(i)শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একটা ডিগ্রি লাভ করে চাকরি প্রাপ্তিই শিক্ষার উদ্দেশ্য নয়। মানবিক বৃত্তিগুলোর উন্মেষ ঘটানোই শিক্ষার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
(ii) সব ধরনের জ্ঞানের একত্রে সমাবেশ ঘটিয়ে জ্ঞানচর্চার প্রসারে ধারাবাহিক ও স্থায়ী ভূমিকা পালনের জন্য লাইব্রেরির সৃষ্টি। এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তি তাঁর প্রয়োজন ও আগ্রহ অনুযায়ী জ্ঞানচর্চা করতে পারেন।
জীবিকার তাগিদে তিনু আর আরাফের মা সেই ভোরবেলায় বেরিয়ে যায়। কয়েক বাসায় কাজ করে তবেই বাড়ি ফেরে। তিনবেলা খাবার যোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয় তাকে। এদিকে বোনকে নিয়ে আরাফ সারাদিন মাঠে-ঘাটে, বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়। নাওয়া- খাওয়ার কোনো খবর নেই। কখনো নদীর ধারে কাশবনে হারিয়ে যাওয়া। কখনো বা খোলা মাঠে ঘুড়ি উড়ানো তাদের কাজ। বাড়ি ফিরেও মলিন বিছানায় শুয়ে ভাই-বোনের সারাদিন ঘুরে বেড়ানোর গল্পই চলে সারাক্ষণ।
মরিয়মের স্বামী বেকার। অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসা ও সংসারের খরচ চালাতে আমজাদ সাহেবের বাসায় কাজ নেয় মরিয়ম। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সে আমজাদ সাহেবের ছোট মেয়ে সীমাকে পড়ায় ও গল্পগুজব করে। এমনিভাবে তাদের মধ্যে গভীর সখ্যতা গড়ে উঠলেও মিসেস আমজাদ মরিয়মকে তিরস্কার করতেন এবং মেয়ের সাথে মিশতে দিতেন না। মিসেস আমজাদ কখনো মরিয়মের গায়ে হাত তুললেও সে নীরবে সহ্য করে। যায়।
স্বচ্ছল পরিবারের একমাত্র সন্তান রাহুলের জন্য শহরে। ছোটবেলা থেকে বাবা-মা তার - কোনো আবদারই অপূর্ণ রাখেনি। পড়ার ফাঁকে অনেক সময় দুষ্টামি করে প্রায়ই এটা সেটা ভেঙে ফেলে। একদিন স্কুল ছুটির পর বৃষ্টিতে ভিজে রাহুল বাসায় ফিরলে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। মা ছেলের পছন্দের খাবার তৈরি করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন এবং ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ খাওয়ান। সারারাত জেগে সস্তানের সুস্থতার জন্য স্রষ্টার কাছে দোয়া করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের কিছু লোক পাক সেনাদের সাথে মিলে চুকনগর গ্রামের সমস্ত বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। বারেক মিয়া তাদেরই একজন যিনি শান্তির কথা বলে গ্রামে শাস্তি কমিটি গঠন করেন। ওদিকে গ্রামের নারী-পুরুষ সবাই প্রাণের ভয়ে গ্রাম ছাড়তে শুরু করলে অসীম সাহসী যুবক আনিস তার বন্ধুদের নিয়ে গ্রামকে শত্রুমুক্ত করার দৃঢ় শপথ গ্রহণ করেন।
কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী শিরিন। তার বাবা-মা একই মহল্লার ধনাঢ্য রহিম মিয়ার প্রবাসী ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন। শিরিন বেঁকে বসে, সে কিছুতেই এখন বিয়ে করবে না। আগে পড়াশোনা শেষ করে সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। কিন্তু তার বাবা-মা বিয়ের জন্য এমন পাত্রকে হাতছাড়া করতে চান না, শিরিনের অমতে জোর করেই বিয়ে দিতে চান। তাই শিরিন নিরুপায় হয়ে ৯৯৯-এ কল করে প্রশাসনের সাহযোগিতায় নিজের বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়।