শাহরীন কর্মজীবী হওয়ায় তাদের পুত্র বাবুলকে ছোটবেলা থেকেই হোস্টেলে রেখে পাড়াশুনা করান। ছুটিতে ছেলে বাড়ি আসলেও মা-বাবা বাবুলকে বেশি সময় দিতে পারেননি। বেশিরভাগ সময় একা থাকতে হয়। সে নিজের সুখ-দুঃখ কারও সাথে ভাগাভাগি করতে পারে না। একদিন শাহরীন আলম সাহেবের বাসায় বেড়াতে গেলে তাঁর ছেলে সোহেল দরজা খুলে সালাম দেয়। তাঁকে সম্মানের সাথে বসিয়ে বাবাকে ডেকে দেয়। শাহরীন তাকে দেখে মুগ্ধ হন এবং নিজের ছেলেকে এভাবে গড়ে তুলতে না পেরে নিজের মনে ভীষণ কষ্ট পান ।
আমেনা একজন গরিব পরিবারের মেয়ে। তার সাথে রাজুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে অভাব বাড়তে থাকে এবং দুজনের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয়। ফলে সংসারের অশান্তি দূর করার জন্য আমেনা তার স্বামীকে জানায় সে গামেন্টসে চাকরি করে টাকা রোজগার করলে তাদের সংসারে অভাব দূর হবে। কিন্তু তার স্বামী তাকে চাকরি করতে বাধা প্রদান করে।
জনাব আমিনুল সংবিধান সম্পর্কিত এক আলোচনা সভায় জানালেন যে সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। তবে সব দেশের সংবিধান এক রকম নয়। তাই রাষ্ট্রবিজ্ঞানিগণ সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের ন্যায় আমাদের সংবিধান লিখিত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানিগণ সংবিধানের তুলনামূলক বিশ্লেষণের পরিশেষে মত প্রকাশ করেন যে, উভয় প্রকার পার্থক্য পরিমাণগত, শ্রেণিগত নয় ।
বদরুল সাহেব রংপুর স্থানীয় প্রশাসনিক কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তরটির প্রধান হিসাবে নিয়োজিত আছেন। বাংলাদেশের প্রশাসনিক এ স্তরটির উন্নয়ন কমিটিরও তিনি প্রধান। অন্যদিকে রাশেল চৌধুরী এ প্রশাসনিক স্তরের একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পাঁচ বছরের জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলেও বদরুল সাহেবের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয় ।
নাছিমা বেগম বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে হয়েও দরিদ্রতার কারণে পড়ালেখা করতে পারেনি। তাই তার ১৮ বছর বয়স না হতেই সেই ছোট মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দেন। এই বিয়েতে বাবা ছেলেকে প্রতিশ্রুতিমত টাকা না দিতে পারার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকে। এ অবস্থায় নাছিমা সেলাই-এর কাজ করে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনলে তার স্বামী তাকে গুরুত্ব দেয়।
জনাব আজমল একজন স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক। তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে উন্নয়নের দ্বার খুলে দিতে চান। তার ডাকে বাংলার আপামর জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে বীর বাঙালি স্বাধীন দেশের অস্তিত্ব লাভ করে। অপরদিকে জনাব রশীদ স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি আঞ্চলিক উন্নয়ন সংস্থা গঠন করেন।
বাংলাদেশের রহমতপুর গ্রামবাসীরা সামান্য বন্যা হলেই ডুবে যায়। বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বিভিন্ন সাহায্যদানকারী আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। অন্যান্য সাহায্যদানকারী সংস্থার মতো সার্ক বাংলাদেশের একজন প্রধান কর্মকর্তা আবদুর রব সাহেবের নেতৃত্বে প্রায় প্রতি বছর বন্যা প্লাবিত অঞ্চলের মানুষের জন্য এগিয়ে আসেন।
মানিকগঞ্জ উপজেলার রাবেয়া বাসরী তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন। তিনি নিজে বেশি লেখাপড়া না করতে পারায় সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। এজন্য স্বামীকে নিয়ে তিনি একটি কুটির শিল্প গড়ে তোলেন। কয়েক বছর পার হতেই তার কুটির শিল্পের মালামালের চাহিদা বাড়তে এবং প্রচুর মালিক হন। তার এ আয় থেকে বাচ্চাদের খরচ বহন করেন এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারের জমা । এখন তিনি শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছেন ।