আনোয়ার সাহেব অত্যন্ত সৎ ও বিচক্ষণ মানুষ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। তিনি তার কর্মস্থলে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এ বিষয়টিকেই কিছু সহকর্মী বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে এবং সুযোগ পেলেই তারা তাকে অপদস্ত করার চেষ্টা করে। আনোয়ার সাহেব সব বুঝতে পারলেও তাঁর অবস্থান থেকে সরে পড়েননি বরং সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।
প্রতিভা বিকাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় সভায় শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি অন্যান্য জীবনমুখী বই-পুস্তক পড়ার প্রতি উৎসাহিত করেন। তিনি আরো বলেন, সাহিত্য মানুষের মনকে সুন্দর করে। আর সুন্দর মনের মানুষেরা জ্ঞানী হয়। ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মাইশা তার মায়ের কাছে প্রধান শিক্ষকের উপদেশবাণীর কথা বললে, মা ধমক দিয়ে বলেন, আগে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন কর। তারপর অন্যান্য বই-পুস্তক পড়ার চিন্তা কর।
যমজ দুই ভাই শিমুল ও পলাশ। তারা দুজনেই দশম শ্রেণির ছাত্র। শিমুল শিক্ষা- দীক্ষা অর্জন করে ইন্টারনেট ব্যবসায় যোগ দিতে আগ্রহী। তার মতে, বর্তমান বিশ্বে এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি লাভজনক মাধ্যম। অপরদিকে, পলাশ উচ্চশিক্ষা অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় আগ্রহী। সে মনে করে, জ্ঞানলাভ শুধু উপার্জনের মাধ্যম হলেও বিবেকের পরিপূর্ণতার জন্য নিজেকে যাচাই করা অপরিহার্য।
নবম শ্রেণির ছাত্র সজলের প্রচণ্ড আগ্রহ ছবি আঁকার প্রতি। হঠাৎ এক রাত্রিতে তার সারা শরীরে ব্যথা ও জ্বর বাড়তে থাকে। বাবা-মা তাকে নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রিপোর্ট আসে তার দুটো কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। বাবা-মাকে পাশে পেয়ে সজল জিজ্ঞাসা করে, বাবা আমি কি এখন ছবি আঁকতে পারব না? বাবা-মা দুজনেই ছেলেকে সান্ত্বনা দেন আর সৃষ্টিকর্তার কাছে দুই হাত তুলে ছেলের জন্য দোয়া করতে থাকেন।
স্বামীহারা জাহিদা দুটি কন্যাসন্তানকে নিয়ে ঢাকার বস্তিতে বাস করে। সে গার্মেন্টসে পোশাক কর্মীর কাজ করে। বড় মেয়ে আফরোজা নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে । প্রতিবেশী রাহেলা জাহিদাকে তাড়াতাড়ি মেয়ে বিয়ে দিয়ে বোঝা কমাতে বলে। এ বিষয়ে জাহিদা কান না দিয়ে আফরোজাকে আরোও পড়াশুনার ব্যাপারে উৎসাহ দিতে থাকে । রাহেলার মোটেও এ বিষয়টি পছন্দ লাগে না ।