কৃষক মিন্টু বসাক তার নিজ এলাকায় মহাজনের নিকট থেকে সাপ্তাহিক ১% হারে চক্রবৃদ্ধি সুদে ঋণ গ্রহণ করেন। যেখানে বার্ষিক সুদ হবে ৫২%। অন্যদিকে জনাব সামাদ ‘সূচী ও রুচী' নামক দু'টি প্রকল্পের একটিতে বিনিয়োগে আগ্রহী। সূচী প্রকল্প থেকে বিগত তিন বছরের আয়ের পরিমাণ যথাক্রমে ১২%, ১৪%, ৮%। একই সময়ে রুচী প্রকল্পের আয়ের গড় ৫৫% এবং আদর্শ বিচ্যুতি ৫.৫৮%।
জনাব আসলাম এককালিনপ্রাপ্ত ১ লক্ষ টাকা ৮% সুদে ‘A’ কোম্পানির বন্ডে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু কিছু দিনপর অর্থের সংকট হওয়ায় বন্ডগুলো কম বাজার মূল্যে বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত হন। অন্যদিকে মান্নান এন্টারপ্রাইজ ‘মুন’ ও ‘স্টার' নামে দু'টি প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চান' উভয় প্রকল্পের মেয়াদ ৩ বছর ও প্রাথমিক বিনিয়োগ ১৫ লক্ষ টাকা, “মুন” প্রকল্পের ৩ বছরের নগদ প্রবাহ যথাক্রমে ৭ লক্ষ, ৯ লক্ষ ও ৪ লক্ষ টাকা, অন্য দিকে তিনি ‘স্টার' প্রকল্প থেকে ৩ বছরেই বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত আসবে বলে আশা করছেন।
শীতবস্ত্র উৎপাদনকারী জনাব জালাল আহমেদ এ বছর শীত বেশি পড়বে এই আশায় নতুন মেশিন কিনে অধিক পরিমাণে শীতবস্ত্র উৎপাদন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে শীত তেমন না হওয়ায় তিনি অতিরিক্ত শীতবস্ত্র বিক্রিতে ব্যর্থ হন। অন্য দিকে জনাব আরমান পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত ৫ লক্ষ টাকা ৫ বছরের জন্য “সততা ব্যাংকে” জমা রাখতে চাইলে তার বন্ধু তাকে উক্ত অর্থ সাধারণ শেয়ারে বিনিয়োগ করলে বেশি লাভবান হবেন বলে জানান ।
জনাব শাহেদ চামড়ার জুতা-স্যান্ডেল তৈরির ব্যবসায়ের মালিক। সম্প্রতি তার ব্যবসায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ‘পদ্মা ব্যাংক’ থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। ‘পদ্মা ব্যাংক’ তাকে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পুরানো মেশিনের স্থলে নতুন মেশিন ক্রয়ের পরামর্শ দেন। আবার পদ্মা ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাসহ গ্রাহকদের বিভিন্ন মুখী সেবা প্রদান করে আসছেন ।
জনাব ফয়সাল আহমেদ দক্ষিণ কোরিয়ায় চিংড়ি রফতানি করেন। কোরিয়ান ‘ওন টাকায় পরিণত করার প্রয়োজন হলে ‘সিনথি ব্যাংক' কাজটিতে সহয়তা করে। ‘সিনথি’ বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত এবং উক্ত ব্যাংকের ঋণের সুদ তুলনামূলকভাবে কম। হঠাৎ জনাব ফয়সালের ব্যবসায়ে অর্থের প্রয়োজন হলে তার বন্ধুরা তাকে “কাপ্তাই ব্যাংকের” মাধ্যমে লেনদেন করতে বলেন। কিন্তু তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ‘কাপ্তাই ব্যাংকের’ আমানতের ও ঋণের সুদ উভয়ই বেশি এবং ঋণ গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতাও জটিল।
ফ্রান্সের ঔষধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াংকিং' বাংলাদেশের “রূপম ফার্মাসিউটিক্যালস” কে নিয়মিত ঔষধ সরবরাহ করে। এক্ষেত্রে ‘P’ ব্যাংক রূপম ফার্মাসিউটিক্যালস এর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ ব্যবস্থায় ‘ওয়াংকিং' কে অর্থ প্রদানের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এছাড়া “p” ব্যাংক আমদানি-রপ্তানি কার্যে সহায়তা, উপদেশ ও ঋণ প্রদানসহ ব্যবসায়-বাণিজ্যের উন্নয়নের ব্যাপক সহযোগিতা করে থাকে।
খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রেতা জনাব আলমগীর ক্রেতা জনাব শাহীনের নিকট থেকে ৩০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে পরিশোধযোগ্য ৫,০০০ টাকার একটি বিল পান। এমতাবস্থায় জনাব আলমগীর অর্থের প্রয়োজনে ২৫ নভেম্বর ২০২১ বিলটিকে ‘Q’ ব্যাংকে বিক্রি করে ৪,৮৭৫ টাকা পান। আবার জনাব সিকদার তার ব্যবসায়িক লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য ব্যাংকে ১,০০০ টাকা জমা দিয়ে এমন একটি হিসাব খোলেন যেখান থেকে সপ্তাহে দু'বারের বেশি অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন না। সম্প্রত্তি তার হিসাবে রক্ষিত ৫০,০০০ টাকার অতিরিক্ত উঠানোর প্রয়োজন হলে ব্যাংক কর্মকর্তা তাকে অন্য একটি হিসাব খোলার পরামর্শ দেন। যেখান থেকে তিনি জমাকৃত অর্থের অতিরিক্ত অর্থ উঠানোর সুবিধা পাবেন।
রত্না ফুডস এন্ড বেভারেজ কোঃ লিঃ এর ব্যবস্থাপক ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পাদনের জন্য একটি হিসাব খুলতে চাইলে ব্যাংক তাদেরকে একটি ফরম পূরণসহ বেশ কিছু কাগজ প্রত্রাদি সংযুক্ত করতে বলেন। এছাড়া কোম্পানিটি কিছুদিন পর ঐ ব্যাংক থেকে একটি ইলেকট্রনিক কার্ড গ্রহণ করেন যার মাধ্যমে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বাকিতে মালামাল ক্রয় করা যায় ।