবির মুখে সরকার বিচার বিভাগকে শাসন বিভাগ হতে পৃথক করার জন্য আইন প্রণয়ণ করে। রাষ্ট্রটিতে জনগণ এখন ন্যায়বিচার পাচ্ছে।
'ক' রাষ্ট্রের জনগণ কিছু জাতীয় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কতগুলে নীতির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং একটি সংগঠন গড়ে তোলে। সংগঠনটি নেতা নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক অধ্যাপক। তার উদার মানসিকতা, সহিষ্ণুতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অল্প সময়ে সংগঠন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সংগঠনটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। তারপর সংগঠনটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে।
জনাব মাইকেল একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সরকারি নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি ২০ বছর ধরে কাজ করছেন। মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ পেলেও তার কার্যক্রমে জনস্বার্থ উপেক্ষিত হয়। তিনি নিজেকে জনগণের সেবক মনে না করে প্রভু মনে করেন। নিয়মের বাড়াবাড়ি ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন না ।