ক' রাষ্ট্রের সংবিধান জনগণের আচার-অনুষ্ঠানের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। এটি পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খেয়ে পরিবর্তন করা যায় বিধায় সে দেশে বিপ্লবের সম্ভাবনা কম থাকে। অপরদিকে 'খ' রাষ্ট্রের সংবিধানটি কখনও কখনও প্রগতির অন্তরায় হিসেবে প্রতীয়মান হয়, প্রয়োজনে জনগণ বিপ্লব করতে বাধ্য হয়। আইনসভার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যদের অনুমতি ব্যতীত কোনো ধারা পরিবর্তন করা যায় না।
মিঃ আজিজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ২০১৫ সালে তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীনে গোলযোগপূর্ণ সুদানে শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অন্যদিকে মিঃ জহির বেসামরিক নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও অন্য একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। সংস্থাটি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে কাজ করেছে।
'ক' অঞ্চলে রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত মানুষদের মারা হয়। এর ফলে উক্ত অঞ্চলে যুবকরা প্রতিবেশি দেশে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। যুবকরা নিজ এলাকায় ফিরে এসে শত্রুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। অবশেষে তারা তাদের অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত করে। বিশ্বের মানচিত্রে 'A' অঞ্চলটি একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
'X' নামক একটি রাষ্ট্র স্বাধীন হওয়ার পর একটি কমিটি গঠন করে সে দেশের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। । সংবিধান গণ পরিষদে বিল আকারে উত্থাপন, গৃহীত ও কার্যকর হতে দীর্ঘ দশ মান সময় লাগে।
অন্যদিকে "Y" নামক রাষ্ট্রের সংবিধান গড়ে ওঠে ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে লোকাচার ও প্রথার ভিত্তিতে। এ জন্য এ সংবিধানের ক্ষেত্রে কোনো কমিটি বা গণপরিষদে বিল উত্থাপনের প্রয়োজন হয় নি।
ঘটনা-১: 'A' নামক একটি রাষ্ট্র জোরপূর্বক 'B' রাষ্ট্রের একটি প্রদেশ দখল করে নেয়। এ সমস্যা নিরসনকল্পে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা 'A' রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আর্থিক ও বৈদেশিক সম্পর্কের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করো ।
ঘটনা-২: কতিপয় মুসলিম রাষ্ট্র মিলে মুসলমানদের স্বার্থরক্ষায় একটি সংস্থা গড়ে তোলে। ১৯৬৯ সালে সংস্থাটি সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধানদের নিয়ে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে।