জনাব শামীম নরসিংদীর বিভিন্ন লুঙ্গি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে লুঙ্গি ক্রয় করে ভৈরব, আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিভিন্ন দোকানে বিক্রয় করেন। আমাদের দেশের লুঙ্গির চাহিদা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থাকায় তিনি তথ্য সংগ্রহ করে ভারত, থাইল্যান্ড ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে লুঙ্গি শুরু করেন। এ কাজে সহায়তার জন্য তিনি ১০ জন কর্মী নিয়োগ দেন। ফলে তার ব্যবসায়ের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পায়।
জনাব অমিত নারায়ণগঞ্জে হোসিয়ারি পণ্য তৈরির একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠানে ২০০ জন লোক নিয়োগ দেন। তার শিল্পে উৎপাদিত পণ্য নৌপথে সহজেই বিদেশে পাঠাতে পারে। পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জনাব অমিত নিয়মিত কর মওকুফের সুবিধা পেয়ে থাকেন। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কারণে তাদের পণ্যের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পায়। তাই অধিক পণ্য উৎপাদনের জন্য আরও ৫০০ জন লোক নিয়োগ দেওয়া হয় এবং শিল্পকারখানা সম্প্রসারণ করা হয়।
মাসুম ও তার ৩০ জন বন্ধু মিলে আইন অনুযায়ী 'সুমন ট্রেডার্স' নামে একটি ব্যবসায় স্থাপন করেন। এ ব্যবসায়ের সদস্যগণের দায় সীমিত এবং এটি জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রয় করতে পারে না। পরবর্তীতে তারা প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে ব্যবসায়ের স্থান পরিবর্তন করেন এবং বৃহৎ পরিসরে ব্যবসায় শুরু করেন। ফলে তাদের ব্যবসায়ে দেশের বহু মানুষের কাজের ব্যবস্থা হয়। তারা জনসাধারণের কাছে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে নতুন ব্যবসায়ের জন্য মূলধন সংগ্রহ করেন ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয় নগরের মি. রমিজ উন্নত জাতের আম, পেয়ারা, মালটা প্রভৃতি চারা উৎপাদন করে বিক্রি করেন। তিনি চারা উৎপাদনের পূর্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সহায়তায় জমির মাটি চারা উৎপাদনের উপযোগী এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক পলিপেপার ব্যবহারের মাধ্যমে অতি রোদ-বৃষ্টি, শীত ও কুয়াশা থেকে চারাগুলোকে সুরক্ষার কৌশল অবলম্বন করেন। ফলে তার প্রচুর মুনাফা অর্জিত হচ্ছে। এই বছর জমি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে চারা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে তিনি মূলধন সংকটে পড়েন। তিনি ব্যাংক হতে ২% সুদে দুই লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে মূলধন সংকট নিরসন করেন।
জনাব রহমত একজন ইলেকট্রনিক সামগ্রী উৎপাদনকারী। তিনি তাঁর উৎপাদিত পণ্যের ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও চিত্র বিজ্ঞাপন হিসেবে দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার করেন। তিনি উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের জন্য নিচের বণ্টনপ্রণালি অনুসরণ করেন :
ক-প্রক্রিয়া: উৎপাদনকারী → পাইকার → ভোক্তা
খ-প্রক্রিয়া : উৎপাদনকারী → প্রতিনিধি বা এজেন্ট → ভোক্তা
গ-প্রক্রিয়া: উৎপাদনকারী → প্রতিনিধি বা এজেন্ট → ভোক্তা → খুচরা বিক্রেতা
'আশা ও দীশা' স্টোরের মালিক, জনাব সাইফুল নিজের এলাকার বাজারে সুনামের সাথে ব্যবসায় পরিচালনা করছেন। তার ব্যবসায়ের সকল কাজ তিনি নিজে দেখাশুনা করেন, কিন্তু ব্যবসায়ের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু কর্মী নিয়োগ দেন। কর্ম নিয়োগেও তিনি সচেতন ছিলেন। কাঁচামাল সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণসহ সবধরনের কাজ করেন এবং একজন ম্যানেজারও নিয়োগ দেন। ম্যানেজার মালিকের নির্দেশনায় সকলের কাজ ভাগ করে দেন এবং তদারকি করেন। জনাব সাইফুল তাদের কাজের এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর মাও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা কোই সাহেবের পর প্রতিষ্ঠানটি সাদা প্রতিষ্ঠানে পরি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের পাশে জনাব আকতার নিজস্ব মূলধন দিয়ে একটি কম্পিউটার ও ফটোকপি দোকান দেন। তিনি ফটোকপি দোকানের পাশাপাশি লাইব্রেরি স্থাপনের চিন্তা করেন। পরবর্তীতে তারা ভিম বন্ধু একত্রিত। হয়ে সমহারে মূলধন সরবরাহ, লাভ-লোকসান বণ্টনের ভিত্তিতে পারস্পরিক সমঝোতায় 'ফ্রেন্ডস লাইব্রেরি' নামে নতুন একটি ব্যবসায় স্থাপন করেন। অল্পদিনের মধ্যেই তাদের ব্যবসায়টি সফলতা অর্জন করে।
রামিসা আনান টিভিতে মডেল হিসেবে কাজ করেন। তিনি মনে করেন নতুন নতুন পণ্য ও সেবাসামগ্রী ক্রয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য এবং বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য তার এই কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। সামিহা জানান একটি বৃহদাকার শপিংমলে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন। ক্রেতাদের সাথে সুন্দর আচরণ, আত্মবিশ্বাস, শিক্ষা ও ইত্যাদি কারণে সামিহার বিক্রয়ও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জনাব একজন প্রভাষক। তিনি তাঁর এলাকার জনগণকে সাহিত্যে উৎসাহিত করার জন্য একটি পাঠাগার স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অপরপক্ষে, তাঁর বন্ধু সাজু যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পোল্ট্রি ও ডেইরি ফিড তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন। এতে অনেক লোকের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এখন সে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ।
জনাব মনির একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যবসায়ের সবধরনের উপকরণকে তিনি যথাযথভাবে কাজে লাগান। তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কাজের ছক পূর্বেই তৈরি করেন এবং সে অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করেন। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে একবার মূলধনের ঘাটতি দেখা দিলে, তিনি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের ব্যবস্থা করেন। তিনি উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির একজন সদস্য।
উচ্চ শিক্ষিত ইব্রাহীম সাহের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি প্রাপ্তিতে ব্যর্থ হন। অনেকদিন বেকার থাকার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ও কম্পিউটার চালনায় প্রশিক্ষণ কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করেন। তারপর বুড়িচং উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে 'মা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার' নামে। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জুয়েল নামে একজন কর্মচারীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিয়োগ নেন। ফলে জুয়েলের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারসহ অন্যান্য সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।