দৃশ্যকল্প-১: আজ শফিকদের জেলায় নির্বাচন হচ্ছে। গ্রামের মানুষ আনন্দের সাথে ভোট দিতে যায় কিন্তু শক্ষিক ভোট দিতে যায়নি বরং সে তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
দৃশ্যকল্প-২ঃ রাকিব ও মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। রাকিব বলল, আমার মনে হয় কোনো শক্তিশালী গোষ্ঠী দুর্বল গোষ্ঠীকে গ্রাস করে আমাদের দেশটির সৃষ্টি হয়েছে। রাতুল বলল, তোমার কথা ঠিক নয়। এটি মানবসভ্যতার বিবর্তনের ফল। মানুষ তার কল্যাণের জন্য একতাবদ্ধ হয়ে এটি সৃষ্টি করেছে।
শফিক সাহেব হাসি-খুশি উদার মনের অধিকারী। তিনি শ্রমিক সংগঠনের নেতা। শ্রমিকরা তার নেতৃত্ব মেনে নেন। এভাবে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। অপরদিকে, জলিল সাহেব উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তিনি সবসময় নিজ দায়িত্ব-কর্তব্যের সচেতন থাকেন। প্রতিটি ফাইল যাচাই-বাচাই করে স্বাক্ষর করেন। একবার মিজানুর নামের এক ব্যক্তি একটি অবৈধ কাগজ সই করার চেষ্টা করে। বিনিময়ে জলিল সাহেবকে কিছু টাকা দিতে চায় কিন্তু তিনি রাজি হননি ।
জামিল উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে 'ক' দেশে অবস্থান করছিল। সে দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে তার জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়। তখন সে তার নিজ দেশের নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় চায়। অপরদিকে, ইমন এইচএসসি পাস করে কয়েকজন বন্ধুর সাথে মেসে থাকে। সে প্রতি রাতে মোবাইলে খুব জোরে গান শুনে । এতে তার বন্ধুদের লেখাপড়ার ক্ষতি হয় । তার বন্ধুরা বলল, তুমি হেডফোন দিয়ে গান শুনো। সে বলল, সেটা আমার ইচ্ছা, আমরা কাজে তোমাদের বাধা দেওয়া ঠিক নয়। একথা শুনে তার বন্ধু সোহাগ বলল, অন্যের ক্ষতি করে নিজের আনন্দ ভোগের মধ্যে সার্থকতা নেই।
জনাব 'ক' একটি সংস্থায় চাকরি করেন। তার সংস্থাটির পরিধি ব্যাপক হওয়ায় কাজগুলো তিনি বিভিন্ন কর্মীদের মাঝে ভাগ করে দেন। অপরদিকে, রায়হান উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বাইরের একটি রাষ্ট্রে গমন করে। সেখানে সিনহা নামের এক বন্ধুর সাথে পরিচিত হয়। একদিন তারা দুই দেশের সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছিল। রায়হান বলল, আমাদের দেশের যারা ভোটে জয়লাভ করে তারা সরকার গঠন করে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকে। সিনহা বলল, আমাদের দেশে যিনি প্রধান তিনি নিজের ইচ্ছামত সরকার গঠন করে এবং তাদের কার্যকালও তাঁর ওপর নির্ভর করে।
'X' দেশের শাসক খুব স্বৈরাচারী। সে দেশের জনগণ আন্দোলন করে উক্ত শাসকের পতন ঘটায় এবং নতুন শাসকের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়। অপরদিকে, ক্রিকেটের মাঠে নাবিলের ডন নামের এক বন্ধুর সাথে পরিচয় হয়। তারা কথা উভয় দেশের সংবিধান নিয়ে আলোচনা করছিল। ডন বলল, আমাদের দেশের সংবিধানে কোনো সমস্যা হলে অনায়াসেই সেটা বদলানো যায় কিন্তু নাবিল বলল, আমাদের দেশে বদলানো কঠিন ।
জনাব 'P' সাংবিধানিকভাবে গঠিত একটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। তিনি রাষ্ট্রে সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যক্তি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত। তিনি গণতন্ত্র রক্ষার কাজ করেন। অপরদিকে সংঘ ও সবুজ সংঘ নামের দুই সমিতি তাদের সভাপতি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিল। শাপলা সংঘ তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে সভাপতি করল। আর সবুজ সংঘ গোপন ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করল।
জনাব রাফিউল ইসলাম একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে উক্ত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান একজন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেয়ে থাকেন। অপরদিকে, জনাব শাহীন আলম অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। উক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩১৪টি। প্রতিষ্ঠ সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও বিভিন্ন উৎস থেকে কর ধার্য করে ব্যয়ভার নির্বাহ করে।
জহির মিয়া পেশায় রিকশাচালক, পাঁচ মেয়ে ও স্ত্রী জরিনাকে নিয়ে তার পরিবার। ইতোমধ্যে মেয়ে বড় হয়ে উঠেছে। কখন কোথায় কোন কাজ বসবে। এই ভয়ে তিনি মেয়েদের বিয়ে দিয়ে যেন দায়ভার যুক্ত হন। অন্যদিকে রসুলপুর গ্রামের আয়তন খুব কম কিন্তু সেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। তাছাড়া তাদের কর্মসংস্থানেরও কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। তারা খুব কষ্টে জীবনযাপন করছে।
কায়সুল আযম এসএসসি পাস করে সেনাবাহিনীতে যোগদান করে। যোগদানের কয়েক মাস পরেই দেশে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। সে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যায়। অন্যদিকে ফতেপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি র্যালির আয়োজন করে। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের হাতে ছিল ফেস্টুন পোস্টার পেপার। তাতে লেখা ছিল অ, আ, ক, খ ইত্যাদি বর্ণমালা ।