'মহেশ' গল্পে গফুরের প্রিয় গরুটির নাম মহেশ। দরিদ্র গফুর নিরীহ পশুটিকে ঠিকমতো খাবারের যোগান দিতে পারেনা। ফসল নষ্ট করার কারণে তাকে জমিদারের শাস্তিও পেতে হয়েছে। একদিন তৃষ্ণার্ত মহেশ পানির জন্য গফুরের মেয়ে আমিনার মাটির পাত্র ভেঙে ফেলে। রাগান্বিত গফুর লাঙলের ফলা দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মহেশ মারা যায়। গো-হত্যার প্রায়শ্চিত করতে গফুর রাতের আঁধারে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
নিজেকে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সক্রেটিস বলেছেন, 'নিজেকে জানো'। একথা সকলেই জানে যে, আত্মোপলব্ধির মধ্য দিয়ে নির্মিত হয় ব্যক্তিত্ববোধ। আর প্রবল ইচ্ছাশক্তিই পরাধীনতার জাল থেকে বের করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে। সুতরাং ইচ্ছাশক্তি ও সত্যপথকে ধারণ করে স্বাধীনতভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভবানীপুর গ্রামের ফকির বাড়ি থেকে মিলিটারিরা দশম শ্রেণির ছাত্র মনিরকে তুলে নিয়ে যায়। শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তারা মনিরের মুক্তিযোদ্ধা পিতার সন্ধান চায়। ক্ষত-বিক্ষত হয়েও মনির নীরব থাকে। মনে পড়ে বাবার শেষ উপদেশ, “জীবনের চেয়ে দেশ অনেক বড়”।– নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মনে করায় তার বুক ফুলে উঠে।
ক্ষমতা ও স্বার্থের দ্বন্দ্বে এই পৃথিবীতে বহু নৃশংস হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। আব্রাহাম লিংকন, মহাত্মা গান্ধী, বঙ্গবন্ধু, ইন্দিরা গান্ধীএরকম বহু নাম ইতিহাসের পাতায় করুণ অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। এইসব মহান নেতার নিকটতম ব্যক্তিবর্গই এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। কখনো বিদেশি চক্রান্ত, কখনো দেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এই বরেণ্য ব্যক্তিদেরকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
'হুযুর কেবলা' গল্পে এমদাদ নামক শিক্ষিত যুবক অনেকটা কৌতূহলের বশে ভন্ডপীরের মুরিদ হয়। কিন্তু যখনই ভণ্ডপীরের চালাকি ও তার লোলুপ কামনা এমদাদের সামনে উন্মোচিত হয়েছে, তখনই সে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু ভণ্ডপীর হুযুর কেবলা তার ধর্মান্ধ মুরিদদের সহায়তায় এমদাদকে পাগল আখ্যা দিয়ে গ্রাম থেকে বের করে দিয়েছে। আর নিজে মুরিদের সুন্দরী স্ত্রীকে কৌশলে তালাক দিতে বাধ্য করেছে এবং নিজের বাসনা পূরণ করেছে।