মি. আফাজ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে রূপসা নদীর পাড়ে পাঁচ একর জমিতে কৃষিজাত বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করেন। উৎপাদিত পণ্য তিনি সড়ক ও নৌপথে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন। এক নৌ দুর্ঘটনায় পণ্য নষ্ট হলে তিনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। সম্প্রতি এক বন্ধুর পরামর্শে ব্যবসায়িক বাকি কমানোর লক্ষ্যে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
গ্রামের স্বল্প শিক্ষিত যুবক রাজীব একটি পোল্ট্রি ফার্মে চাকরি করেন। যে বেতন পান তাতে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। তিনি নিজে কিছু করার পরিকল্পনা নেন। সে লক্ষ্যে স্থানীয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে গবাদিপশু পালনের উপর প্রশিক্ষণ ও ঋণ নিয়ে বাড়িতে গবাদিপশু পালন শুরু করেন। শুর দিকে একাধিক প্রতিবন্ধকতা বারবার চেষ্টার মাধ্যমে জয় করে বর্তমানে তিনি একজন সফল খামারি । তাঁর খামারে বর্তমানে ৪০ জন যুবক কাজ করেন।
ফিশারিজ বিষয় পড়াশুনা শেষ করে মি. আরমান এক বছর চাকরির পেছনে সময় নষ্ট করেন। আশানুরূপ চাকরি লাভে ব্যর্থ হন। বন্ধুর পরামর্শে চাকরির পেছনে আর সময় নষ্ট না করে, নিজের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে গ্রামে ৪টি পতিত পুকুর সংস্কার করে তাতে মাছ চাষ শুরু করেন। উৎপাদন ভালো হলেও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ার কারণে মাছ সংরক্ষণ ও সরবরাহে সমস্যায় পড়েন। আশা না ছেড়ে তিনি ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি আরও মনে করেন ব্যবসায় উদ্যোগ উন্নয়নে কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষা জরুরি।
আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মি. শহিদ একজন সফল উদ্যোক্তা। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'কোনো পেশা বা কাজ ছোট নয়। আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তা দেওয়ার জন্য এখন সরকারি ও বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিভিন্ন কাজের উপর প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তা দেয়।' তাঁর বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে। মাহমুদ একটি এন.জি.ও থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের ঋণ সহায়তায় একটি হাঁস-মুরগির খামার স্থাপন করেন।
নাহিদা আকতার স্বল্প শিক্ষিত একজন মহিলা। তিনি একটি বিশেষ মন্ত্রণালয় থেকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তাঁর এলাকায় ও আশেপাশের এলাকায় প্রচুর সরিষা উৎপাদন হয়। বর্তমানে খাঁটি সরিষার তেলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই তিনি সরিষার তেল প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেন। এ লক্ষ্যে তিনি তেল উৎপাদনকারী একটি মেশিন ক্রয় করে নিজের বাসায় উৎপাদন শুরু করেন। উৎপাদিত পণ্যের মান ভালো হওয়ায় এক বছরের মধ্যে তিনি সফলতার মুখ দেখেন ।
সুশান্ত ট্রেডার্স এর মালিক মি. দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে ব্যবসায় করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষন ও নির্দেশনা প্রদান করেন। কর্মচারীরা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন নিল বানাবন করেন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার ও পদোন্নতির ব্যবস্থা করেন ফলে কর্মচারীরা উৎসাহ নিয়ে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হন, যা তাঁর প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করে।
মি. লিমন একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। নিজস্ব মতামত ও ধান-ধারণার বাইরে অন্যদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া তিনি পছন্দ করেন না। কর্মচারীদের তিনি কথা বলার সুযোগ দেন না, সব সময় চাপের মধ্যে রাখেন, নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন। ফলে কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। অন্যদিকে শিমরান ট্রেডার্সের মালিক মি. রফিক কর্মচারীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।