ধর্মীয় শিক্ষক জনাব আব্দুর রহমান শ্রেণিতে ইসলামের এমন একটি বিষয় সম্পর্কে বলেন, যা অন্তরের বিশ্বাসের সাথে যুক্ত। উক্ত বিষয় সম্পাদনের জন্য মৌখিক স্বীকৃতি ও তদনুযায়ী কাজ করা দরকার। জনাব আব্দুল জব্বার একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। নির্মাণকালে তাঁর এক বন্ধু বাড়িটি দীর্ঘদিন রক্ষার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, একমাত্র মহান আল্লাহ-ই সব কিছু রক্ষা ও ধ্বংস করার মালিক।
জনাব আসলাম সাহেব সর্বদা সম্পদ সংগ্রহে নিমগ্ন থাকেন। তিনি আত্মসাৎ, পণ্যের ভেজাল মিশিয়ে বিক্রয়, অবৈধ পণ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য করেন। এ ব্যাপারে তিনি ইসলামের বিধি-বিধানের তোয়াক্কা করেন না। অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশফাক সাহেব এলাকার অসহায় ও দুস্থ মানুষের সেবায় একটি দাতব্য চিকিৎসালয় এবং পশু- পাখির জন্য একটি অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন ।
দশ বছর বয়সে রোহান তার পিতাকে হারায়। তারপর থেকেই মনে পিতা হারানোর বেদনা জমাট বেঁধে আছে। কোথাও কোনো এতিমের উপর অত্যাচার-নির্যাতন হতে দেখলে সে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। সে কখনও কোনো ভিক্ষুককে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়না। জনাব শফি সাহেব একজন সৎ ব্যবসায়ী। হঠাৎ করে তার ব্যবসায়িক - প্রতিষ্ঠানে আগুন লেগে সব কিছু পুড়ে যায়। এর ফলে তার পরিবারও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করে। কিন্তু তিনি আল্লাহ্র অসীম রহমতে বিশ্বাসী। তাই তিনি কখনও বিপদে ধৈর্য্যহারা হননি ।
জনাব ফিরোজ সাহেব পূণ্য লাভের আশায় নিজ এলাকায় ইক্বরা সংগঠন গড়ে তোলেন। তিনি মনে করেন সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করলে মহান আল্লাহ্ অবশ্যই তার প্রতিদান দেবেন। মসজিদের ইমাম সাহেব দু'জন মুসল্লির কাছে জিজ্ঞেস করলেন, সৃষ্টির মধ্যে গঠনের দিক দিয়ে সুন্দরতম কী? এর উত্তরে একজন বলল, মানুষ। অপরজন বলল, ফুল। তখন ইমাম সাহেব পাক কুরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করে বললেন, নিশ্চয়ই আমি মানুষকে অতি উত্তম গঠনে সৃষ্টি করেছি।
জনাব জাকির সাহেব একজন ধনী ব্যবসায়ী। তার সম্পদে যে গরীবের হক আছে তা তিনি ভ্রুক্ষেপ করেন না। এ ব্যাপারে তার বন্ধু শাকিল সাহেব তাকে বললেন শারীরিক ইবাদতের মতো আর্থিকও একটি ইবাদত রয়েছে। যা তোমার উপর ফরজ। জনাব মহিদুল নিয়মিত নামায রোযা করেন। শরিয়তের আহকাম পালন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সমাজের অসহায় মানুষের কাছ থেকে নিজেকে দূরে রাখেন। তাদের কোনো খোঁজ-খবর নেননা। একদিন তার প্রতিবেশি বজলুর রহমান বেহুঁশ হয়ে পড়লে ডাক্তার ডাকার জন্য তার কাছে গেলে তিনি ভ্রুক্ষেপ করলেন না।
দশম শ্রেণির ছাত্র মিশকাত বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র, শিক্ষা উপকরণ যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে, শিক্ষকদের সম্মান করে এবং সুন্দরভাবে পড়াশুনা করে। জনাব আসিফ সাহেব একজন সৎ ব্যবসায়ী। তার সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকে। তাঁর স্ত্রী মাঝে-মধ্যে বিরক্ত হয়ে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য পণ্যে ভেজাল ও ওজনে কম দেওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু আসিফ সাহেব এ ব্যাপারে রাজী হননা।
“কোভিড-১৯ বাংলাদেশ" শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি চিকিৎসায় মুসলমানদের অবদান প্রসঙ্গে একজন মনীষীর জীবনী তুলে ধরেন, যাকে আধুনিক চিকিৎসা-বিজ্ঞানের দিশারি মনে করা হয়। অপরদিকে মেডিকেল ছাত্র অনিক চিকিৎসা-বিজ্ঞানের একটি গ্রন্থে হাম, শিশু-চিকিৎসা, নিউরোসাইকিয়াট্রিক ইত্যাদি চিকিৎসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লাভ করেন। যা শুনে সবাই অভিভূত হন।
প্রেক্ষাপট-১ : জনাব কবিরের বাসায় একটি ইয়াতিম মেয়ে কাজ করে। নিজেরা খাওয়ার সময় তাকে ছেলে-মেয়েদের সাথে একসংগে বসে খাওয়ায়। পরিবারের পোশাক ক্রয়ের সময় তার জন্য একই মানের পোশাক ক্রয় করেন।
প্রেক্ষাপট-২: জনাব সগির সাহেব নিজ এলাকার চেয়ারম্যান। তাঁর এলাকার লোকজনের সংগে পরামর্শ করে কিছু স্থানীয় আইন প্রণয়ন করেন। যেমন—কেউ চুরি, সন্ত্রাসী ও মাদক চোরাচালানী কাজে জড়িত হলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ বলে গণ্য হবে। তার অপরাধের জন্য গোটা সম্প্রদায়কে দোষী সাব্যস্ত করা যাবেনা। এছাড়াও এলাকায় মাদক, হত্যা ও রক্তপাত ইত্যাদি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ।