B অঞ্চলটি এক সময় স্বাধীন ছিল। অঞ্চলটিতে দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। একটা সময় অঞ্চলটিতে বিদেশি শক্তি উপনিবেশ স্থাপন করে। ফলে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়। এ সকল সংকট সমাধানে উপনিবেশিক সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এক সময় একটি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের নেতা জনাব 'R' রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সমস্যা নিরসনের জন্য একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিধান রেখে একটি প্রস্তাব পেশ করেন।
জনাব 'M' সম্মোহনী নেতৃত্বের অধিকারী একজন নেতা। তাঁর দেশে সামরিক শাসন শুরু হলে তিনি এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। সামরিক শাসক তাঁর বিরুদ্ধে জেল-জুলুম নির্যাতন শুরু করে। জনাব 'M' তাঁর রাজনৈতিক জীবনের অধিকাংশ সময় জেলে কাটিয়েছেন। কিন্তু তিনি ছিলেন আপসহীন নেতা। ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে আদর্শ ছিল তাঁর কাছে বড়। সামরিক সরকারের সাথে তিনি কখনই আপস করেননি। জনগণের মুক্তিই তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে।
'H' রাষ্ট্রের সামরিক শাসন রাষ্ট্রটির একটি অংশের জনগণের ওপর উপনিবেশিক কায়দায় শাসন-শোষণ আরম্ভ করে। জনগণ এতে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। বিভিন্ন পন্থায় সরকার এ সকল আন্দোলন প্রতিহত করার চেষ্টা করে। সাধারণ জনগণ তাদের এক অবিসংবাদিত নেতার নেতৃত্বে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলে। গণআন্দোলনের চাপে নতিস্বীকার করে সামরিক সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
' রাষ্ট্রটি পূর্ব ও পশ্চিম এ দু'অংশে বিভক্ত। স্বাধীনতা লাভের পর পশ্চিম অংশের সামরিক শাসক দ্বারা পূর্বাংশের মানুষ শোষিত নির্যাতিত হলে শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। পূর্বাংশের ওপর বৈষম্যের বিরুদ্ধে এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন জনাব "। তিনি দেশের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় কাঠামো, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রা ব্যবস্থা, কর ধার্য, বৈদেশিক বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষার বিধান রেখে একটি কর্মসূচি পেশ করেন।
জনাব Z একজন বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি ১০ বৎসর যাবত ইটালিতে প্রবাস জীবনযাপন করছেন। কোভিড- ১৯ এর কারণে সে দেশে লকডাউন শুরু হলে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরত আসার অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে করুন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার তার রক্ত পরীক্ষা করে বলেন যে, জনাব Z এর শরীরে একটি ভাইরাসের উপস্থিতির কারণে তিনি ক্রমশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন।