দৃশ্য-১ : নগরায়নের যুগে নির্বাচিত নগরপতিরা নগরের জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে জল নিষ্কাষণের জন্য নর্দমা তৈরি করছেন এবং নগর পরিচ্ছন্ন রাখার সাথে সাথে রাতের বেলা পর্যাপ্ত আলোর জন্য বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করছেন।
দৃশ্য-২ : সমাজপতি রাজেশ রায় সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে খুব সচেতন। তার ছেলে রাজু দরিদ্র কৃষকের আম বাগানের ক্ষতি করে। কৃষক রাজেশ রায়ের কাছে ক্ষতির বিচার চাইলে, তিনি রাজুকে শাস্তি দেন এবং বলেন, অপরাধ করলে সবারই শাস্তি হবে ।
বিষ্ণুপদ তাঁর পিতার মৃত্যুর পর অধিক বয়সে রাজ্য ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন সুদক্ষ যোদ্ধা, সুপণ্ডিত, বিদ্যোৎসাহী ও ধার্মিক রাজা। বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার জন্য বিষ্ণুপদ রাজ্য পরিচালনায় অমনোযোগী হয়ে পড়েন। এ সুযোগটি নেন পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বীর যোদ্ধা আমজাদ খান। তিনি অতি সহজেই বিষ্ণুপদকে পরাজিত করে তাঁর রাজ্য দখল করেন। বিষ্ণুপদ অন্য এলাকায় আশ্রয় নেন। আমজাদ খাঁন বিজিত অঞ্চলে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন ।
পাকভারত উপমহাদেশ এক সময় ভিনদেশিদের অধিনে চলে যায়। দেশকে শাসন- শোষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কুমুদতলার উচ্চ শিক্ষিত সুমিত সাহা দল গঠন করেন এবং ভিনদেশিদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। শক্তিশালী ভিনদেশীয় শক্তির সাথে সুমিত সাহার দল পেরে উঠতে না পেরে পিছু হটে যায় এবং সুমিত সাহা গ্রেফতার হন এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। সুমিত সাহার দলে ছিলেন মেধাবী নারী সদস্য স্মৃতি রায়। দলের সিদ্ধান্তে স্মৃতি রায় ‘কুমুদতলা ক্লাব' আক্রমণ করেন এবং সফল অভিযানের পর গ্রেফতার হওয়ার আগেই আত্মহত্যা করেন।