রফিক মাছের একজন সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। অবসর সময়ে ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে পরিদর্শনে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আবিষ্কৃত প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন, প্রাচীন কালের তালপাতার লেখা পত্রিকা, সরকারি নির্দেশনামা, বিভিন্ন বাজানের জীবন সংবলিত পুস্তক দেখতে পান। এছাড়া তিনি তাঁর সন্তানদের-কে নিজ দেশের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করেন এবং বলেন দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির স্বার্থে ইতিহাস পাঠ করা প্রয়োজন ।
'ক' অঞ্চলের শাসকের মৃত্যুর পর প্রচণ্ড অরাজকতা দেখা দেয়। এতে আশেপাশের অঞ্চলের প্রভাবশালী শাসকবর্গ প্রতিবেশি দুর্বল অঞ্চলগুলো দখল করে নেয়। দীর্ঘদিন অঞ্চলগুলোতে এই অবস্থা চলে। এ অরাজকতা থেকে মুক্তি পেতে উক্ত অঞ্চলের অধিবাসীগণ এক যোগ্য ব্যক্তিকে শাসনক্ষমতা অর্পণ করেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন এবং দীর্ঘদিন তার বংশধরগণ ঐ অঞ্চলের শাসন পরিচালনা করেন।
“ক” জাতিসংঘের মিশনে সুদানে গিয়ে সে দেশের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হয়। দক্ষিণ সুদানের বেশিরভাগ সম্পদ উত্তর সুদানের উন্নয়নে ব্যয় হতো। এমনকি দক্ষিণ সুদানের জনগণ নিপীড়ন ও শোষণের শিকার হয়। ফলে রাষ্ট্রীয় কাজে দক্ষিণ সুদানের জনগণ সবধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতো। এতে দক্ষিণ সুদানের জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটিতে যুদ্ধ বাধে। পরবর্তী সময়ে সাবেক সুদান ভেঙে দক্ষিণ সুদান নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।