জনাব আঃ রাজ্জাক একটি উপজেলার নির্বাহী অফিসার। তিনি তাঁর উপর অর্পিত সরকারি সিদ্ধান্তসমূহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পরিচালনা করেন। সাধারণ জনগণ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাঁর সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে পারেন। কিন্তু পূর্বের নির্বাহী অফিসার এমন আচরণ করতেন না। তিনি এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। জনগণের সাথে তার সরাসরি সম্পর্ক ছিল না।
২৬ মার্চ ২০১৪ ছিল বাংলাদেশের ৪৪তম স্বাধীনতা দিবস। আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ এদিন বেলা ১১ টায় ঢাকার জাতীয় প্যারেড ময়দানে সমবেত হয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছেন। চট্টগ্রামের খেলাঘরের শিশুদের সঙ্গে জাতীয় সংগীত গাইলেন বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কলেজ পড়য়া রাজু। রাজু জন্ম থেকে কথা বলতে পারে না। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে তাকে ঠেকিয়ে রাখা যায় নি। চৈত্রের কাঠফাঁটা রোদে সবার সঙ্গে রাজুও গাইল "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি.......। রাজুর গাওয়াটা সে ছাড়া আর কেউ শুনলোনা, তাতেই সে মহাখুশি। রাজু আমাদের নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। তাদের হাতেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ।
জনাব রাইসুল একটি রাজনৈতিক দলের নেতা ও সরকার দলীয় সাংসদ। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় তিনি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদার প্রতি দৃষ্টি রেখে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করেন। তাঁর এলাকার সকলেই তাঁর কার্যক্রমকে সমর্থন করে এবং তাঁর এলাকায় সরকারি ও বিরোধী দল শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে। ফলে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক।
যেছাচারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে জোলার জন্য আনিস গ্রামের যুবকদের একত্রীকরণ করে একটি সংগঠন তৈরি করে। ক্রমেই সংগঠনটির কর্মকাণ্ড ইউনিয়ন জুড়ে বিস্তৃত হয় এবং তাদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। সবাই আনিসের কথা ও কর্মে বিশ্বাস স্থাপন করে। তার নৈতিকতা ও দেশপ্রেম সবাইকে মুগ্ধ করে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে তার সংগঠনটি অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
জনাব শিহাব একজন বাংলাদেশি নাগরিক। কিন্তু কাজের জন্য তিনি বিদেশে অবস্থান করেন। অবসর সময়ে তিনি টিভিতে বাংলাদেশেরক খবরা-খবর মনোযোগসহকারে দেখেন। নাগরিক হিসাবে বাংলাদেশের প্রতি তাঁর অগাব ভালবাসা ও কর্তব্যবোধ তাকে দেশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তোলে। তিনি বাজার থেকে বাংলাদেশের একটি সংবিধান ক্রয় করেন।
জনাব আজিজ একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর ইউনিয়নের সকল নাগরিক যে কোনো সমস্যায় তাঁর কাছে যায়। বিবাদ মীমাংসার জন্য সবাই ইউনিয়ন আদালতে অভিযোগ দায়ের করে। জনাব আজিজ নিরপেক্ষভাবে পর বিবাদের মীমাংসা করে দেন। তিনি এলাকার উন্নয়নে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। সবাই তাঁর উপর আস্থাশীল।
হোগল ডাঙ্গা থামে 'সবুজ সংঘ নামে যুবকদের একটি ১০ সংগঠন আছে। উক্ত সংগঠনের একটি লিখিত নীতিমালা আছে। সংগঠনটির অধিকাংশ সদস্যের সম্মতির ভিত্তিতে নীতিমালাটি তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে নীতিমালাটি পরিবর্তনও করা যাবে। সবাই এই নীতিমালাটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। সংগঠনের সদস্যদের মূল কাজ মানুষের মধ্যে নৈতিকতা জার্মত করা, অসহায় মানুষের সেবা করা ও সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা।
'ক' ইউনিয়নে ই-তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু আছে। উক্ত কেন্দ্রে ইউনিয়নবানী সব ধরনের তথ্য ও ইন্টারনেট সেবা পেয়ে থাকে। এখান থেকে বিদেশে যাবার জন্য নিবন্ধন করা হয়। ইউনিয়নের ওয়েবসাইটে সব ধরনের প্রকল্প, বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সুবিধাভোগীর নাম দেয়া আছে। মানুষ ওয়েবসাইটে তাদের মতামত তুলে ধরতে পারে।