হানাদার বাহিনীর হত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসলীলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় সরাইপুরের কদর আলী । দেশকে শত্রুমুক্ত ও স্বাধীন করার জন্য গ্রামের যুবকদের নিয়ে সে মুক্তিফৌজ গঠন করে। তাদের একের পর এক গেরিলা আক্রমণে বেশ কয়েকজন পাক সেনা নিহত হয়। এই সকল গেরিলা আক্রমণকে নস্যাৎ করার জন্য পাক সেনাদের দোসর রমজান মিয়া পাক বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তার গ্রামে অভিযান চালায় এবং আগুন দিয়ে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেয়।
ভণ্ড মাজার পূজারি খাজা মোল্লা মানুষকে বোঝায় তার অনেক অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে। 8 সে তিনটি বিয়েও করেছে। কিন্তু তার অত্যাচারে বউয়েরা তাকে ছেড়ে চলে যায়। এবার তারই এক ভক্তের অল্পবয়সী মাতৃহারা মেয়ে কান্তার প্রতি কুনজর পড়েছে। খাজা মোল্লা নানা কূটকৌশলে কাস্তার বাবাকে রাজি করে। কিন্তু কান্তা এ বিয়েতে রাজি নয়। তাই সে বিয়ের রাতে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। এত রাতে একটি মেয়ে রাস্তায় দেখে ইউপি চেয়ারম্যান তাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। কান্তার মুখ থেকে সব ঘটনা শুনে চেয়ারম্যানের স্ত্রীর খুব দয়া হয়। তিনি কান্তাকে অভয় দেন এবং সাহস যোগান।