অনিক গীর্জাতে প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করে না। কোনো কাজেই মা-বাবাকে সাহায্য করে না। পড়ালেখাও অমনোযোগী। মা-বাবা তাকে নিয়মিত গীর্জায় প্রার্থনা এবং পরিবারে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে। পড়ালেখায় মনোযোগী হতে সবসময়ই পরামর্শ দেয়। অতিষ্ট হয়ে সে রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গেল। মা-বাবা তার জন্য দুশ্চিন্তায় পড়লো। হঠাৎ একদিন অনিক ভুল বুঝতে পেরে বাড়িতে ফিরে আসে। সে মা-বাবার কাছে ক্ষমা চাইলো। মা-বাবা তাকে আনন্দে জড়িয়ে ধরলো। তারা ধন্যবাদের প্রার্থনার আয়োজন করলো।
প্রতিদিন সান্ধ্যকালীন প্রার্থনার সময় নিপু বাইবেল পাঠ করে। যীশুর উপদেশ বাণী পড়তে তাত্র খুব ভালো লাগে। সে নিজ জীবনে এই বাণী অনুসরণ করে। সে দরিদ্রদের সাহায্য করে এবং বন্ধুদের বিপদের সময় সুপরামর্শ দেয়। অন্যের জীবনে শান্তি আনার জন্য সময় দেয় ও পরিশ্রম করে। কিন্তু তার ছোট বোন সীমা মিথ্যাকথা বলে এবং অন্যের সাথে হিংসা করে। সে বিনা প্রয়োজনে দামী জিনিস কিনতে চায়।
শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে তিনি ও তার সহপাঠিরা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যায়। তিনি জানতে পারেন যে এ বিদ্যালয়ে ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে সবাইকে শিক্ষা সেবা দেওয়া হচ্ছে। দুইশত এতিম শিক্ষার্থী বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। পাশেই এ বিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত একটি চিকিৎসা কেন্দ্র আছে। এখানে গরীব শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ দেওয়া হয়। একই সাথে গ্রামের অবহেলিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত ও অনাথ লোকদেরকেও বিভিন্ন ধরণের সেবা দেয়া হয়।
মিসেস আগ্নেশ দানশীল ও পরোপকারী। তিনি প্রায়ই বেতনের টাকার কিছু অংশ এতিমখানায় দান করেন। কারো অসুস্থতার কথা জানতে পারলে তাকে দেখতে যান। এসব কাজ তিনি যীশুর জন্য করছেন ভেবে স্বর্গীয় আনন্দ অনুভব করেন। তার সহকর্মী মিসেস সীমা ভীষণ কৃপণ। দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিরা সাহায্য চাইলে বিরক্ত হন। তিনি নিজের সম্পদ হারানোর ভয়ে থাকেণ। এজন্য সবসময় অশান্তিতে থাকেন।
পলাশ দুরন্ত ও দুষ্ট ছেলে। সে প্রতিবেশীদের নানারকম ক্ষতি করে। অন্য বন্ধুরা ভালো কাজ করলে সে টিটকারি দেয়। পলাশের মা তাকে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। ছেলেকে তিনি ভালো হওয়ার পরামর্শ দেন কিন্তু সে তা কানে নেয় না। মা ছেলের জন্য ঈশ্বরের কাছে মনপ্রাণ দিয়ে প্রার্থনা করেন। তার বিশ্বাস ঈশ্বর পলাশকে সৎ পথে ফিরিয়ে আনবেন। সত্যি একদিন পলাশের মন পরিবর্তন হলো। এখন সে মা-বাবা এবং শিক্ষকদের কথামত চলে।