লিটন ও রাজু দুই বন্ধু। তারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একই পেশায় নিয়োজিত। লিটনের কর্মস্থল বান্দরবান। আর রাজুর কর্মস্থল বগুড়ায়। একদিন রাজু ফোন করে লিটনকে বলে, বন্ধু তোর ভাবী অসুস্থ। অপারেশনের জন্য অনেক টাকা দরকার। আমাকে কিছু ধার দিয়ে সাহায্য কর।" লিটন তাকে সান্ত্বনা দেয় ও সাধ্যমতো টাকা ধার দেয়। এরপর থেকে রাজু তার ফোন নম্বর বন্ধ করে দেয়। লিটন তার অন্যানা বন্দুদের সাথে কথা বলে জানতে পারে রাজুর এটা একটা কৌশল। এভাবে বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে সে আর পরিশোধ করে না। লিটনকে সবাই বোকা বললেও তার সান্ত্বনা, সে বন্ধুর বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পেরেছে।
উদ্দীপক-১ঃ
আমার বাড়ি যাইও
বসতে দেব পিড়ে
জলপান যে করতে দেব
শাব্দি ধানের চিঁড়ে।
শালি ধানের চিঁড়ে দেব
বিন্নি ধানের খই
বাড়ির গাছের কবরি কলা
গামছা বাঁধা দই।
উদ্দীপক-২ঃ
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর, অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে। চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে বসে আছে। ভোরের দোয়েল পাখি- চারদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্বপ জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের করে আছে চুপ।
চেয়ারম্যান সাহেবের বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিরাট আয়োজন । এলাকার ধনী গরিব সবাইকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। দরিদ্র কৃষক খয়ের আলী, ছেলে রনি ও মেয়ে রেণুকে নিয়ে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বসার স্থানে ভুল করে খেতে বসেছেন। চেয়ারম্যানের স্ত্রী। চিৎকার করে বললেন, এসব অসভ্য ছোট লোকদের দাওয়াত দেওয়াই ভুল হয়েছে।' চেয়ারম্যানে সাহেব স্ত্রীকে বুঝিয়ে বললেন, 'এরা সকলেই আমার মেহমান। তিনি রনি ও রেণুকে আদর করলেন এবং স্ত্রীর আচরণের জন্য খয়ের আলীর নিকট দুঃখ প্রকাশ করলেন ।
দীপ্তর বাবা ব্যবসায়ী। আজ তাদের দোকান বিভিন্ন রঙের কাগজ কেটে সাজানো হয়েছে। সে তার বন্ধু শেফালী ও নিতীশ চাকমাকে দোকানে মিষ্টি খাওয়ার দাওয়াত দেয়। মিষ্টি খেয়ে তারা এক সাথে মেলায় যায়। মেলায় হরেক রকম দোকান বসেছে। মেলায় ঘুরে ঘুরে তারা। বিভিন্ন শখের জিনিস কেনে, নাগরদোলায় চড়ে এবং পুতুলনাচ দেখে। ফেরার পথে তাদের মনে পড়ে শহরের বন্ধু আসিফের কথা। আসিফ ও তার পরিবার এই নববর্ষ উপলক্ষে নতুন বিশেষ পোশাক ক্রয়ে বিপুল অর্থ ব্যয় করে। এসব গল্প করতে করতে তারা বাড়ি ফেরে।
শোঁ শোঁ শব্দে বাতাস বইছে। খরস্রোতা নদী ফুলে ফেঁপে ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে অমাবস্যার জোয়ারে । নির্ঘাত বাঁধ ভেঙে মানুষ, গরু, ফসল সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। গ্রামের মাতবর চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে ছুটে যান। চেয়ারম্যান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বাজেট আসলে বাধের ফাটল মেরামত করাবেন। এদিকে মরিয়া হয়ে কোদাল চালাচ্ছে মতি মিয়ার দল এ বাঁধ ভাঙতে দেবে না তারা। কিছুতেই ফসল ডুবতে দেবে না। চালাও কোদাল। আরো জোরে। এক সময় মতি মিয়ার গলার আওয়াজ শোনা গেল, আর ভয় নাই চাঁদু। আর ভয় নাই। এতক্ষণে সবার মুখে হাসি ফুটল। এমন সময় চেয়ারম্যান এসে বললেন, 'আমিও এরকম চিন্তাই করেছিলাম।
প্রদীপ স্কুলের হোস্টেলের ধোপা। ছাত্রদের কাপড় ধোলাই করে ইস্ত্রি করে দেয়। প্রতিদিন কাপড় ধুয়ে রাতভর ইস্ত্রি করে ভোরে ছাত্রদের কক্ষে পৌঁছে দেয়। পরিষ্কার ধবধবে কাপড় পরে ছাত্ররা জাতীয় সঙ্গীতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ালে তার খুব ভালো লাগে। হে বৃহস্পতিবার বাড়ি যায় এবং শুক্রবার বিকেলে চলে আসে। তার অবহেলার কারণে কাউকে যেন ময়লা কাপড়ে স্কুলে যেতে না হয় সে ব্যাপারে খুব সচেতন সে। একবার শীতের সময় খুব অসুস্থ অবস্থায় তাকে কাজ করতে দেখে হোস্টেল সুপার নিজে তাকে ছুটি দিয়ে দেন।