জনাব ফারহান স্বল্প অর্থ নিয়ে নিজের উদ্যোগে 'ফিশ অ্যান্ড ফিডস' নামে মাছের হ্যাচারি চালু করেন। অল্প দিনের মধ্যেই চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আত্মীয়-স্বজন এবং ব্যাংক থেকে খল নিয়ে তাঁর হ্যাচারির পরিধি বাড়ায়। জনাব ফারহানের ব্যবসায়ের সহজতা দেখে ঢাকায় কর্মরত তার ছোট ভাই আহমেদ জনাব ফারহানের সাথে সামান মূলধন বিনিয়োগ করে একটি লেয়ার মুরগির ফার্ম চালু করেন। জনাব ফারহান এককভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করলেও চুক্তি অনুযায়ী আহমেদ মাস শেষে লাভের অংশ নিয়ে যান।
জনাব সামাদ চীন থেকে মোবাইল ক্রয় করে এনে ঢাকায় নিজস্ব শো-রুমে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেন। পণ্য ক্রয়ের অর্থ তিনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করেন। প্রচুর পরিমাণে মোবাইল ক্রয় করায় তিনি তার শো-রুমের পাশেই একটা গোডাউন ভাড়া নেন। বিদেশ থেকে পণ্য আনার ঝুঁকি নিরসনে তিনি পদক্ষেপ নেন। ক্রেতার কাছে পণ্যকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনের ব্যবস্থাও গ্রহণ করেন।
জনাব কামাল একটি স্কুলের পাশে ছোট দোকানে লুঙ্গি বিক্রয়ের কাজে বড় ভাইকে সাহায্য করতেন স্কুল ড্রেসের ব্যাপক চাহিদা মাথায় রেখে আরেকটি দোকান নিয়ে জনাব কামাল লুঙ্গির পাশাপাশি অন্যান্য কাপড়ও রাখেন। নিজের জমানো অর্থ ও কিছু টাকা ধার করে মূলধন গঠন করেন। শুরুতে তেমন সাড়া না পেয়ে হতাশ হলেও দিনরাত পরিশ্রম, ন্যায্য দাম আর সততার মাধ্যমে একসময় ঘুরে দাঁড়ান। বর্তমানে তিনি নিজেই কাপড় তৈরির কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী।
স্টেশনারি সামগ্রী তৈরি করে সোহেল উদ্যোক্তা হিসাবে সুনাম অর্জন করে। পরবর্তীতে যথাযথ জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে গার্মেন্টস সামগ্রী তৈরি কারখানা স্থাপন করেন। অনেক অর্থের প্রয়োজন হলে মূলধন সংগ্রহে ব্যর্থ হন। অদক্ষ শ্রমিক এবং পথে কাঁচামাল ছিনতাই হয়ে যাওয়ায় ভার উৎপাদনও বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে পারেননি।
রনি ও তার দশ বন্ধু মিলে 'যমুনা' নামে একটি ব্যবসায় সংগঠন চালু করেন। এই ব্যবসায়ের পরিচালক পাঁচজন। তারা শেয়ারবাজারে শেয়ার ও ঋণপত্র ইস্যু করে মূলধন সংগ্রহ করেন। অপরদিকে জনি তার তিন বন্ধু মিলে মিতালী' নামে একটি সংগঠন চালু করেন। এর পরিচালক দুইজন। সংগঠনটি শুধু সদস্যদের মধ্যেই শেয়ার ছাড়তে পারে। সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।