পারমিতা জন্মান্ধ। খেলার সাথি না জুটলেও সে নিঃসঙ্গ নয়। বিকেল বেলায় সে বাড়ির দিঘির শান বাঁধানো ঘাটে গিয়ে বসে। স্নিগ্ধ শীতল জলের সঙ্গে তার দরদ ভরা আলাপ চলে। এ সবের মাঝে সে মুক্তির আনন্দ খুঁজে পায়। পরবর্তীতে পারমিতাকে পাত্রস্থ করার জন্য তার পিতা-মাতাকে বেশি ভাবতে হয়নি। প্রতিবেশী আলম সাহেব পারমিতাকে তার পুত্রবধূ হিসেবে বরণ করে নেয়।
i. ব্যস্ত চিকিৎসক দম্পতির একমাত্র সন্তান তানিশা। তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব পান বিধবা লতিফা বানু। ছোটবেলা থেকেই তানিশাকে মাতৃস্নেহে লালন-পালন করেন তিনি। ফলে বাবা-মায়ের অনুপস্থিতি তানিশা কখনই বুঝতে পারে না। লতিফা বানুর স্নেহমমতায় বেড়ে ওঠা তানিশা এখন ডাক্তার।
ii. পাঁচ বছর বয়সী বান্টির চাকরিজীবী বাবা-মা ওকে এক আত্মীয়ের কাছে রেখে যায়। মহিলাটি সৌজন্যের খাতিরে বান্টিকে রাখলেও মনে মনে বিরক্ত হয়। তার কাছে থাকতে বান্টির ভালো লাগে না। বান্টির ইচ্ছে করে মায়ের হাতে খেতে, বাবার সাথে ঘুমোতে, তাদের সাথে থাকতে।
সদ্য চাকরিপ্রাপ্ত দুই বন্ধুর মধ্যে কথোপকথন :
১ম বন্ধু : কী খবর বন্ধু, তোর নতুন কর্মস্থলের খবর কী? কোনো সুযোগ-সুবিধা আছে কি?
২য় বন্ধু : কোন সুযোগ-সুবিধার কথা বলছিস?
১ম বন্ধু : একটু বাড়তি আয়-রোজগারের কথা বলছি আর কি! কত লোকই তো চাকরি করে বাড়ি-গাড়ি করছে।
২য় বন্ধু : সাদামাটা জীবন-যাপন করব। তবুও ঐভাবে আমি টাকা উপার্জন করতে পারব না।
সবাই পালাচ্ছে শহর ছেড়ে দিগ্বিদিক।
নবজাতককে বুকে নিয়ে উদভ্রান্ত জননী
বনপোড়া হরিণীর মতো যাচ্ছে ছুটে।
অদূরে গুলির শব্দ, আর্ত শব্দ সবখানে
ii. খাঁটি আর্যবংশ সম্ভূত শিল্পীর কঠোর তত্ত্বাবধানে ত্রিশ লক্ষ কারিগর,
দীর্ঘ ন'টি মাস দিনরাত পরিশ্রম করে বানিয়েছেন এই ছবি।
এখনো অনেক জায়গায় রং কাঁচা কিন্তু কী আশ্চর্য গাঢ় দেখেছেন?
উদ্দীপক-১ : শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে নেপালের প্রসিদ্ধ দারাহারা ভবনটি ধসে পড়ে। ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে অনেক মানুষ। কাঠমান্ডুর দরবার স্কয়ারের অট্টালিকা ও সৌধগুলো ধ্বংস হয়। নেপালের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর ব্যাপর ক্ষয়ক্ষতি হয়-- যা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ।
উদ্দীপক-২ : আশা যেন মন ও কল্পনার মিলনের ভালোবাসায় সিক্ত এক প্রবহমান ধারা। আশা ও স্বপ্নের পাথায় ভর করে মানুষ উড়ে যায় দূর ভবিষ্যতে। মানুষের সকল সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে গেলেও তার স্বপ্ন, আশাগুলো রয়ে যায় অবিনশ্বর জীবনের প্রতিবৃদ্ধ স্রোতে ভেসে যাওয়ার সময়ও আশাই মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়।