আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) সাফা পাহাড়ে আরোহণ করে কুরাইশদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি এক ভীষণ আযাব সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক, করছি। অধিকাংশ কুরাইশ রাসুলুল্লাহ্ (সা:) এর সতর্ক বাণী অমান্য করে পূর্বের ন্যায় আগ্রহের স্যাম অর্জনের জন্য কাবা ঘর তাওয়াফ করতে থাকে। আবার লাত ও মানাতকে উপাস্য বানিয়ে তাদের সিজদাহ করাও অব্যাহত রাখে। তারা মনে করে, এগুলো তাদেরকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সাহায্য করবে।
তথ্যঃ ১
জনাব "ক" বিশ্বাস করে, মৃত্যুই জীবনের পরিসমাপ্তি। পরকাল বলতে কিছু নেই।
তথ্যঃ ২
তানিয়া নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার শিক্ষাক্রমে অন্যান্য বিষয়ের সাথে একটি বিশেষ বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। এটি অধ্যয়ন করে সে আল্লাহ ও রাসূলের পরিচয় এবং পৃথিবীতে মানুষের করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে পারছে। অবশেষে সে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, যদি এটি পড়ালেখার সুযোগ না পেত তাহলে সে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে যেত।”
জনাব সামাদ আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ভোররাতে আহার গ্রহণ করে সুর্যাস্ত পর্যন্ত আহার বিরত থাকেন। তার মহল্লায় কিছু সংখ্যক ধনীলোক বাস করেন। আবার বেশকিছু গরিবত্ত আছেন। ধনীরা বছর শেষে তাদের সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে শাড়ি, লুঙ্গি কিনে গরিবদের মাঝে বিতরণ করেন। মহর মসজিদের ইমাম কমিটির সহায়তায় এলাকার ধনী ও গরিবদের তালিকা প্রস্তুত করেন। ধনীরা তাদের বাৎসরিক বাধ্যতামূলক আর্থিক দানের অর্থ ইমাম সাহেবের নিকট জমা করেন। ইমাম সাহেব তালিকাভুক্ত গরিবদের মধ্য থেকে প্রতি বছর ২০ জন পুরুষকে ২০টি রিক্সা ২০ জন মহিলাকে ২০টি সেলাই মেশিন প্রদান করেন। তিনি দুস্থদের চিকিৎসা খরচের জন্য কিছু টাকা খরচের জন্য প্রদান করেন। পাঁচ বছর পর দেখা যায় গরিব লোকগুলো সাবলম্বি হয়ে গেছেন।
দৃশ্যকল্প-১
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) খেজুর জাতীয় শুকনো খাবার বেজোড় সংখ্যায় খেতেন। (হাদিস)
দৃশ্যকল্প - ২
জাকির সাহেব একজন ধনী ব্যক্তি। তিনি নিয়মিত দৈনিক পাঁচবার আল্লাহর প্রতি বাধ্যতামূলক শারীরিক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পৃথিবীর প্রথম ঘরটিও বিয়ারত করেছেন। তবে বছর শেষে গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি বাধ্যতামূলক আর্থিক দায়িত্বটি এড়িয়ে যান ।
তথ্য-১
ইয়েমেনের শাসক আবরাহা পবিত্র কাবা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে এক বিশাল হস্তি বাহিনী নিয়ে মক্কা অভিযানে বের হয়। আল্লাহ তায়ালা তাঁর ঘর রক্ষা করার জন্য ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি পাঠান। পাখিরা মক্কা থেকে কিছু দূরে 'ওয়াদিয়ে মুহাসসার' নামক স্থানে আবরাহার বাহিনীর উপর পাথর বৃষ্টি বর্ষণ করে। এতে আবরাহা ও তার বাহিনী ধ্বংস হয়ে যায়।
তথ্য-২
নাফিস একটি মুদি দোকানের মালিক। মাসের শুরুতে প্রায় দশদিন তার দোকানে প্রচুর বেচাকেনা হয়। এ দিনগুলোতে তিনি ইশা ও ফজরের নামায় যথাসময়ে আদায় করেন। ক্রেতাদের ভীড়ের কারণে যোহর, আসর ও মাগরিবের নামায আদায় করেন না। রাতের বেলা বাসায় গিয়ে এ ওয়াজগুলোর নামায কাযা আদায় করেন।
জনাব মাৰি আহের সটি দেশে গমন করে পৃথিবীর প্রথম সর ন করেন। দুইটি বিশেষ প্রান্তরে অবস্থানসহ আরো কিছু কাজ সম্পাদন করে দেশে ফিরে আসেন। তাঁর বন্ধু আবির একটি গার্মেন্টস কারখানার মালিক। কিন্তু সময়মত তিনি শনিকদের বেতনাদি পরিশোধ করেন না। বরং অনেক সময় তাদের অতিরিক্ত কাজের বোঝা চাপিয়ে দেন। মাঝেমধ্যেই কারখানার শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়।
সালেহা বেগমের একটি গাড়ীর খামার আছে। খামারে দৈনিক প্রায় ৫০ লিটার দুধ উৎপন্ন হয়। একদিন ২টি বায়ুর দুধ খেয়ে ফেলায় ৫ লিটার দুধ কম হয়। শামারের কর্মচারী লিটার পানি মিশানোর প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সালেহা বেগম জাহান্নামের আযাবের কথা ম করে কর্মচারীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। সালেহা বেগমের পুত্র আমিন একজন অফিসার। একটি মিটিং উপলক্ষে তাঁর অফিসের সকলের আশ্যায়নের জন্য ২০ প্যাকেট নাস্তা আনা হয়। নাস্তা পরিবেশনের পূর্বে গুণে দেখা যায়, একটি প্যাকেট নেই। আমিন সাহেবের কর্মচারী শফিক তাঁকে জানায়, একটি প্যাকেটের নাস্তা সে খেয়েছে। আমিন সাহেব শফিকের ওপর রাগ না করে তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমার স্বীকারোক্তি পরকালে তোমাকে বিশেষভাবে উপকৃত করবে।
"ক" নামক একটি প্রসাধনী কারখানায় ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করে দেখলেন। সাভারে উৎপাদিত দেশি দ্রব্যের গায়ে লেবেল লাগানো হয়েছে Made in America. এভাবে এগুলো উচ্চমূল্যে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অপরদিকে 'ব' পত্রিকার একজন সাংবাদিক অভিযানের বিষয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করলো। সে রিপোর্ট যাতে প্রকাশ করা না হয়, সেজন্য কারখানার ম্যানেজার জহির তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকা দেয়ার প্রস্তাব করে। কিন্তু সাংবাদিক তা গ্রহণ করেননি। স্থানীয় মসজিদের ইমাম বিষয়টি জানতে পেরে জহিরকে বলেন, আপনার ভূমিকা জাহান্নামের পথকে প্রশস্ত করবে।
রসুলপুর ইউনিয়নে একটি বড় খেলার মাঠ আছে। রমজান মাস শেষে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন দ্বি-প্রহরের পূর্বে মুসলমানগণ খেলার মাঠে জামাআতের সাথে দুরাকাত সালাত আদায় করেন। হানিফ সাহের ইউনিয়নের একজন ওয়ার্ড মেম্বার। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন। গতরাতে তাঁর একজন প্রতিবেশী মারা যান। উপজেলা পরিষদের পূর্বনির্ধারিত একটি মিটিং এ অংশগ্রহণের কারণে তিনি প্রতিবেশীর জানাযায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
আলিফ সাহেব কুরআনের হাফেজ এবং নামকরা সার্জারী ডাক্তার। তিনি বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জন্মগত জোড়াশিশু অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করেন। এ সাফল্যের কারণে তাঁকে এ বিষয়ের পথিকৃত বলা হয়। তার ভাই কুরবান সাহেব একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান । তিনি রাতের বেলা ঘুরে ঘুরে গরিব মানুষদের খোঁজ-খবর নেন। দরিদ্র প্রসূতি মায়েদের পরিচর্যা ও সেবা প্রদানের জন্য স্ত্রী হালিমাকে বাড়ি বাড়ি পাঠান। অফিসের কাজে ব্যবহারের জন্য পরিষদের টাকায় কয়েকটি ল্যাপটপ ক্রয় করা হয়। প্রত্যেক মেম্বারকে একটি করে ল্যাপটপ প্রদান করা হয় কিন্তু তিনি নিজে নেন তিনটি ল্যাপটপ।
মিসেস নাজিয়ার একটি ফলের বাগান আছে। তিনি তার এ বাগানটি উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। পাখি ও পথিক লোকজন ইচ্ছেমত ফল খায়। এতে তিনি আনন্দবোধ করেন। তাঁর স্বামী মোসলেম সাহেব একজন কর্মজীবী মানুষ। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে তিনি ওষু করেন এবং ভোররাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের সংকল্প করেন। অধিকাংশ ভোররাতে সজাগ হয়ে নামাজ আদায় করেন। মাঝে-মধ্যে তিনি ঘুম থেকে জাগতে পারেন না ফলে তাহাজ্জুদ নামাজও আদায় করতে পারেন না।