১৭৬০ সাল হতে ১৮৫০ সালের মধ্যে প্রথমে ইংল্যান্ডে পরবর্তীতে ইউরোপ ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে উৎপাদন, প্রযুক্তি, যাতায়াত ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সূচিত হয়। পরিবর্তনের ফলে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেলেও মানবজীবনে নতুন নতুন জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এ সমস্যা মোকাবিলায় বিজ্ঞানসম্মত উপায় হিসেবে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির উদ্ভব হয়
মার্টিন গ্রামের রহিমার ২২ বছর বয়সে স্বামী মারা যায়। সামাজিক কুসংস্কার ও নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার কারণে তার পুনরায় বিবাহ হচ্ছিল। না। রহিমার বয়স যখন ৩০ বছর তখন গ্রামের আব্দুর রব মাস্টার নামে এক শিক্ষিত ও ধনাঢ্য ব্যক্তি তার ৩০ বছরের ছেলে শিয়াসকে বিধবা রহিমাকে বিবাহ করান। এতে বাবা, ছেলে ও রহিমা খুশি থাকলেও তাদেরকে সামাজিকভাবে অনেক নিন্দুকের কথা শুনতে হয়।
মুন্নার বয়স ১৪ বছর। সে সমবয়সীদের সাথে ক্লাসে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে অক্ষম হওয়ায় এবং বাড়িতে অস্বাভাবিক আচরণ করায় তাকে তার বাবা একজন মানসিক ডাক্তার দেখান। ডাক্তার বলেছেন মুন্নার বয়সের তুলনায় বুদ্ধি কম। তাই তাকে বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং চিকিৎসা করাতে হবে। মুন্নার বাবা মুন্নাকে একটি বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করান। সেখানে একজন সমাজকর্মী মুন্নাকে স্বাভাবিক আচরণ করতে ও পড়াশোনা করতে সাহায্য করেন।
লক্ষ্মীপুর গ্রামের বেশিরভাগ জনগণ অসচেতন, অসংগঠিত ও দরিদ্র। গ্রামের একজন উচ্চশিক্ষিত যুবক আসির গ্রামের কয়েকজন যুবককে একত্রিত করে একটি সমবায় সমিতি গঠন করেন এবং সদস্যদের চাঁদা, অনুদান সরকারি আর্থিক ও কারিগরি সাহায্য নিয়ে সমবায় পদ্ধতিতে চাষাবাদ, হাঁস, মুরগি পালন, সেলাই প্রশিক্ষণ, শিক্ষা কার্যক্রম প্রভৃতি কর্মসূচি চালু করেন এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত ও স্বাবলম্বী করতে প্রচেষ্টা চালান।
১৬ বছরের মেয়ে টুপুর নাচ-গান করতে গিয়ে সঙ্গদোষে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়ার পরও সে মাদক ছাড়েনি। মাদকদ্রব্য ক্রয়ের জন্য মা-বাবাকে ও তার স্বামীকে নির্যাতন করে। তার মা-বাবা ও স্বামী তাকে একটি পেশাদার মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দেয়। সেখানে একজন সমাজকর্মীর তত্ত্বাবধান ও কাউন্সিলিং থেকে টুপুর চিকিৎসা নিচ্ছে। সমাজকর্মী টুপুরকে সমাজকর্মের পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে সহায়তা করছেন।