মেধাবী ছাত্র হাসান লেখাপড়া শেষ করে সরকারি উচ্চ পদে একটি চাকরি পায়। ইচ্ছে করলেই সে অনেক আর্থিক সম্পদের মালিক হতে পারে। কিন্তু সে এটা পছন্দ করে না। তার সহকর্মী সুজা ইতোমধ্যে অনেক অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছে। সে হাসানকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করে। কিন্তু হাসান তার অনৈতিক প্রস্তাবকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে চাকরিজীবন শেষ করে । এখন তার অঢেল ধন-সম্পদ না থাকলেও সবাই তাকে সম্মান করে।
করিম সাহেব আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ইংরেজি, হিন্দি গান ও সিনেমার প্রতি আকৃষ্ট। তার ধারণা পাশ্চাত্য সাহিত্য- সংস্কৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে বেশি দূর আগানো যাবে না। অন্যদিকে তার বন্ধু সালাম সাহেব উচ্চ শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হৃদয়ে লালন করেন। পল্লিগীতি, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, লালনগীতি তাঁর প্রিয় গান। ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে মৈমনসিংহ গীতিকা, পুঁথি ও রূপকথার গল্পসহ বাংলা ভাষার বিভিন্ন বই সংগ্রহ করেছেন।
ফজর আলী একজন কৃষক। অবসর সময় নাতি-নাতনিদের বই পড়ে। তার পড়ার আগ্রহ দেখে তার নাতি সাইমন বলে, দাদু তুমি আমাদের পড়ার লাইব্রেরিতে গেলে অনেক বই পড়তে পারবে। ফজর আলী একদিন লাইব্রেরিতে গিয়ে কৃষি বিষয়ক অনেক বই দেখে সে তাজ্জব বনে যায়। এরপর সে নিয়মিত লাইব্রেরিতে যায় এবং বইয়ের প্রতি তার একটা অন্যরকম প্রীতি জেগে ওঠে। তার মতে বই শুধু জ্ঞান পরিবেশন করে না, মনের খোরাকও জোগায়।
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রী টিনা কথায় কথায় বন্ধুদের সাথে ইংরেজি বলে। তারা ইংরেজি ভালো বলতে পারে না বলে সে তাদেরকে অবজ্ঞার চোখে দেখে এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার বন্ধু রাখি বলে, তোমার মতো বিদেশি ভাষা প্রীতি স্বভাবের মেয়ের সাথে আমার বন্ধুত্বের কোনো প্রয়োজন নেই। এ কথা বলে সে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।