সাইমন তারিক একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার প্রতি তাঁর রয়েছে প্রবল অনুরাগ এজন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি নিজ বাড়িতে একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন।আশেপাশের মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন। এ মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সমাজে অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি তার গ্রন্থাগারে অনুদানস্বরূপ বিভিন্ন ধরনের বই দিয়েছেন। কিন্তু তাঁরই এক স্বজন বাদল এহেন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, 'শুধু শুধু বই কিনে অর্থ অপচয় করার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই, বরং স্কুল-কলেজের নির্ধারিত পাঠ্যবই পড়লেই আলোকিত সমাজ গড়া সম্ভব।”
সজলের লোকসঙ্গীতের প্রতি প্রবল অনুরাগ থাকলেও তার বন্ধু কাজল মোটেই পছন্দ করে না। সে বলে, ‘এসব চাষাভূষার গান, এগুলো কে শোনে?” তার কথা শুনে সজল বলে, “আরে এগুলো আমাদের পল্লিসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। দেখছিস না, ইউরোপ, আমেরিকার মতো দেশ আজ লোকসঙ্গীতকে কত মর্যাদা দিচ্ছে? আমরা এসবের গুরুত্ব বুঝি না বলেই কদর করি না। আমি ঠিক করেছি শুধু গান নয়, পল্লিসাহিত্যের লুপ্তপ্রায় অন্যান্য সম্পদগুলোও যতটুকু পারি সংগ্রহ করব।’
শিক্ষক গৌরব দাস দশম শ্রেণির ছাত্র আজাদকে তার জীবনের লক্ষ্য কী জানতে চাইলে আজাদ বলে, আমি বাবার মতো ব্যবসায়ী হতে চাই। কারণ বাবা বলেন, “জগতে টাকাই সব।” তার কথা শুনে শিক্ষক গৌরব দাস বলেন অর্থ উপার্জনের চেয়ে মনুষ্যত্ব অর্জন করাই শ্রেয়। কথায় আছে, প্রাণ থাকলে প্রাণী হয়, কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
আকলিমা দরিদ্র ঘরের মেয়ে। অন্যের বাড়িতে কাজ করে। বাসন মাজা, ঘর মোছা, কাপড় ধোয়াসহ সব কাজ নিপুণ হাতে করে। এছাড়াও গৃহকর্তার ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করে। কিন্তু সামান্য ভুল হলেও গৃহকর্ত্রী তাকে বকাঝকা করে। একদিন তার হাত থেকে একটি চায়ের কাপ পড়ে ভেঙ্গে গেলে গৃহকর্ত্রী তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে কাজ ছেড়ে চলে যেতে বলে ।