"অন্ধত্বকে জয় করেছে
কুসুমপুরের কলি।"
নিজস্ব প্রতিবেদক।। দৈনিক প্রতিভা— জন্মান্ধ হলেও কুসুমপুরের কলি আজ সঙ্গীত জগতে এক উজ্জ্বল তারকা। আর তা সম্ভব হয়েছে তার মার কারণে। অন্ধত্বের বিষয়টি জানার পরও তিনি হতাশ হননি বরং অন্য যেকোনো সন্তানের চেয়ে কলি আরো বড় হবে এই প্রত্যয়ে তাকে লেখাপড়া ও গান শেখাতে শুরু করেন; তাঁর চেষ্টা আজ সফল হয়েছে। তিনি কলির জন্য আজ গর্বিত মা।
নাজিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের মেয়ের বিয়ে এলাহি কাণ্ড। তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে-মেয়ের বন্ধুবান্ধব, শহর থেকে আসা আত্মীয়-স্বজনে গোটা বাড়ি গমগম করছে। কিন্তু দাওয়াতে আসা বাজারের চামার, মেথর থেকে শুরু করে কুলি, মজুর, মুটে সবার উপস্থিতি দেখে বড় ছেলে মাহফুজ বিরক্ত হলেন, আরও অবাক হলেন এসব লোকদের যখন তার বাবা হাত ধরে খাবার টেবিলে বসালেন, নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করলেন। ছেলে বলল, 'মান সম্মান আর কিছু বাকি রইল না। ছেলের কথায় চেয়ারম্যান বললেন, 'এরাই দেশ ও জাতির সম্পদ, এসব মানুষই তো জাতির শক্তি।
বিকেল বেলা লাল গরুটা ছুটতে ছুটতে এসে হাজির। নিধিরাম উঠানের ধারে বসে বেড়া বাঁধছিল। আর এদিক ওদিক নয়, লাল গরুটা সোজা গিয়ে লম্বা মুখটা তার কাঁধের উপর তুলে দিল। ঠান্ডা নাকটা গায়ে লাগতেই নিধিরাম চমকে উঠল, এটা আবার কী? ওমা, এ যে লাল গরুটা। অ্যা, কেমন করে এসে পড়লো? লাল গরুটা তার ডাগর চোখ দুটি ওর মুখের দিকে তুলে ধরল। ওর চোখ দুটো যেন কথা বলছে যেন বলছে, তোমার এ কেমন আক্কেল বল তো? আমাকে একা কোথায় পাঠিয়ে দিয়েছিলে? আমি কি তোমাদের ছেড়ে থাকতে পারি? গরু তো মুখ ফুটে কথা বলতে পারে না। কিন্তু মনে মনে সে এ কথাই বলছিল। তারপর তাকে নিয়ে বাড়িসুদ্ধ হৈ হৈ পড়ে গেল। ছেলে-মেয়েরা চেঁচামেচি, মাতামাতি, নাচানাচি শুরু করে দিল। নিধিরাম লাল গরুর গলা জড়িয়ে ধর বলল, আমার গরু।
ড. রশিদ হারুন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক। তিনি নাট্যরূপ দেয়ার জন্য বিভিন্ন লোককবির পালা গান ও কাহিনী সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন। একবার তিনি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার দুইজন লোককবির লোকগাথা সংগ্রহ করেন। পরে তিনি ওই গাথাগুলোর নাট্যরূপ দিয়ে তাঁর বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা অভিনয় করান। পরে রেকর্ডিং করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিলেন।
অকালে স্বামী বিয়োগের পর একমাত্র সন্তান আবিরকে আফরোজা যক্ষের ধনের মত আগলে রাখে। আবিরও যেন পাড়ার ছেলেদের স্বঘোষিত সর্দার। সারাদিন ঘুড়ি উড়ানো, নদী-পুকুরে দাপাদাপি, বনে-বাদাড়ে পাখির বাসার খোঁজ- এইসবে মেতে থাকে। একদিন বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়ে মাথায় আঘাত পায় এবং সমস্যাটি ধীরে ধীরে প্রকট আকার ধারণ করে। ছেলেরর সুস্থতার জন্য আফরোজা ডাক্তার-কবিরাজ-বড় বড় হাসপাতাল কিছুই বাদ রাখেনি । তার একটাই চাওয়া— ছেলে তার সুস্থ হয়ে উঠুক, সুস্থভাবে বাঁচুক ।
উদ্দীপক অংশ-১ : ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মিজান সাহেব। সারাদিন ব্যবসা, টাকা-পয়সা, বিত্ত-বৈভব এই তার ধ্যানজ্ঞান। এ সবের পিছনে ছুটতে গিয়ে শরীরেও বাসা বেঁধেছে নানা অসুখবিসুখ । তাই তো নিয়মিত হাঁটাহাটি ওষুধ-পত্রও চলছে।
উদ্দীপক অংশ-২ : অনেকদিন পর মিজান সাহেব গ্রামে এসেছেন বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখতে। নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারলেন না। গ্রামের মানুষ তার বাবক মাকে সারাক্ষণ আগলে রাখে। নিজেরা দারিদ্র্যের মধ্যে থেকেও এখানে সবাই সবার। এত বয়সেও বাবা-মার শারীরিক কোনো সমস্যাও নেই।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অমিত দেশমাতৃকার দুর্দিনে অন্য বন্ধুদের সাথে যুদ্ধে যোগ দিল। পাক সেনাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপারেশনে সফল নেতৃত্ব দিল। একদিন সম্মুখ যুদ্ধে শত্রুর বুলেটের আঘাতে দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেল। বন্ধুরা তাঁর মৃতদেহ বাড়িতে আনলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হলো। কিন্তু তার বৃদ্ধ মা একটুও বিচলিত না হয়ে সবাইকে লক্ষ্য করে বললেন, “দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা গৌরব ও সম্মানের। সকলের ত্যাগের বিনিময়েই দেশ একদিন স্বাধান হবে।