সদা জ্বল ও অসম সাহসী 'তা' ক্লাসে সবার প্রিয় বিতর্ক অনুভি, গান, খেলাধুলা ইত্যাদিতে তাহমিদ এগিয়েই থাকে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সড়ক নুর্ঘটনায় তাহমিদ একটি পা হারায়। তার পরিবারও পড়ে যায় ভীষণ দুশ্চিন্তায়। কিন্তু তার বন্ধুরা তাকে সাহস যোগায় এবং তার পাশে দাঁড়ায়। বন্ধুদের উৎস তাহমিন এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়।
অংশ-১: সালমান সাহেবের বাড়ি দীর্ঘ ৪০ বছর সমান সাহের সবসময় তার কাজের প্রশংসা করেন এবং তাঁকে যথাযথ সম্মান ও পারশ্রমিক দেন।
অংশ-২: এ সংসারে এসেছিলাম ন বছরের মেয়ে
তারপরে এই পরিবারের দীর্ঘ গণি মেয়ে।
দশের ইচ্ছা বোঝাই করা এই জীবন টেনে টেনে শেষে
পৌছিনু আজ পথের প্রান্তে শেষে ।
সুখের দুঃখের কথা
একটু খানি ভাবের সময় ছিলো কোথা।
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ১৯৯১ সালের এদরবারের পুর ফিরোজা সর্বস্বান্ত হন। একজন হৃদয়বান পদস্থ কর্মকর্তা সুলতান সাহেব দুসন্তানসহ ফিরোজা কে আশ্রয় দেন। ফিরোজার কর্মদক্ষতা দেখে ও সততায় মুগ্ধ হয়ে সুলতান সাহেবের পরিবার তাদেরকে আপন করে নেন। সুলতান সাহেব ফিরোজার দুসন্তানকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেন। সময়ের পরিক্রমায় ফিরজার দুসন্তান এখন কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
অংশ-১:
ভেঙ্গে ডুবে গেছে আজ সব অহংকার,
ভাগাভাগি করে করছে সবাই আহার
কিসের এত দম্ভ, জীবটাই তো ছোট
মানুষ তুমি আবারো মানুষ হয়ে ওঠো।
অংশ-২: হাশরের দিন বলিবেন খোলা যে আদম সন্তান,
আমি চেয়েছিনু ক্ষুধার অন্ন, তুমি কর নাই দান
মানুষ বলিবে, তুমি জগতের প্রভু।
আমরা তোমারে কেমনে খাওয়াবো সে কি হয় কভু?
বলিবেন খোদা- ক্ষুধিত বান্দা গিয়েছিল তব দ্বারে,
মোর কাছে ফিরে পেতে যদি খাওয়াতে যদি ভবে।
রাতে আধাঁরে জনপুর গ্রামে অতর্কিত হামলা শুরু করে পাক হানাদার বাহিনী। বাজারের দোকান পাট, ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয় তারা। নির্বিচারে গুলি চালায় নিরীহ মানুষের উপর। এক মায়ের হাহাকার থামতে না আরেক মায়ের বুক খালি হয়ে যায়। এক পিতার হাত থেকে কবরের কাঁচামাটি ঝড়ে পড়তে না পড়তেই শূন্য হয় আরেক পিতার বুক। । আতঙ্কে জীবন বাচানোর জনা পালানোর চেষ্টা করে কেউ কেউ। সেই বিভীষিকাময় পরিস্থিতি এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় গ্রামবাসীকে।
দিনমজুর প্রসম্যানের বড় মেয়ে রাহেনা দশম শ্রেণিতে পড়ছে। দেখতে বেশ সুন্দরী তার আমের মাতবার হাসমত মোর দুবাই প্রবাসী মাঝবয়সী ছেলের সাথে তার বিয়ের প্রস্তাব আসে। রাহেলার মতের বিরুদ্ধে তার বাবা বিয়ের কথা পাকাপাকি করে ফেলেন। নিরুপায় হয়ে রাহেলা তার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের শরণাপন্ন হয়। প্রধান শিক্ষক তৎক্ষণাৎ প্রশাসনের সহায়তায় এই বিয়ে বন্ধের ব্যাবস্থা করেন।
বছর কয়েক আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে সড়ক ঘেষে মনু ফকির নামের এক ওঝা আস্তানা গাড়ে। কিছুদিনের মধ্যে তার আস্তানায় সাধারণ মানুষের আনােগোনা বেড়ে যায়। সরলমনা মানুষের টাকা পয়সার উপহার সামগ্রী পেয়ে অল্পদিনেই মনুফকির অঢেল সম্পদের মালিক বনে যায়। অল্পদিনের মধ্যে আস্তানাকে কেন্দ্র করে একটি সুযোগ সন্ধানী চক্র গড়ে উঠে। ফলে এলাকায় অপরাধ প্রবণতা ও কুসংস্কার বাড়তে থাকে।