মি. আলম একজন ব্যবস্থাপক। তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সাথে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করে তাঁদের মতামতের মূল্যায়ন করেন। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের মান বেড়েছে। তবে কিছুদিন থেকে কর্মীদের মাঝে অবাধ্যতা দেখা দেওয়ায় তিনি নেতৃত্বের ধরনে পরিবর্তন আনার চিন্তা করছেন। তিনি মার্জিত ব্যবহার ও সম্মোহনী ক্ষমতার দ্বারা সাহস ও সততার সাথে কর্মীদের অসন্তোষ দূর করার চেষ্টা করছেন।
আদনান নদীর পাশে একটি সার কারখানা স্থাপন করেন। কিন্তু কারখানার কালোধোঁয়া ও বর্জ্য যথাযথভাবে নিষ্কাশন না করে নদীতে ফেলেন। ফলে বায়ু ও নদীর পানি দূষিত হয়ে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে এবং ক্রমেই পানি ব্যবহারের অযোগ্য হচ্ছে। স্থানীয় পত্রিকায় উক্ত নদী দূষণের উপর একটি প্রতিবেদন পড়ে আদনান বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।
অমল এবং কমল দুই বন্ধু পারস্পরিক মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে পদ্মা ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করেন। তারা চুক্তি অনুযায়ী মূলধন আনবে এবং মুনাফা বণ্টন করবে। কিন্তু অমল কোনো কাজের জন্য তৃতীয় পক্ষের নিকট দায়বদ্ধ থাকবেনা বলে জানিয়ে দেয়। আর্থিক সংকটে পড়ে পদ্মা ট্রেডার্স মহানন্দা ট্রেডার্সের নিকট থেকে বাকিতে পণ্য ক্রয় করে কিন্তু সঠিক সময়ে অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে পদ্মা ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।
জনাব শামীম জুতা প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক। কারখানায় তিনি উন্নতমানের বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা তৈরি করেন। কারখানায় তৈরিকৃত জুতা বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি শো-রুম চালু করেন। ফলে ক্রেতারা সরাসরি শো-রুম থেকে জুতা কিনতে পারে। তিনি পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য পণ্যের মান, ডিজাইন, মূল্য, ব্যবহার বিধি ইত্যাদি তুলে ধরে বৈদ্যুতিক নিয়ন আলো ব্যবহার করে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করেছেন।
“স্বদেশি পণ্য কিনে হন ধন্য” এর উপর ভিত্তি করে জনাব তোহুরুল “মর্ডান সিল্ক শাড়ির” ব্যবসায়টি পরিচালনা করেন। গতানুগতিক ডিজাইন পরিহার করে শাড়ির গুণগতমান ও ডিজাইনে নতুনত্ব আনার জন্য যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ব্লক-বাটিকের উপর কোর্স সমাপ্ত করেন। তিনি তাঁর উৎপাদিত শাড়িগুলো ঢাকায় বাজারজাতকরণ করতে চান। এ কাজে তার পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন হয়।