জনাব শরীফ একজন সমাজ সেবক। তিনি নিজ এলাকায় ফলদ-বনজ, ঔষধিসহ নানা ধরনের বৃক্ষ রোপণ করেন। তিনি মনে করেন এসব বৃক্ষ যেমন জীবন বাঁচানোর জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করবে; তেমনি এসবের ফুল-ফল ও কাঠ থেকেও মানুষ উপকৃত হবে। তার বন্ধু কেয়ামত আলী একজন ব্যবসায়ী। তিনি পণ্যের মান সম্পর্কে ক্রেতাকে জানাননা এবং দাম নিয়ে বিভিন্ন ছল চাতুরির আশ্রয় গ্রহণ করেন।
ফাতেমা ও শাহানা দুই বান্ধবী। ফাতিমা কথা-বার্তা, আচার-ব্যবহার, পোশাক-পরিচ্ছদ সব কিছুতেই মার্জিত ও গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখে। তাই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক- শিক্ষার্থী তাকে ভালবাসে। বিষয়টি শাহানার পছন্দ হয়নি। তাই সে ফাতিমা সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে এবং তার নিন্দা করে বেড়ায়। বিষয়টি জানতে পেরে শ্রেণি শিক্ষক আকলিমা বেগম শাহানাকে ডেকে বলেন “আচরণের পরিবর্তন না করলে তোমাকে পরকালে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে"।
আব্দুল আলীম এইচএসসি পাস করে বাবাকে বলল, আমি বিশ্ববিখ্যাত মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসা বিজ্ঞানী, শল্য চিকিৎসার দিশারি হিসেবে আজও আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তার আদর্শ অনুকরণে একজন চিকিৎসাবিদ হতে চাই। অপর দিকে তাদের গ্রামের ফরহাদ এর বাসায় একটি ইয়াতিম মেয়ে কাজ করে। সে তাকে নিজের সন্তানের মত ভালবাসে এবং নিজেরা যা খায় পরে তাকেও তা খেতে দেয় ও পরতে দেয়। তার সাথে কেউই খারাপ ব্যবহার করে না।
রিমা ও কারিমা এসএসসি পরীক্ষার্থী। রিমা বিশ্বাস করে আল্লাহ তায়ালা সকল গুণের আধার। তাই সকল প্রশংসা ও ইবাদত একমাত্র তাঁরই জন্য এবং সাহায্য প্রার্থনাও কেৰল তাঁৱই নিকট করতে হবে। কারিমা মনে করে মানুষের সফলতা আল্লাহর পাশাপাশি পীর মুরুব্বিদের দোয়ার উপর অনেকটা নির্ভরশীল। তাই সে পরীক্ষার আগে মাজারে গিয়ে তবারক বিতরণ করে।
রহমতুল্লাহ একজন ধনীলোক। তিনি প্রতিবছর সম্পদের হিসাব করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ দান করেন। তার বন্ধু এমন করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি অহেতুক এই কাজ করছিনা; বরং এটি একটি ইবাদত”। অন্যদিকে জামিল মিয়া জুমার নামাজের খুতবা শুনছিলেন যেখানে ইমাম সাহেব বলেন, “ইসলামে এমন একটি ইবাদত রয়েছে যা মানুষকে লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, কাম-ক্রোধ প্রভৃতি থেকে বিরত রাখে।”
জনাব নিজাম একটি গার্মেন্টসের মালিক। তিনি চুক্তি মোতাবেক তার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিচ্ছেন না। কয়েক বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তিনি তা রক্ষা করলেন না। এ নিয়ে মালিক শ্রমিক সম্পর্কের অবনতি ঘটল। ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হলো। এর পর তার ছোট ভাই জনাব রাশেদ গার্মেন্টসের দায়িত্বভার নিলেন এবং মহানবি (সঃ) এর আদর্শ অনুযায়ী পরিচালনা করা শুরু করলেন। তিনি অল্প দিনের মধ্যে ব্যবসায় উন্নতি লাভ করলেন এবং শ্রমিকদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হলো।
বায়তুল মুকাররম মসজিদের খতিব সাহেব একদা তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত মুসল্লিগণের উদ্দেশ্যে বলেন,“তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদয় ব্যবহার করবে; অধীনস্থ কর্মচারীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে; ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা।” তিনি আরও বলেন, আমাদের মাদাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ সাহেব তার পরিষদে বলেন, “যতদিন আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অনুসরণ করি, ততদিন তোমরা আমার অনুসরণ করবে এবং আমাকে সাহায্য করবে।”
কেস-১: রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত পরিপাটি জীবন যাপন করে। তারা নিজেদের শ্রেণিকক্ষ, বসার জায়গা, বিদ্যালয়ের মাঠসহ সমস্ত পরিবেশের যত্ন নেয় এবং যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলেনা ।
কেস-২: রইচ মিয়া তার ছোট ভাইকে বলল-এসএসসি পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারলে তোমাকে দামি ঘড়ি কিনে দেব। পরীক্ষায় ভাল ফল করার পরে ছোট ভাই রতন পুরস্কারের কথা বললে রইচ মিয়া বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন এবং বলেন- তোমার সাথে আমার এমন কোন কথাই হয়নি।